নেসবতে নকশবন্দী: রবিউসসানী মাসের শেষের দিকে এই দরবেশ, এই সম্মানিত তরীকার একজন বুজুর্গের (হজরত খাজা বাকী বিল্লাহ কাদ্দাসা সিররুহু) সান্নিধ্যে আসে- যিনি ছিলেন নকশবন্দীয়া সিলসিলার একজন খলীফা। এই সম্মানিত তরীকা গ্রহণের পর, সেই বৎসরের রজব মাসের মাঝামাঝি সময়ে নকশবন্দীয়া তরীকার হুজুরী (অন্যান্য তরীকার শেষের বস্তু, এই তরীকার প্রারম্ভে প্রবিষ্টকরণ) আমার লাভ হয়। ঐ বুজুর্গ (খাজা সাহেব) বলেনঃ নেসবতে নকশবন্দী আসলে ‘হুজুরী কলব’ (সর্বাবস্থায় স্মরণে অন্তর ধ্যনমগ্ন থাকা)। পূর্ণ দশ বৎসর কয়েকমাস অতিবাহিত হওয়ার পর যিলকদ মাসের প্রথমার্ধে উক্ত হুজুরী, যা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক অবস্থায় অসংখ্য পর্দার অন্তরাল থেকে দৃষ্টিগোচর হতো, উক্ত পর্দাসমূহ বিদীর্ণ হয়ে স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হলো।
তখন এরকম স্পষ্ট ধারণা হয় যে, প্রথম অবস্থায় যে তাজাল্লী দৃষ্টিগোচর হয়েছিলো, তা ছিলো উক্ত ইসম বা নামের বাহ্যিক কাঠামো বা খোলস মাত্র। এই দুইটির (আদি ও অন্তের) মধ্যে বিরাট পার্থক্য বিদ্যমান। প্রকৃত অবস্থা এই মাকামে পৌছানোর পর প্রকাশ পায় এবং এ সম্পর্কিত গুঢ় রহস্যাবলী উদঘাটিত হয়। যিনি এ অবস্থার স্বাদ আস্বাদন করেননি, তিনি এ সম্পর্কে কিছুই উপলব্ধি করতে পারবেন না। হজরত সায়্যেদুল আনাম সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের উপর, তাঁর পবিত্র পরিবার পরিজন ও সাহাবীদের উপর অসংখ্য দরূদ ও সালাম।
_______________
কিতাব: মাবদা ওয়া মা'আদ
কৃত: হজরত মুজাদ্দেদে আলফে সানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
অনুবাদ: ড. আ ফ ম আবু বকর সিদ্দীক
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন