বসরার এক বুযুর্গ (رحمة الله) এর ব্যাপারে কথিত আছে, ২০ বৎসর যাবত তাঁর নফস মাছ-ভাত ও রুটি খাওয়ার ইচ্ছা করছিল কিন্তু তিনি নিজের নফসকে এমনভাবে দমন করতে থাকেন যে, এগুলাে ইহজীবনে আর খেলেনই না। তাঁর ইন্তিকালের পর কেউ তাঁকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা করল, আল্লাহ্ আপনার সাথে কিরূপ আচরণ করেছেন?" তিনি বললেন: “আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহে আমাকে যেসব নেয়ামত দান করা হয়েছে তা বলার বাইরে। সর্বপ্রথম আমাকে মাছ-ভাত ও রুটি দিয়ে বলা হয়েছে, আজকে যত মন চায় খাও। (ইইয়াউল উলুম, ৩য় খন্ড, ১০৩ পৃষ্ঠা)।
আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হােক আর তাঁর সদকায় আমাদের ক্ষমা হােক।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা দেখলেন তাে! নফসের আনুগত্য যারা করেন না আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁদের কিরূপ উচ্চ মর্যাদা লাভ হয়ে থাকে। যে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নফসকেদমন করে দুনিয়ার নেয়ামতসমূহ উপভােগ করা থেকে বেঁচে থেকে ক্ষুধা সহ্য করার ক্ষেত্রে কৃতকার্য হয়ে যান তাঁদেরকে মােবারকবাদ। যেহেতু মৃত্যুর পর তাঁদেরকে জান্নাতের মহান নেয়ামত সমূহ প্রদান করা হবে।
যেমন- আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:
ﻛُﻠُﻮﺍ ﻭَﺍﺷْﺮَﺑُﻮﺍ ﻫَﻨِﻴﺌًﺎ ﺑِﻤَﺎ ﺃَﺳْﻠَﻔْﺘُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﻳَّﺎﻡِ ﺍﻟْﺨَﺎﻟِﻴَﺔِ
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আহার কর, পান কর তৃপ্তি সহকারে পুরস্কার সেটারই, যা তােমরা বিগত দিন গুলােতে আগে প্রেরণ করেছে।(পারা- ২৯, সূরা- হাক্কাহ, আয়াত- ২৪)।
_______________
কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন