সায়েরে ইজমালীর মর্তবা-সায়েরে তাফসীলির ঊর্ধ্বে

 

সায়েরে ইজমালীর মর্তবা-সায়েরে তাফসীলির ঊর্ধ্বেঃ যে সালেকের সায়ের বা ভ্রমণ, আসমা ও সিফাতের ব্যাপকতার মধ্যে পতিত হয়েছে, তার যাতে জাল্লা সুলতানুহু পর্যন্ত পৌছানাের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে কেননা, আসমা ও সিফাতের তাে কোনাে শেষ পরিসীমা নেই যে, তা অতিক্রম করার পর সালেক মনজিলে মাকসুদে পৌছবে। মাশায়েখগণ এই মাকাম সম্পর্কে বলেছেন যে, এই মাকামের কোনাে শেষ সীমা নেই। কেননা, মাহবুবের কামালাত বা পূর্ণতা অনন্ত ও অসীম। আর এইস্থানে পৌছানাের অর্থ হলাে আসমা ও সিফাতের সঙ্গে মিলনমাত্র। ঐ সালেক বা আত্মিক ভ্রমণকারী ব্যক্তিই সৌভাগ্যবান, যিনি আসমা ও সিফাতের মধ্যে সংক্ষিপ্তভাবে ভ্রমণ সম্পন্ন করেন এবং দ্রুততার সঙ্গে আল্লাহ্তায়ালার পবিত্র যাতের মিলন লাভ করেন।

শেষস্তরে পৌঁছানাের পর প্রত্যাবর্তন সম্পর্কেঃ যাতের মিলন লাভকারী ব্যক্তিগণের জন্য উন্নতির সর্বশেষবিন্দু বা স্তরে পৌছানাের পর, দাওয়াত ও ইরশাদের দায়িত্ব নিয়ে প্রত্যাবর্তন করা অত্যাবশ্যক। এই মাকাম থেকে প্রত্যাবর্তিত না হওয়ার কল্পনাও করা যায় না। একথা এ সমস্ত মধ্যপন্থী হজরতদের মতের খেলাফ, যারা স্বীয় যােগ্যতানুসারে শেষস্তরে পৌছানাের পর প্রত্যাবর্তনকে জরুরী মনে করেন না। হতে পারে, তারা প্রত্যাবর্তন করেন, অথবা এও হতে পারে যে, তারা সেখানে থাকাই পছন্দ করেন। সুতরাং, যারা শেষস্তরে পৌছান, তাদের ব্যাপারে বলা যায় যে, তারা পূর্ণতার অধিকারী হন। কিন্তু যারা আসমা ও সিফাতের বিশালতার মধ্যে সায়ের করেন, তাদের পৌছানাের শেষ স্তর কিছুই নেই; যেখানে পৌছানাের পর তাদের পূর্ণতা হাসিল হতে পারে। এই জ্ঞান ঐ বিশেষ জ্ঞানসমূহের অংশ, যা এই ফকীরকে দান করা হয়েছে। বস্তুতঃ সঠিক জ্ঞান তাে আল্লাহ্ সুবহানুহুর নিকটেই।

_______________

কিতাব: মাবদা ওয়া মা'আদ

কৃত: হজরত মুজাদ্দেদে আলফে সানী রহমাতুল্লাহি  আলাইহি

অনুবাদ: ড. আ ফ ম আবু বকর সিদ্দীক

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন