হুযুর (ﷺ) এ হাসানাঈনে করীমাঈনকে ফুক দিতেন

 

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আসুন! নবী করীম (ﷺ) এর হাসানাঈনে করীমাঈনের প্রতি মুহাব্বতের আরেকটি দিক শুনি। যেমনঃ

🌀 হুযুর (ﷺ) এ হাসানাঈনে করীমাঈনকে ফুক দিতেন:

হযরত সায়্যিদুনা ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত; রহমতে আলম, নূরে মুজাস্সম (ﷺ) হযরত সয়্যিদুনা ইমাম হাসান ও ইমাম হােসাইন (আঃ) কে কলেমাতে তাউয (নিরাপত্তার বাক্য সমূহ) সহকারে ফুক দিতেন। তিনি (ﷺ) ইরশাদ করেন: “তােমাদের সম্মানীত দাদাজান অর্থাৎ হযরত ইসহাক (আঃ) এসব কলেমা (বাক্য) দ্বারা ফুঁক দিতেন।

অর্থাৎ আমি আল্লাহ তাআলার পরিপূর্ণ বাক্য সমূহের মাধ্যমে সমস্ত শয়তান ও বিষাক্ত জন্তু এবং সকল বদনযর থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।”

(বুখারী, কিতাবুল আহাদীসুল আম্বিয়া, ২/৪২৯, হাদীস- ৩৩৭১)


🌀 প্রসিদ্ধ মুফাস্সীর হাকীমুল উম্মত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন (রহঃ) এ হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় বলেন: কলেমাতুল্লাহ্ (আল্লাহর কলেমা সমূহ) দ্বারা উদ্দেশ্য আল্লাহ্ তাআলার সকল নাম)। কেননা, তা সকল অপূর্ণতাও ক্ষতি থেকে পবিত্র। এজন্য সেগুলােকে পরিপূর্ণ ও স্বয়ং সম্পূর্ণ বলা হয়। যেভাবে আল্লাহ্ তাআলার আশ্রয় প্রার্থনা করা জরুরী সেভাবে তাঁর নাম মােবারকের মাধ্যমেও আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিৎ। আরাে বলেন: জ্বিন ও বদনারের মাধ্যমেও মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়। জ্বিনের প্রভাব কুরআন দ্বারা সাব্যস্ত।

(মিরআতুল মানাজিহ, ২য় খন্ড, ৪০৯ পৃষ্ঠা)।

______________

হাসনাইনে কারীমাঈনের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য

(দাওয়াতে ইসলামীর সাপ্তাহিক সুন্নাতে ভরা ইজতিমার সুন্নাতে ভরা বয়ান থেকে সংকলিত)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন