সাহাবায়ে কিরামদের মর্যাদা
হযরত সায়্যিদুনা আবু সাঈদ খুদরী رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰی عَنۡهُ থেকে বর্ণিত, রাসুলে আরবী, প্রিয় নবী করিম صَلَّی اللّٰهُ تَعَالٰی عَلَيۡهِ وَاٰلِهٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন “আমার সাহাবীদেরকে মন্দ বল না। কেননা তােমাদের মধ্য থেকে কেউ উহুদ (পাহাড়) সমপরিমাণ স্বর্ণ দান করলেও তাঁদের এক মুদ (ওজনের একটি পরিমাপ) সমপরিমাণ স্তরে পৌঁছবে না, এমন কি অর্ধেকেরও নয়।” (বুখারী শরীফ, ২য় খন্ড, পৃ: ৫২২, হাদীস নং : ৩৬৭৩)।
জিতনে তারে হে উস ছেরখে যি জা কে,
জিস কদর মা পারে হ্যায় উস মাহ কে,
জা নশি হ্যায় জো মরদে হক আগাহ কে,
আওর জিতনে হ্যায় শাহজাদে উস শাহ কে,
উন সব আহলে মাকানত পে লাখাে সালাম।
প্রসিদ্ধ মুফাসসির, হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতি আহমদ ইয়ার খান رَحۡمَةُ اللّٰهِ تَعَالٰی عَلَيۡهِ এই হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় বলেছেন : ৪ মুদে এক ছা হয়ে থাকে, আর এক ছা এর পরিমাণ হল সােয়া ৪ সের। অতএব ১ মুদ এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১ সের আধা পােয়া অর্থাৎ আমার সাহাবী যদি সােয়া ৪ সের এর সমপরিমাণ গম দান করে আর তাঁরা ছাড়া অন্য কোন মুসলমান চাই গাউছ, কুতুব হােক অথবা সাধারণ মুসলমান পাহাড় ভর্তি সােনা দান করে তবে তাদের সােনা দান করাটা আল্লাহ তায়ালা নৈকট্য অর্জন ও গ্রহণযােগ্যতার ক্ষেত্রে সাহাবীদের সােয়া সের গম সদকা করার সম মর্যাদা অর্জন করতে পারবে না। এমনই অবস্থা রােযা, নামায এবং প্রত্যেক ইবাদতের ক্ষেত্রে । যখন মসজিদে নববী শরীফের নামায অন্য স্থানের নামাযের চেয়ে ৫০ হাজার গুণ বেশি মর্যাদা রাখে তখন যারা হুজুর আকরাম, প্রিয় নবী صَلَّی اللّٰهُ تَعَالٰی عَلَيۡهِ وَاٰلِهٖ وَسَلَّم এর সংস্পর্শ আর দীদার দ্বারা ধন্য হয়েছেন তাঁদের ব্যাপারে কী বলা যেতে পারে। এই হাদীস শরীফ থেকে বুঝা যায় যে, সাহাবায়ে কেরাম عَلَيۡهِمُ الرِّضۡوَان গণের আলােচনা সর্বদা উত্তম ভাষায় করা চাই। কোন সাহাবীকে অতি নিম্নমানের শব্দ দ্বারা স্মরণ করাে না। ঐ সকল সম্মানিত সাহাবায়ে কিরাম যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা আপন মাহবুব প্রিয় নবী صَلَّی اللّٰهُ تَعَالٰی عَلَيۡهِ وَاٰلِهٖ وَسَلَّم এর সংস্পর্শের জন্য নির্বাচন করেছেন। যখন দয়ালু বাবা নিজ সন্তানকে কখনও খারাপ লােকদের সংস্পর্শে থাকতে দেন না, তবে মেহেরবান আল্লাহ তায়ালা আপন নবী করীম صَلَّی اللّٰهُ تَعَالٰی عَلَيۡهِ وَاٰلِهٖ وَسَلَّم কে কীভাবে খারাপ লােকদের সংস্পর্শে থাকাটা পছন্দ করবেন?
রাসূলুল্লাহ তায়্যিব, উনকে ছব সাথী ভী তাহের হে,
চুনীদা বাহরে পা'কা হযরতে ফারুকে আ’যম হে।।
(মিরআতুল মানাযীহ, ৮ম খন্ড, পৃ: ৩৩৫)।
_____________________
হযরত আলী كَرَّمَ اللّٰه تَعَالٰی وَجۡهَهُ الۡكَرِیۡمِ এর কারামত,
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন