হযরত আলীর رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰی عَنۡهُ পরিবারবর্গের ফযীলত
ইমাম হাছান ও ইমাম হুসাঈন رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰی عَنۡهُمَا উভয়ে একবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তখন আমীরুল মুমিনীন হযরত মওলায়ে কায়েনাত আলী মুরতাজা শেরে খােদা رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰی عَنۡهُ এবং হযরত : সায়্যিদাতুনা বিবি ফাতিমা رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰی عَنۡهَا ও খাদিমা হযরত সায়্যিদাতুনা ফিদ্দা رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰی عَنۡهَا এই শাহজাদাদ্বয়ের আরােগ্য লাভের জন্য তিনটি রােযার মান্নত করলেন। আল্লাহ তায়ালা উভয় শাহজাদা رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰی عَنۡهُ কে সুস্থতা দান করলেন। অতএব তিনটি রােযা রাখা হল। হযরত মওলা আলী كَرَّمَ اللّٰه تَعَالٰی وَجۡهَهُ الۡكَرِیۡمِ তিন ছা’ গম আনলেন। প্রতিদিন এক ‘ছা’ করে (অর্থাৎ ৪ কিলােগ্রাম থেকে ১৬০ গ্রাম কম) তিনদিন রান্না করেন। যখন ইফতার এর সময় ঘনিয়ে আসল, আর তিন রােযাদারের সামনে রুটি রাখা হল, তখন একদিন মিসকিন, একদিন এতিম এবং একদিন কয়েদী দরজায় হাজির হয়ে যায়, আর রুটি ভিক্ষা চেয়ে বসে। তখন তিনদিনই সব রুটি ঐ সকল ভিক্ষুকদের দিয়ে দিলেন। আর শুধুমাত্র পানি দ্বারা ইফতার করে পরবর্তী রােযা পালন করেন।
(খাযাঈনুল ইরফান, পৃ-১০৭৩ কিছুটা সংযােজিত) ।
ভুকে রাহ কে খুদ আওরাে কো খিলা দেতে থে, কেইসে ছাবির থে মুহাম্মদ কে ঘরানে ওয়ালে।
কুরআনে করীমে আল্লাহ তায়ালা আমীরুল মু'মিনীন মওলায়ে কায়েনাত, হযরত সায়্যিদুনা আলী মুরতাদ্বা শেরে খােদা رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰی عَنۡه এর পরিবার পরিজনের ত্যাগের এই ঈমান তাজাকারী ঘটনাটি এভাবে বর্ণনা করেছেন।
وَ یُطۡعِمُوۡنَ الطَّعَامَ عَلٰی حُبِّهٖ مِسۡکِیۡنًا وَّ یَتِیۡمًا وَّ اَسِیۡرًا ۞ اِنَّمَا نُطۡعِمُکُمۡ لِوَجۡهِ اللّٰهِ لَا نُرِیۡدُ مِنۡکُمۡ جَزَآءً وَّلَا شُکُوۡرًا ۞
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ : “এবং আহার করায় তাঁর ভালবাসার উপর মিসকীন, এতীম ও বন্দীকে, তাদেরকে বলে, আমরা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য তােমাদেরকে আহার প্রদান করেছি। তােমাদের নিকট থেকে কোন বিনিময় কিংবা কৃতজ্ঞতা চাইনা।” (পারা-২৯, সূরা-আদ্ দহর, আয়াত-৮-৯)।
_____________________
হযরত আলী كَرَّمَ اللّٰه تَعَالٰی وَجۡهَهُ الۡكَرِیۡمِ এর কারামত,
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন