জান্নাতে আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারাে সাহায্যের প্রয়ােজনীয়তা
জান্নাতে ও আল্লাহ ছাড়া অন্য কারাে সাহয্যের প্রয়ােজন হবে । জী হ্যা, আল্লাহর মাহবুব, হুযুর পূরনুর صَلَّى اللّٰهُ عَلَيۡهِ وَاٰلِهٖ وَسَلَّم এর মহান ফরমান হচ্ছে : “জান্নাতিরা জান্নাতে ওলামায়ে কেরামের মুখাপেক্ষী হবে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করবেন : تَمَنَّوۡا عَلَیَّ مَا شِئۡتُمۡ “আমার থেকে যা ইচ্ছা চাও!” জান্নাতীরা ওলামায়ে কেরামদের জিজ্ঞাসা করবে যে, নিজের প্রভুর কাছে কি চাইব, ওলামায়ে কেরামগণ বলবেন : এটা চাও, ওটা চাও।
فَهُمۡ يَحۡتَاجُوۡنَ اِلَيۡهِمۡ فِی الۡجَنَّةِ كَمَا يَحۡتَاجُوۡنَ اِلَيۡهِمۡ فِی الدُّنۡيَا
অথাৎ : ‘অতএব, লােকেরা যেভাবে দুনিয়াতে ওলামায়ে কেরামের দিকে মুখাপেক্ষী রয়েছে, জান্নাতে ও তাদের মুখাপেক্ষী হবে । (আল জামিউস সগীর লিস সুয়ুতী । পৃষ্ঠা: ১৩৫। হাদিস: ২২৩৫)
মানুষ সাধারণত: জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অন্যের মুখাপেক্ষী থাকে। কখনও মাতা-পিতার, কখনও বন্ধু-বান্ধবের, কখনও পুলিশের। আবার কখনও পথ চলা সাধারণ মানুষের। এমতাবস্থায় 'সাবধানী’ হয়ে বসে থাকাতে তার কী সাফল্য আসতে পারে? হ্যা, যারা বাস্তবেই কুমন্ত্রনার শিকার হয়নি, আল্লাহর দান স্বরূপ তারা সত্য অন্তরে অন্যকে সাহায্যকারী হিসাবে মেনে নেয়, এ সত্ত্বেও যে, তারা কেবল আল্লাহরই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছে, তা হলে এতে কোনই সমস্যানাই।
তাে হে নায়েব রব্বে আকবর পেয়ারে
হার দম তেরে দর পর।
আহলে হাজত কা হে মেয়লা صَلَّی اللّٰهُ عَلَیۡكَ وسَلَّمَ
(সামানে বখশিশ)
_____________________
হযরত আলী كَرَّمَ اللّٰه تَعَالٰی وَجۡهَهُ الۡكَرِیۡمِ এর কারামত,
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন