আল্লাহ তায়ালার যাত— মুশাহিদা, রুইয়াত ও খেয়ালে না আসা সম্পর্কে

 

আল্লাহতায়ালার যাত— মুশাহিদা, রুইয়াত ও খেয়ালে না আসা সম্পর্কেঃ আমরা  এমন আল্লাহর ইবাদাত করি না, যিনি শুহুদ বা দর্শনের আওতায় আসেন, যাকে  দেখা যায়, জানা যায় এবং ধারণা ও খেয়ালে যার সংকুলান হয়। কেননা, মাশহুদ,  মারই, মা’লুম, মাওহুম্ এবং খেয়ালে আসে এমন জিনিস হলো- পর্যবেক্ষণকারী,  দর্শনকারী, জ্ঞাতব্যক্তি, ধারণাকারী, খেয়ালকারীদের মতো মাখলুক বা সৃষ্ট। যেমন  কোনো কবির ভাষায়ঃ  

যে লোকমার সংকুলান হয় না মুখে,  

তাই আমি খুঁজছি বার বার।  

সায়ের ও সুলুকের উদ্দেশ্য হলোঃ পর্দা বা আবরণ উন্মুক্ত করা। চাই ঐ পর্দা  ওজুবী বা অবশ্যম্ভাবী হোক কিম্বা ইমকানী বা সম্ভবপর হোক, যাতে পর্দাহীন  অবস্থায় মিলন হতে পারে। এমন নয় যে, মাতলুব বা কাংখিত বস্তু নিজের  নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং নিজের অধীনস্থ হবে। যেমন কোনো কবির ভাষায়ঃ  

আনকা শিকার যায় না করা  

জাল তুলে নাও- হে শিকারী।  

জাল যে পাতে আনকা আশায়  

শূন্য হাতে যায় সে ফিরি’।  

স্মর্তব্য যে, আখেরাতে রুইয়াত বা আল্লাহ দর্শন বরহক বা অতীব সত্য।  আমরা এ কথায় ইমান বা বিশ্বাস রাখি। কিন্তু তার কাইফিয়াত বা অবস্থা কেমন  হবে, তা আমরা বর্ণনা করতে চাই না। কেননা, সাধারণ লোক এ প্রসঙ্গ বুঝতে  অক্ষম। অবশ্য বিশেষ ব্যক্তিরা একথা বুঝতে সক্ষম। কেননা, এদের জন্য এই  দুনিয়াতেই ঐ মাকামের একটি হিসসা বা অংশ আছে। যদিও রুইয়াত বা দর্শন  হিসাবে তার নামকরণ করা হয় না। তাঁদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, যারা  হেদায়েতের অনুসরণ করে। দুনিয়াতেই ঐ মাকামের একটি হিসসা বা অংশ আছে। যদিও রুইয়াত বা দর্শন হিসাবে তার নামকরণ করা হয় না। তাঁদের উপর শান্তি বর্ষিত হােক, যারা হেদায়েতের অনুসরণ করে। 

_______________

কিতাব: মাবদা ওয়া মা'আদ

কৃত: হজরত মুজাদ্দেদে আলফে সানী রহমাতুল্লাহি  আলাইহি

অনুবাদ: ড. আ ফ ম আবু বকর সিদ্দীক

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন