ভূমিকা
--------
ইতিহাস সম্পর্কে বাঙালী জাতি উদাসীন এমন একটি অভিযোগ বহু দিনের। কদম রসুল প্রায় পাঁচশত বছরের পুরােনাে মুসলমান সমাজের একটি আধ্যাত্মিক এবং অলৌকিক ঘটনাবলীর প্রাণকেন্দ্র। হজরত মুহাম্মদ ﷺ এর কদম মােবারক (পদচিহ্ন) স্থাপিত | এককালীন একটি পরগণার রাজধানী, পূর্ব বাংলার ইসলাম ধর্ম প্রচারের প্রধান কেন্দ্র, কখনও দুর্গ, কখনও নহবতখানা ছিল বলে এর একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস এই উপমহাদেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের দাবী অনেক দিনের। দেশের বিভিন্ন ইহিতাস, পুস্তকাদি এবং ঘটনাবলীর সাহায্যে বহু বছর পর একটি সংক্ষিপ্ত
ইতিহাস উপহার দেওয়া সম্ভব হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনা যেমন ব্যয়বহুল তেমনি কষ্টসাধ্য।
এই পবিত্র কদমরসুল (পদচিহ্ন) এবং দরগাহ শরীফের প্রতিষ্ঠাতা এই অঞ্চলের বিভিন্ন শাসক হতে শুরু করে মােগল সম্রাটগণ । মােগলদের রাজধানী দিল্লী
মােহাফেজখানায় রক্ষিত আছে অধিকাংশ দুস্প্রাপ্য ইতিহাসিক দলিল। ব্যয়বহুল হইলেও পূর্ণ ইতিহাস রচনার প্রচেষ্টা থেকে আমরা বিচ্যুত হব না । এই ইতিহাস রচনায় আমি বিশেষভাবে ঋণী এককালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক উপমহাদেশের প্রখ্যাত ভাষাবিদ, গবেষক, ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সাহেবের কাছে। তিনি এই দরগাহ শরীফ পরিদর্শন করে মীর্জা নাথানের ইতিহাস “বাহারী স্তান-ই-গায়বী' পুস্তকের সন্ধান দেন । পার্শী ভাষায় লিখিত উক্ত বইখানা যার ইংরেজী অনুবাদ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এককালীন অধ্যাপক, গবেষক
ডক্টর আই.এইচ বােরা । কাজী মুহাম্মদ তাজউদ্দিন, সিনিয়র এডভােকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং কদমরসুল দরগাহ্ শরিফ মােতাওয়াল্লী কমিটির সহ-সভাপতি উক্ত পুস্তক বিশদভাবে পাঠ করবার পর অনেক কিছু জ্ঞাত হয়ে আমাকে সাহায্য করেন।
এ পর্যন্ত অনেক গবেষক, ঐতিহাসিক কদমরসুল সম্পর্কে বিভিন্ন পুস্তকে কিছু কিছু তথ্য সরবরাহ করেছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন জনাব মুনশী রহমান আলী তায়েশ কর্তৃক লিখিত “তাওয়ারিখে ঢাকা প্রকাশ করে কদম রসুলের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়েছে।
তাহার গবেষণার সারংশ এই পুস্তকের শেষাংশে উল্লেখ করা হলাে।
খাদেম রশীদ উদ্দিন আহমদ
সাবেক সভাপতি
কদমরসুল দরগাহ শরীফ কমিটি
পেইজ নং - ৪
(চলবে)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন