মওলা আলী মুমিনদের 'অভিভাবক'
হযরত সায়্যিদুনা ইমরান বিন হুসাঈন رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰی عَنۡهُ থেকে বর্ণিত, হুজুর পুরনুর صَلَّی اللّٰهُ تَعَالٰی عَلَيۡهِ وَاٰلِهٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: اِنَّ عَلِیََّامِّنِّیۡ وَاَنَا مِنۡهُ وَهُوَ وَهُوَ وَلِیُّ كُلِّ مُؤۡمِنٍ অর্থাৎ : “আলী আমার থেকে, আমি আলী থেকে। আর সে প্রত্যেক মুমিনের অভিভাবক।” (তিরমিযী, খন্ড- ৫, পৃষ্ঠা-৪৯৮, হাদীস নং-৩৭৩২)।
ওয়াসিতা নবিয়ো কে সরওয়ার কা, ওয়াসিতা ছিদ্দিকো উমর কা, ওয়াসিতা ওছমানাে হায়দার কা, ইয়া আল্লাহ মেরী ঝুলি ভর দে।
(ওয়াসাইলে বখশিশ, পৃষ্ঠা-১০৭)।
এখানে অভিভাবক বলতে কী উদ্দেশ্য?
প্রসিদ্ধ মুফাসির, হাকীমুল উম্মত, হযরত মুফতি আহমদ ইয়ার খান رَحۡمَةُ اللّٰهِ تَعَالٰی عَلَيۡهِ বলছেন, এখানে ‘অভিভাবক’ বলতে খলিফা তথা প্রতিনিধি উদ্দেশ্য নয় বরং বন্ধু অথবা সাহায্যকারী উদ্দেশ্য । যেমন আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন:- اِنَّمَا وَلِیُّكُمُ اللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗ وَ الَّذِینَ اٰمَنُوۡا অনুবাদ কানযুল ঈমান থেকে : “তােমাদের বন্ধু নয়, কিন্তু আল্লাহ ও তাঁর রাসুল صَلَّی اللّٰهُ تَعَالٰی عَلَيۡهِ وَاٰلِهٖ وَسَلَّم এবং ঈমানদারগণ।” (পারা-৬, সূরা-মায়েদা, আয়াত-৫৫)।
উক্ত স্থানেও ‘ওলী’ অর্থ সাহায্যকারী। “এই ইরশাদ দ্বারা দুইটি মাসআলা বুঝা গেল। একটি হল; মুছিবতের সময় 'ইয়া আলী মদদ’ বলাটা জায়িয। কেননা হযরত সায়্যিদুনা আলী মুরতাদ্বা كَرَّمَ اللّٰه تَعَالٰی وَجۡهَهُ الۡكَرِیۡمِ প্রত্যেক মুমিনের জন্য কিয়ামত পর্যন্ত সাহায্যকারী। দ্বিতীয়টি হল; তিনি كَرَّمَ اللّٰه تَعَالٰی وَجۡهَهُ الۡكَرِیۡمِ কে ‘মওলা আলী’ বলাটা জায়িয। কেননা তিনি প্রত্যেক মুসলমানের ওলী তথা অভিভাবক ও মওলা তথা মুনিব।” (মিরআতুল মানাজীহ, ৮ম খন্ড, পৃ-৪১৭)।
দুশমন কো জোর বাড় চলা হে, ইয়া আলী মদদ।
আব জুলফিকারে হায়দারী, পির বে নিয়াম হাে।
_____________________
হযরত আলী كَرَّمَ اللّٰه تَعَالٰی وَجۡهَهُ الۡكَرِیۡمِ এর কারামত,
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন