নীল চক্ষুবিশিষ্ট কুৎসিত বৃদ্ধা

 

নীল চক্ষুবিশিষ্ট কুৎসিত বৃদ্ধা 

হযরত সায়্যিদুনা ফুযাইল বিন আয়ায  رَحۡمَةُ اللّٰهِ تَعَالٰی عَلَيۡهِ বলেন, হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰی عَنۡهُمَا বলেন: কিয়ামতের দিন একজন নীল চক্ষুবিশিষ্ট খুবই কুৎসিত বৃদ্ধা, যার দাঁর সামনের দিকে বের হওয়া থাকবে, মানুষের সামনে প্রকাশিত হবে এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে: একে চিনাে? মানুষরা বলবে: আমরা তার পরিচয় পাওয়া থেকে আল্লাহ তায়ালার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। বলা হবে: এ হলাে সেই দুনিয়া, যার জন্য তােমরা গর্ব করতে, এর কারণেই আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করতে, এরই কারণে একে অপরের প্রতি হিংসা এবং শত্রুতা করতে। অতঃপর তাকে (বৃদ্ধার আকৃতিতে দুনিয়া) জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে, তখন সে বলবে: হে পরওয়ারদিগার! আমাকে অনুসরনকারীরা এবং আমার দল কোথায়? আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করবেন: তাদেরকেও এর সাথী বানিয়ে দাও। (যম্মুদ দুনিয়া মাআ মওসুআতিল ইমাম ইবনে আবিদ দুনিয়া, ৫/৭২, নম্বর-১২৩) 


দুনিয়া কো তু কিয়া জানে ইয়ে বিস কি গাঁট হে হাররাফা 

সুরাত দেখো যালিম কি তু কেয়সি ভােলি ভালি হে 

মেহেদ দেখায়ে যেহের পিলায়ে, কাতিল, ডায়িন, শােহর কুশ 

ইস মুরদার পে কিয়া লালছায়া দুনিয়া দেখি ভালি হে 

(হাদায়িকে বখশীশ, ১৮৬ পৃষ্ঠা) । 

সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা: 

(১) এই দুনিয়া প্রকাশ্যভাবে তােমার হাবাগােবা এবং সাধাসিধে মনে হয়, তুমি জাননা যে, এই জালিম দুনিয়া কিরূপ ধােকাবাজ এবং বিষাক্ততার গর্ত, সে বড় বড় ব্যক্তিত্বদের ঘর ধ্বংস এবং তরী ডুবিয়ে দিয়েছে। 

(২) এই দুনিয়া জালিম ও ধােকাবাজ, মধু দেখিয়ে বিষ পান করিয়ে দেয়,তবে এরূপ মৃত দুনিয়ার প্রতি কেনইবা উৎসর্গিত হতে হবে, হাজারাে লােক একে পরীক্ষা করে নিয়েছে এবং পরীক্ষিত জিনিষকে কেনইবা আবার পরীক্ষা করতে হবে?

_______________

কিতাব : দুনিয়া আমাদেরকে কি দিয়েছে

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন