খ্রীষ্টান পীর ইসলাম গ্রহণ


এক বুযুর্গ (رحمة الله) একজন খ্রীষ্টান পাদ্রীকে ‘ইনফিরাদী কৌশিশ' করে তাকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন। অনেক তর্ক-বিতর্কের পর সে বলল: “হযরত সায়্যিদুনা ঈসা রূহল্লাহ্ (عليه السلام) এর মু'জিযা ছিল, ৪০ দিন পর্যন্ত তিনি কিছু খেতেন না আর এ চরম উৎকর্ষতা শুধুমাত্র নবী عَلَیۡہِ السَّلاَم কিংবা সিদ্দীকেরই থাকতে পারে।” ঐ  বুযুর্গ (رحمة الله) বললেন: “যদি আমি ৫০ দিন পর্যন্ত উপবাস থাকতে পারি তবে তুমি কুফর ত্যাগ করে মুসলমান হয়ে যাবে?” এবং একথা মেনে নেবে যে, ইসলামই সত্য আর তুমি মিথ্যার পক্ষালম্বনকারী?" সে। জবাব দিল, “হ্যাঁ”। সুতরাং ঐ বুযুর্গ (رحمة الله) তখন থেকে তার  কাছেই রয়ে গেলেন আর ৫০ দিন পর্যন্ত কিছু খেলেন না। এরপর আরাে ১০ দিন বাড়িয়ে মােট ৬০ দিন পর্যন্ত উপবাস রইলেন। ঐ পাদ্রী এ কারামত দেখে মুসলমান হয়ে গেল। (ইহইয়াউল উলুম, ৩য় খন্ড, ৯৮ পৃষ্ঠা)


আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হােক এবং তাঁর সদকায় আমাদের ক্ষমা হােক।



প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এ ঘটনা থেকে কেউ এটা ভাববেন না,  ঐ বুযুর্গ (رحمة الله) আল্লাহর পানাহ! হযরত সায়্যিদুনা ঈসা রূহুল্লাহ (عليه السلام) হতে মর্যাদায় এগিয়ে গেছেন। ইসলাম স্বীকৃত আকীদা (বিশ্বাস) এটা হচ্ছে, কোন নবী  عَلَیۡہِ السَّلاَم হতে অন্য কেউ উত্তম  হতে পারেনা। আর যে নবী নয় এমন ব্যক্তিকে নবী عَلَیۡہِ السَّلاَم হতে যে উত্তম মনে করে, সে কাফির। আসলে কথা হচ্ছে, ইসলাম গ্রহণের পূর্বে ঐ পাদ্রী এ রকম মনে করত যে, হযরত সায়্যিদুনা ঈসা রূহুল্লাহ এর পর বর্তমানে আল্লাহর প্রিয় হাবীব (ﷺ)  এর কোন গােলাম ৪০ দিন উপবাস থাকতে পারবেনা।  


এজন্য ঐ বুযুর্গ (رحمة الله)কারামত দেখিয়ে তার ভুল ধারণা দূর করলেন যে, ৪০ দিন উপবাস থাকা হযরত সায়্যিদুনা ঈসা (عليه السلام) এর বিশেষত্ব নয়, বরং তাজেদারে রিসালাত, শাহানশাহে নব্যুয়ত, মাহবুবে রব্বুল ইযযত (ﷺ)  এর গােলামগণ ৪০ দিন নয় মাত্র ৬০ দিন উপবাস থাকার পরও বেঁচে থাকতে সক্ষম।


চাহে তাে ইশাররা ছে আপনে কায়াহী পলট দে দুনিয়া কি, ইয়ে শান হে খিদমত গারাে কি ছরকার কা আলম কিয়া হােগা।

_______________

কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন