(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
***********
কদম রছুলের স্মৃতি ও সেনাপতি মাছুম খান কাবুলী
-----------------
চারশত বৎসর পূর্বে এই দেশে অবশ্য কোন শাসক বা মােগল সম্রাটের সাহায্য এবং দান ছাড়া কোন মসজিদ,দরগাহ,নহবতখানা,মিনার তৈরী কোন স্থানীয় মুসলমানের পক্ষে সম্ভব ছিল না।
মুসলমানের সংখ্যা বেশী হলে ও সামর্থ কতজনের ছিল? মুসলমান জমিদার তখনও
সৃষ্টি হয়নি। জমিদার বা জমিদারী প্রথা ইংরেজদের তৈরী। ঈশা খাঁর আদেশে পবিত্র কদম মোবারক স্থাপিত করেন সেনাপতি মাসুম খাঁন কাবুলী।
অনেক ঐতিহাসিকের মতে মাসুম খাঁন কাবুলী সম্রাট আকবরের আমলে দিল্লীতে সেনা বিভাগের কর্মে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি 'সম্রাট' আকবরের 'দীনে এলাহী' নামক নুতন এক ধর্মে বিশ্বাস ও সমর্থন না করে বিদ্রোহ করে পালিয়ে চলে আসেন পূর্ব বঙ্গে। পরে ঈশা খাঁর সঙ্গে যোহ দিয়ে সেনাপতি পদে অলঙ্কৃত হয়ে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য সর্ব প্রকার সহযোগিতা দিতে মনোনিবেশ করেন।
এই পৃথিবীতে দেবতা বলিয়া কোন কিছুর অস্তিত্ব নাই, আছে সর্ব শক্তিমান আল্লাহ,
হজরত মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর শেষ নবী এই বিশ্বাসই সমস্ত মুসলমানদের।
এই
বিশ্বাস ছিল মাসুম খাঁন কাবুলীরও। তাই তিনি সম্রাট আকবরের অন্য কোন নতুন
ধর্মীয় ফরমুলার স সঙ্গে আপোস করিতে রাজা ছিলেন না। অন্তরে এই বিশ্বাস নিয়ে
আল্লাহর রসুলকে কেন্দ্র করে কদমরছুলকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তৎকাললীন
পুর্ব বঙ্গের ইসলাম ধর্ম প্রচারের শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র হিসাবে।
তাই পূর্ব বঙ্গের সমস্ত
এলাকা জুড়ে মুসলমানের এত সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বসবাস সম্ভব হয়েছে।
মাসুম খাঁন কাবুলীর প্রচেষ্টায় কদমরছুল হয়ে উঠেছিল বড় বড় মুসলিম সাধক ও
চিন্তাবিদদের আগমন আশ্রয় ও কর্ম স্থল। অনেক সাধক এইস্থানে আজীবন বসবাস করে জান্নাতবাসী হয়েছেন।
পেইজ নং- ৯
(চলবে)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন