মু’আরবেযাতাইনের ব্যাপারে কাশফ


মু’আরবেযাতাইনের ব্যাপারে কাশফ সম্পর্কেঃ হজরত মাখদুম শায়েখ শারফুদ্দীন ইয়াহইয়া মানিরী র. তার মকতুবাতে লিখেছেনঃ ‘মু’আরবেযাতাইনের বা সুরা ফালাক ও নাস্-কে নামাজের মধ্যে না পড়া উচিত। কেননা, হজরত ইবন মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, এই দুইটি সূরা কোরআনের অংশ হওয়ার ব্যাপারে, জমহুর বা অসংখ্য আলেমের অভিমতের বিপরীত মত ব্যক্ত করেছেন। সুতরাং নামাযের মধ্যে যতােটুকু কিরাআত পাঠ করা ফরয, তাতে তিনি এই দুটি সূরা পাঠ করতেন না। এই ফকীরও এই দুইটি সূরা নামাযের মধ্যে পড়তাে না। এমতাবস্থায়, একদা এই ফকীরের উপর প্রকাশ পায় যে, যেনাে মু’আরবেযাতাইনের আমার নিকট উপস্থিত এবং তারা মাখদুম শায়েখ শরফুদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযােগ করছে, তিনি কোরআন থেকে আমাদেরকে কেনাে বহিষ্কার করলেন? এ সময় থেকে আমি সুরা দুটি ফরয নামাযের কিরআতে পাঠ করতে থাকি। আমি যখনই এ দুটি সুরা দিয়ে ফরয নামায আদয় করতাম, তখনই আশ্চর্য হালসমূহ অবলােকন করতাম। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে, যখন ইলমে শরীয়তের দিকে দৃষ্টি দেয়া হয়, তখন এ দুটি সুরা ফরয নামাযের মধ্যে পাঠ করাতে কোনােরূপ প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় না। বরং এটা সৰ্ববাদীসম্মত হুকুমের অকাট্যতার মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছুই নয়। কেননা যা কিছু দফতরের মধ্যে লিখিত আছে, তার সবই কোরআন। এতদ্ব্যতীত, একথাও স্মরণীয় যে, যখন নামাযের মধ্যে সুরা ফাতিহার পরে, অন্য একটি সূরা মিলান ওয়াজিব, ফরয নয়; তখন এই সূরাদ্বয় আবশ্যকভাবে সূরা ফাতিহার সঙ্গে মিলিয়ে পড়াতে অসুবিধার কিছুই নেই। আমার তাে শায়েখ ইয়াহইয়া মানিরী র. এর এই বক্তব্যে খুবই বিস্ময় বােধ হয়। সাইয়্যেদুল বাশার সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের উপর এবং তাঁর পরিবার পরিজনদের উপর অসংখ্য দরূদ ও সালাম।

_______________

কিতাব: মাবদা ওয়া মা'আদ

কৃত: হজরত মুজাদ্দেদে আলফে সানী রহমাতুল্লাহি  আলাইহি

অনুবাদ: ড. আ ফ ম আবু বকর সিদ্দীক

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন