নামাযে কুমন্ত্রণা

 

নামাযে কুমন্ত্রণা


 নামাযেও শয়তান বিরক্ত করে থাকে এবং মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করতে থাকে। “মুসলিম শরীফে” বর্ণিত রয়েছে যে, হযরত সায়্যিদুনা ওসমান বিন আবিল আস (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বলেন যে, আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ !َশয়তান আমাকে এবং আমার নামাযে ও তিলাওয়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, নামাযে সন্দেহ সৃষ্টি করে দেয়। হুযুরে আকরাম, নূরে মুজাসসাম (ﷺ) ইরশাদ করেন: এই শয়তান কে খিনযাব বলা হয়, যদি কখনো তুমি তা অনুভব করো, তখন আল্লাহ তায়ালার আশ্রয় প্রার্থনা করো এবং বাম দিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করো। সুতরাং আমি এরূপ করেছি, তখন আল্লাহ তায়ালা তাকে দূর করে দিয়েছেন। (সহীহ মুসলিম, ১২০১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ২২০৩)।


নামাযে আসা কুমন্ত্রণাগুলো থেকে বাঁচার পদ্ধতি 


প্রসিদ্ধ মুফসসির, হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতি আহমদ ইয়ার খান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) উল্লেখিত হাদীসে পাকের ব্যাখ্যায় বলেন: নামায শুরু করার সময় তাকবীরে তাহরীমার পূর্বে, অভিজ্ঞতা এরূপ যে, যে ব্যক্তি তাহরীমা (অর্থাৎ নামায শুরু করার) পূর্বে এভাবে (অর্থাৎ বাম দিকে ৩ বার) থুথু নিক্ষেপ করে লা হাওল শরীফ  পাঠ করবে, অতঃপর তাহরীমা করবে (অথার্ৎ নামায শুরু করবে), নামাযের মধ্যে দৃষ্টির হিফাযত করবে (তা এভাবে যে,) দাঁড়ানো অবস্থায় সিজদার স্থানে, রুকুতে পায়ের উপর (অর্থাৎ পায়ের পাতার উপরের অংশে), সিজদায় নাকের উপর (অর্থাৎ নাকের হাঁড়ের উপর), বৈঠকে (অর্থাৎ দুই সিজদার মাঝখানে বসা) এবং কাদায় (অর্থাৎ আত্তাহিয়্যাত ইত্যাদি পাঠ করার সময়) কোলের দিকে দৃষ্টি রাখবে, তবেَ  ّনামাযে একাগ্রতা (অথার্ৎ বিনয়ী ও নম্রতা) নসীব হবে। (মিরাতুল মানাজিহ, ১ম খন্ড, ৮৯ পৃষ্ঠা)।

_____________

কিতাব: ওয়াসওয়াসা এবং এর প্রতিকার

লেখক: আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন