আওলীয়া আল্লাহদের জাহির ও বাতিনের পার্থক্য সম্পর্কেঃ ইয়া ইলাহী। এ কেমন ব্যাপার, যা তুমি তোমার আওলীয়াদের সম্পর্কে নির্ধারণ করেছো? এদের বাতিন অবস্থা তো খিযির আ, এর আবে হায়াতের ন্যায় এমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন । যে, যদি কেউ একবার তা পান করে ,তবে সে চিরস্থায়ী জীবনের অধিকারী হয়। আর তাদের জাহির বা প্রকাশ্য অবস্থা প্রাণবিনাশকারী হলাহল সদৃশ। যে কেউ তাঁদের জাহির অবস্থার দিকে দৃষ্টিপাত করবে , সে চিরস্থায়ী মৃত্যুর শিকার হবে ।
তাঁরা ঐ ধরনের বুজুর্গ, যাদের বাতিন রহমতে পরিপূর্ণ এবং জাহির বেদনাময় । যারা তাদের বাতিন অবস্থা দর্শন করে , তারা তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় এবং যারা তাদের বাহ্যিক অবস্থা পরিদর্শন করে , তারা পথভ্রষ্ট হয়। বাহ্যতঃ তারা যবের ন্যায়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা গমের মতাে । দৃশ্যতঃ তারা সাধারণ মানুষের মতো , কিন্তু হাকীকতে তারা খাস্-ফিরিশতাদের ন্যায়। তারা বাহ্যতঃ যমীনের উপর বিচরণ করে , কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা আসমানে সায়ের বা ভ্রমণকারী। তাদের সোহবতে উপবেশনকারীগণ দুর্ভাগ্য হতে নাজাত বা মুক্তি প্রাপ্ত হয় এবং তাদের সাথে মহব্বতের সম্পর্ক স্থাপনকারীরা সৌভাগ্যবান হয়। আল্ কোরআনের ভাষায়ঃ এরাই আল্লাহ্র জামা'আত। মনে রেখো ,আল্লাহর জামা'আতের লোকেরাই কল্যাণ ও মুক্তির অধিকারী হবেন।আমাদের নেতা হজরত মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের উপর দরূদ ও সালাম এবং তাঁর পরিবার -পরিজনদের উপরেও।
_______________
কিতাব: মাবদা ওয়া মা'আদ
কৃত: হজরত মুজাদ্দেদে আলফে সানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
অনুবাদ: ড. আ ফ ম আবু বকর সিদ্দীক
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন