এমনি আরেক ব্যক্তিও তার দাঁড়ি-পাল্লা থেকে মাটি ইত্যাদি পরিস্কার করত না এবং এমনিতেই মাল মেপে দিয়ে দিত। যখন সে মরে গেলো, তখন তার কবরেও আযাব শুরু হয়ে গেল। এমনকি লোকজন তার কবর থেকে শোর- চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেতো। কিছু নেককার বান্দা رحمة الله عليه কবর থেকে শোর-চিৎকারের আওয়াজ শুনে দয়াপরবশ হলেন। আর ওই লোকটির জন্য মাগফিরাতের দোয়া করলেন। তখন সে দোয়ার বরকতে আল্লাহ্ তাআলা তার আযাবকে দূর করে দিলেন। (আখলাকুস সালেহীন, ৬৫ পৃষ্ঠা)
হারাম উপার্জন কোথায় যায়?
এ ভয়ানক ঘটনা থেকে ওইসব লোক যেনো অবশ্যই শিক্ষা অর্জন করে, যারা ওজনে কারচুপি করে কম দেয়। ওহে মুসলমানরা! ওজনে কারচুপি করে মাপলে বাহ্যিকভাবে এমন লাভ দিয়ে কী করবে? দুনিয়ায়তো এ ধরণের অর্থ-সম্পদ ক্ষতির কারণ হয়ে যায়। হতে পারে ডাক্তারদের ফিস, রোগের ঔষধ, পকেটমার, চোর কিংবা ঘুষখোরদের হাতে এসব টাকা চলে যাবে। আল্লাহর পানাহ্! তারপর আখিরাতের কঠিন শাস্তিও ভোগ করতে হবে। করলে তাওবা রব কি রহমত হে বড়ী, কবর মে ওয়ারনা সাজা হোগী কড়ী।
আগুনের দুটি পাহাড়
তাফসীরে রুহুল বয়ানে বর্ণিত আছে: যে ব্যক্তি ওজনে কম দেয়, কিয়ামতের দিন তাকে দোযখের গভীরে নিক্ষেপ করা হবে। আর আগুনের দুটি পাহাড়ের মাঝখানে বসিয়ে নির্দেশ দেয়া হবে এ পাহাড় দুটি ওজন করো। যখন ওজন করতে থাকবে, তখন আগুন তাকে জ্বালিয়ে দিবে। (তাফসীরে রূহুল বয়ান, ১০ম খন্ড, ৩৬৪ পৃষ্ঠা)।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! গভীরভাবে মনোযোগ দিন! একটু চিন্তা করুন তো! সংক্ষিপ্ত জীবনে কয়েকটা ধ্বংসশীল টাকা উপার্জনের জন্য যদি ওজনে কারচুপি করেন, তাহলে কেমন কঠিন শাস্তির হুমকি এসেছে? আজ সামান্যতম গরম সহ্য হচ্ছে না, আর জাহান্নামের আগুনের পাহাড়ের উত্তাপ কিভাবে সহ্য হবে। আল্লাহ্ তাআলার ওয়াস্তে, নিজের অবস্থার প্রতি দয়া করে সম্পদের লোভ থেকে দূরে সরে পড়–ন! অন্যথায় অবৈধ মাল উভয় জাহানে শাস্তিরই মাধ্যম হিসেবে পরিণত হবে।
_______________
কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন