কুরআন শরীফে রােগ সমূহের আরােগ্য রয়েছে

 

কুরআন শরীফে রােগ সমূহের আরােগ্য রয়েছে:


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বর্ণিত ঐ হাদীস শরীফ দ্বারা ফুক ইত্যাদির বৈধতার প্রমাণ পাওয়া যায়। আমাদের প্রিয় আক্বা (ﷺ) নিজের নাতিদেরকে ফুক দিতেন। কুরআনুল করীমের আয়াতে মােবারকার মাধ্যমে রােগীদের উপর পাঠ করে ফুক দেওয়া সম্পর্কিত অনেক বর্ণনা বিদ্যমান রয়েছে। এমনকি


🌀 উম্মুল মু'মিনীন হযরত সায়্যিদাতুনা আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) বর্ণনা করেন: যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর পরিবার বর্গের মধ্যে কেউ অসুস্থ হতাে তখন তিনি (ﷺ) তার উপর সূরা নাস এবং সূরা ফালাক্ব পাঠ করে ফুক দিতেন।


(মুসলিম, কিতাবুস সালাম, বাবু রকিয়াতুল মরিয বিল মাওয়াত, ওয়ান নফছ, ১২০৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২১৯২)।


🌀 আ’লা হযরত ইমামে আহলে সুন্নাত মাওলানা শাহ্ ইমাম আহমদ ওয়া খাঁন (রহঃ) বলেন: বৈধ তাবীজ যা কুরআন শরীফ বা আল্লাহর নাম সমূহ বা যিকির ও দোয়া সম্বলিত হয়ে থাকে, সে তাবীজ ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই বরং মুস্তাহাব। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এমন পরিস্থিতিতে ইরশাদ করেছেন যে,

"যে ব্যক্তি আপন মুসলমান ভাইয়ের উপকার সাধন করতে পারে (তবে তাকে) উপকার করা উচিৎ।"


(মুসলিম, কিতাবুস সালাম, বাবু ইসতিহবাবু রুকাইয়াতু মিনাল আইন... ১২০৭ পৃষ্ঠা, ফতােওয়ায়ে আফ্রিকা, ১৬৮)




শরীয়াত বিরােধী তাবীজ সমূহ এবং শরয়ী বিরুদ্ধ বাক্য সমূহ দ্বারা ফুক দেয়া অবৈধ


যেমন-


🌀 আ’লা হযরত (রহঃ) বলেন: তা উদ্দেশ্য যার জন্য ঐ তাবীজ বা আমল করা হয়। যদি তা শরীয়াত বিরুদ্ধ হয়, অবৈধ হয়ে যাবে। যেমন মহিলারা স্বামীকে বশ করার জন্য তাবীজ করিয়ে থাকে। এটা শরীয়াতের হুকুমের বিপরীত। একইভাবে পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া তথা বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করার জন্য আমল ও তাবীজ (স্বামী, স্ত্রীর) মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি করাও হারাম।

 (ফতওয়ায়ে রযবীয়া, ২৪তম খন্ড, ১৯৬ পৃষ্ঠা)।

______________

হাসনাইনে কারীমাঈনের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য

(দাওয়াতে ইসলামীর সাপ্তাহিক সুন্নাতে ভরা ইজতিমার সুন্নাতে ভরা বয়ান থেকে সংকলিত)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন