ইয়া গাউছ বলার প্রমাণ

 

ইয়া গাউছ বলার প্রমাণ

প্রশ্ন (১১): অনুরূপ 'ইয়া গাউছ’ বলারও কি কোনরূপ প্রমাণ পাওয়া যায়? 

উত্তর : কেন পাওয়া যাবে না। এমনিতেই তাে যথেষ্ট প্রমাণ আগে দেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্য দলিলই বিদ্যমান। যেমন; সুপ্রসিদ্ধ হানাফী আলেম হযরত আল্লামা মাওলানা মােল্লা আলী ক্বারী  رَحۡمَةُ اللّٰهِ تَعَالٰی عَلَيۡهِ বলেছেন: হুযুর গাউছে পাক  رَحۡمَةُ اللّٰهِ تَعَالٰی عَلَيۡهِ বলেন, যে ব্যক্তি কোন দুঃখ কষ্টের সময় আমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবে তার দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যাবে। যে ব্যক্তি কঠিন অবস্থায় আমার নাম নেবে, তার দুরবস্থা কেটে যাবে। যে ব্যক্তি প্রয়ােজনের সময় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট আমাকে মাধ্যম বানাবে, তার হাজাতগুলাে পূর্ণ হয়ে যাবে । হযরত আল্লামা মাওলানা আলী ক্বারী  رَحۡمَةُ اللّٰهِ تَعَالٰی عَلَيۡهِ লিখেছেন, হুজুর গাউছে পাক 'নামাযে গাউছিয়া’র নিয়ম বর্ণনা করতে গিয়ে ইরশাদ করেন: দুই রাকাত নামায পড়বে। প্রতি রাকাতে সূরাতুল ফাতিহার পরে ১১, বার সূরা ইখলাস পড়ে সালাম ফিরিয়ে পুনরায় ১১ বার সালাত ও সালাম اَلصَّلَٰوةُ وَالسَّلَامُ عَلَیۡكَ یَا رَسُوۡلَ اللّٰه পাঠ করবে। অত:পর বাগদাদের দিকে (পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জন্য উত্তর দিকে) ১১ কদম দেবে। প্রতি কদমে আমার নাম নিয়ে নিজের হাজত (সমস্যা) আরজ করবে। আর নিচের শের দুইটি পাঠ করবে: 

اَیُدۡرِكُنِی ضَيۡمٌ وَاَنۡتَ دَخِيۡرَ تِیۡ

 وَاُظۡلَمُ فِی الدُّنۡيَا وَاَنۡتَ نَصِيۡرِیۡ 

وَعَارٌ عَلٰى حَامِیۡ الۡحِمٰی وَهُوَ مُنۧجِدِىۡ 

اِذَا ضَاعَ فِی الۡبَيۡدَاءِ يطعِقَالُ بِعِيۡرِیۡ 

আমার উপর কি জুলুম করা হবে, যেক্ষেত্রে আপনিই আমার কর্ণধার? দুনিয়াতে কি আমার উপর অত্যাচার করা হবে, যেক্ষেত্রে আপনিই আমার সাহায্যকারী? গাউছে পাকের আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বন-জঙ্গলেও যদি আমার উটের রশি হারিয়ে যায়, তা হলে আমার রক্ষণাবেক্ষণকারীর পক্ষে এ বিষয়টি লজ্জাষ্করই বটে। এ কথা বলে হযরত মােলা আলী ক্বারী  رَحۡمَةُ اللّٰهِ تَعَالٰی عَلَيۡهِ ইরশাদ করছেন: 

হুসনে নিয়ত হাে খতা তাে কভি করনা হি নিহি

আজমায়া হে য়াগানা হে দোগানা তেরা। (হাদায়িকে বখশিশ শরীফ) 

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা দেখলেন, হযরত গাউছে আযম  رَحۡمَةُ اللّٰهِ تَعَالٰی عَلَيۡهِ মুসলমানদের শিক্ষা দিচ্ছেন, বিপদের সময় তােমরা আমার সাহায্য প্রার্থনা করিও। হানাফী মাযহাবের জগদ্বিখ্যাত আলেম হযরত সায়্যিদুনা মালা আলী ক্বারী  رَحۡمَةُ اللّٰهِ تَعَالٰی عَلَيۡهِ এটিকে প্রত্যাখ্যান করার কোন পথ নেই মর্মে বলেছেন যে, 'এই নামাযে গাউছিয়ার পরীক্ষা বার বার করে করা হয়েছে । নিতান্তই বিশুদ্ধ পাওয়া গেছে।'

এতে করে বুঝা যায় যে, ওফাতের পর বুজর্গদের নিকট থেকে সাহায্য প্রার্থনা করা কেবল জায়েযই নয়, বরং উপকারীও বটে। (জাআল হক। পৃষ্ঠা: ২০৭) 


গাউছে পাকের ঈমান তাজাকারী তিনটি বাণী

হযরত আল্লামা শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী  رَحۡمَةُ اللّٰهِ تَعَالٰی عَلَيۡهِ “আখবারুল আখিয়ার" কিতাবে হুযুর গাউছে আযম, বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী  رَحۡمَةُ اللّٰهِ تَعَالٰی عَلَيۡهِ এর বরকতময় যেসব বাণী বর্ণনা করেছেন তন্মধ্য থেকে তিনটি উল্লেখ করা হল। 

{১} আমার কোন মুরিদের পবিত্রতার পর্দা (সতর) যদি পূর্বপ্রান্তে খুলতে থাকে, আর আমি যদি পশ্চিমপ্রান্তেও অবস্থান করি তা হলে আমি তার পর্দা ঢেকে দিব । 

{২} কেয়ামত পর্যন্ত আমি আমার মুরিদের সাহায্য করতে থাকব, সে যদি (সামান্য) বাহন থেকেও পড়ে যায়।

 {৩} যে ব্যক্তি বিপদের সময় আমাকে স্মরণ করবে ‘আল মদদ ইয়া গাউছ’ বলবে তার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। (আখবারুল আখিয়ার । পৃষ্ঠা: ১৯) 

কসম হে কেহ মুশকিল কো মুশকিল না পায়া 
কাহা হাম নে জিস ওয়াক্ত ‘ইয়া গাউছে আযম'। (যওকে নাত)। 

প্রশ্ন (১২): শায়খ আবদুল কাদের জিলানী   رَحۡمَةُ اللّٰهِ تَعَالٰی عَلَيۡهِ তাে আরবি-ফার্সী ভাষায় কথা বলতেন। অন্য সব ভাষায় যেমন; উর্দু, বাংলা, ইংরেজী, পশতু, গুজরাটী, পাঞ্জাবী ইত্যাদিতে তাঁকে সাহায্যের জন্য আহ্বান করা হলে তিনি তা কীভাবে সাহায্য করবেন? 

উত্তর : কোন মহিলা তার স্বামীকে যেকোন ভাষাতেই কষ্ট দিক না কেন তার ভবিষ্যত স্ত্রী জান্নাতী হুরেরা তা বুঝে নিতে পারে ।

_____________________

হযরত আলী كَرَّمَ اللّٰه تَعَالٰی وَجۡهَهُ الۡكَرِیۡمِ এর কারামত,

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন