কোমলতার জয়
বাদশাহ'র ভৃত্য পলায়ন করেছে।
রাজা হুকুম দিলেন যে কোনোভাবে হোক ওকে খুঁজে বের করো।
ভৃত্যকে খুঁজে ধরে নিয়ে আসা হল।
বাদশাহ তার প্রাণদণ্ডের আদেশ দিলেন ।
নিয়ে যাওয়া হল তাকে জল্লাদের দরবারে । জল্লাদের খড়গ উদ্যত।এই ঘোর দুঃসময়ে একজন মানুষের করার কী থাকতে পারে! ভৃত্যটি হতাশার ঘন অন্ধকারে নিমজ্জিত ।
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বেচারা কাতরস্বরে প্রার্থনা শুরু করল হে পরধ করুণাময়, আমাকে অহেতুক হত্যা করা হচ্ছে। যারা
আমাকে হত্যা করছে তাদের আমি ক্ষমা করেছি ।
তুমিও তাদের ক্ষমা করো । বাদশাহ আমার প্রাণদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন । তাতে আমার কোনো দুঃখ নেই । কারণ এই রাজাই আমাকে প্রতিপালন করেছেন । তুমি সকলের পাপ ক্ষমা করো ।
বাদশাহ ভৃত্যের ফাসির মঞ্চের পাশেই ছিলেন! ভূত্যের মৃত্যুকালীন প্রার্থনা শুনে তার চিত্ত বিচলিত হল।তিনি লজ্জা পেলেন।তার সমস্ত রাগ পানি হয়ে গেল । সঙ্গে সঙ্গে আদেশ দিলেন রাজা ওকে মুক্ত করে দাও।
ভৃত্যটি মুক্তি পেল তার কোমলতা দিয়ে ।
যদি ফাসির মঞ্চে তার ক্রোধের আগুন জ্বলত, তবে হিতে বিপরীত হতে পারতো। ভৃত্যটি প্রার্থনার সময় নম্রভাবে,কোমলভাবে
,বিনীতভাবে সকলের মঙ্গল কামনা করেছে। মনে রাখা দরকার, সকলের মঙ্গল কামনার মধ্যেই নিজের মঙ্গল লুকিয়ে থাকে ।
___________
শেখ সাদীর গল্প
আমীরুল ইসলাম
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন