মাকামে তাকমীলঃ সর্বপ্রথম যে দরওয়াজা এই দরবেশের প্রতি উন্মুক্ত হয়, তাতে ছিলো পাওয়ার আকাঙ্খা, প্রাপ্তি নয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রাপ্তি লাভ হয় এবং পাওয়ার আকাংখা দুরীভূত হয়। তৃতীয় পর্যায়ে পাওয়ার আকাংখার ন্যায়, প্রাপ্তিও দূর হয়ে যায়। অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্যায় (প্রাপ্তির মাকাম) মানে বেলায়েতে খাসসা পর্যন্ত পৌঁছানো এবং কামাল বা পূর্ণতাপ্রাপ্তির অবস্থা এবং তৃতীয় পর্যায় (পাওয়ার আকাঙ্খার ন্যায় প্রাপ্তিও দূর হওয়া) তাকমীলের মাকাম, অর্থাৎ দাওয়াত ও ইরশাদের জন্য মাখলুকের প্রতি প্রত্যাবর্তনের মাকাম। প্রথম পর্যায়টি কেবল মাত্র জযবা হিসাবে পূর্ণতা প্রাপ্তি। কিন্তু যখন তার সঙ্গে সুলুকের সমন্বয় ঘটে এবং সালেকের পূর্ণতাপ্রাপ্তি ঘটে, তখন দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয় এবং সবশেষে তৃতীয় পর্যায় আসে। কিন্তু ঐ মাজ্যুব তিনি সুলূকের ধার ধারেন না, তিনি দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় থেকে কোনো উপকারই প্রাপ্ত হন না। সুতরাং নিজে কামেল এবং অন্যকে কামেল বানানোর যোগ্যতাসম্পন্ন মাজযুব তিনিই, যিনি মাজযুব ও সালেক (অর্থাৎ মাজযুব সালেক)। তারপর আসে সালেক মাজযুবের পর্যায়। বর্ণিত দুটি পর্যায়ের কোনোটাই যদি হাসিল না হয়, তবে সে ব্যক্তি নিজে কখনও কামেল হতে পারে না, অন্যকে পূর্ণতার পর্যায়ে পৌঁছাতেও পারে না। কাজেই তুমি ঐ পর্যায়ের লোকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক হজরত খায়রুল বাশার সায়্যেদেনা মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের উপর এবং তাঁর পবিত্র বংশধরদের উপরেও।
_______________
কিতাব: মাবদা ওয়া মা'আদ
কৃত: হজরত মুজাদ্দেদে আলফে সানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
অনুবাদ: ড. আ ফ ম আবু বকর সিদ্দীক
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন