নেয়ামতের প্রকাশঃ আল্লাহতায়ালার বাণীঃ ‘তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা প্রচার করো’। একদিন এই দরবেশ তাঁর বন্ধু-বান্ধবদের মজলিসে উপবিষ্ট ছিলো এবং নিজের ত্রুটি বিচ্যুতির প্রতি লক্ষ্য করছিলো। এই অবস্থা এমন প্রবল আকার ধারণ করলো যে, আমি ফকীরির সঙ্গে নিজেকে সম্পর্কবিহীন অনুভব করতে থাকি। এমতাবস্থায় এই বক্তব্যঃ ‘যে সন্তুষ্টি লাভের আশায় বিনয়ী হয়, আল্লাহ্ তাঁর মর্যাদা বুলন্দ করে দেন’ আমাকে অপমানের অবস্থা থেকে উন্নীত করে। তখন আমার অন্তরের মধ্যে এইরূপ আওয়াজ উত্থিত হয়ঃ ‘আমি তোমাকে ক্ষমা করলাম। আর কেয়ামত পর্যন্ত সৃষ্ট সকলকেও ক্ষমা করলাম, যারা তোমার অসীলায় আমার কাছে পৌঁছাবে, চাই সে অসীলা কারো মাধ্যমে হোক বা মাধ্যম ছাড়া।’ —এই আওয়াজ বারবার অনুরণিত হতে থাকে, শেষে সকল সংশয়ের অবসান ঘটে। এই নেয়ামত প্রাপ্তির জন্য হক্ তায়ালা সুবহানুহুর অসংখ্য হামদ ও ছানা (প্রশংসা ও প্রশস্তি)। এই নেয়ামত এমনই, যা পবিত্র এবং বরকতময়। অতঃপর দরূদ ও সালাম তাঁর রসুল ও আমাদের নেতা মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লামের উপর এবং তাঁর পরিবার পরিজনদের উপরও। অবশেষে এই ঘটনা প্রকাশ করার জন্য আমার প্রতি হুকুম হলো।
বাদশাহ্ যদি আসে কভু কুটিরে বৃদ্ধার.
কারণ কি তাতে হে খাজা, তোমার গোস্বার?
নিশ্চয় তোমার রব অতি বড় ক্ষমাশীল।
_______________
কিতাব: মাবদা ওয়া মা'আদ
কৃত: হজরত মুজাদ্দেদে আলফে সানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
অনুবাদ: ড. আ ফ ম আবু বকর সিদ্দীক
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন