শাবান মাসের নফল ইবাদত



শাবান মাসের নফল ইবাদত

মূল : আল্লামা আলম ফকরী

অনুবাদ : মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন আবেদী


'শা'বান' ইসলামী বছরের অষ্টম মাস। شَعۡبَانُ  (শা'বানু) আরবী শব্দটি تَشَعَّبٌ (তাশাওউ'বুন) শব্দ থেকে গঠন করা হয়েছে। যেটার অর্থ পৃথক হওয়া বা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা।

কেননা এমাসে অধিক মঙ্গল ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। সাথে সাথে এটাও রয়েছে যে, এ মাসে রিযিক বন্টন করা হয়। এ জন্য এ মাসকে 'শা'বান বলা হয়। হাদীস শরীফে রয়েছে, শাবান মাসকে এজন্য শা'বান মাস বলা হয় যে, এ মাসে রােযাদারদের জন্য অধিকহারে মঙ্গল বরাদ্দ বা বন্টন করা হয়, شَعۡبَانُ  (শা'বানু) শব্দে পাঁচটি অক্ষর রয়েছে। অক্ষরগুলাের মর্মার্থ হলাে ش (শীন) দ্বারা شَرَفٌ (শারাফুন) বা মর্যাদা, ع (আইন) দ্বারা عُلُوٌّ (উলুওয়ুন)বা উচ্চাসন, ب (বা) দ্বারা (বাররুন) বা অনুগ্রহ পরায়ণ, الف (আলিফ) দ্বারা اُلۡفَةٌ (উলফাতুন) বা ভালবাসা এবং ن (নূন) দ্বারা نُوۡرٌ  বা আলাে। এ মাসের এ পাঁচটি অক্ষর দ্বারা গঠিত শব্দের নেয়ামত মহান আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে বান্দাহদের জন্য বরাদ্দ হয়ে থাকে। শুধু তাই নয় এ মাসে পুণ্যের দ্বার উম্মুক্ত করা হয়, বরকত অবতীর্ণ করা হয়, গােনাহ ক্ষমা করা হয়।

হুজুর করীম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামা'র উপর অত্যধিক দরুদশরীফ পাঠ বা প্রেরণ করা হয়। দরুদ শরীফপ্রেরণের এটা উপযুক্ত মাস।


মাহে শাবানের ইবাদত

হুজুর করীম সাল্লাল্লাহু তাআলা আলায়হি ওয়াসাল্লামা ইরশাদ ফরমান, "শাবান মাস হচ্ছে অত্যন্ত মর্যাদা মণ্ডিত মাস, কেননা এটা আমার মাস। সুতরাং রাব্বুল ইয্যতের দরবারে এ মাসে অত্যধিক প্রতিদান ও সওয়াব রয়েছে।" আল্লাহ ওয়ালাদের আমল অনুযায়ী নিন্মােক্ত নফল ইবাদতের খুবই গুরুত্ব রয়েছে।


বার রাকআত নফল নামায

হাদীস শরীফে রয়েছে যে,হুজুর করীম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামা ইরশাদ ফরমান, "যে ব্যক্তি শা'বান মাসের প্রথম তারিখ রাতে বার রাকআত নফল নামায আদায় করবে এ নিয়মে-প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর ৫ বার করে সূরা ইখলাস পাঠ করবেন। আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে বার হাজার শহীদের সওয়াব প্রদান করবেন এবং বার বছর ইবাদতের সওয়াব তার জন্য লিপিবদ্ধ করা হবে। গােনাহ থেকে এভাবে পবিত্র করা হবে, যেন সবেমাত্র স্বীয় মাতার গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হয়েছে এবং ৮০ দিন পর্যন্ত তার আমল নামায় কোন গােনাহ লিপিবদ্ধ হবে না। (ফাদাইলু শুহুর)

অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে,যে শাবান মাসের প্রথম রাত ইশা নামাযের পর ছয় নিয়তে বার রাকআত নামায আদায় করবে। প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর পনের বার করে সূরা ইখলাস পাঠ করবে। সালাম ফিরানোর পর সত্তর বার দরূদ শরীফ পাঠ করে স্বীয় গােনাহ থেকে তাওবা করবে। তাকে বেহেশতে প্রবেশের সুযােগ দান করবেন।


প্রথম জুমআর রাতের নফল

মাহে শা'বানের প্রথম জুমআর রাত ইশা নামাযের পর আট রাকআত নামায এক সালামে আদায় করবে। প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর এগার বার সূরা ইখলাস পাঠ করে এগুলাের সওয়াব খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা'র নিকট প্রেরণ করবে। 

খাতুনে জান্নাত রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা ফরমান- "আমি ততক্ষণ পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবাে না,যতক্ষণ এ নামায আদায়কারীকে সাথে নিয়ে প্রবেশ করতে না পারি।


চার রাকআত নফল নামায

মাহে শা'বানের প্রথম জুমআর রাত ইশা নামাযের পর এক সালামে চার রাকআত নামায আদায় করবে এবং প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর তিনবার করে সূরা ইখলাস পাঠ করবে এ নামাযের অনেক ফযিলত রয়েছে। আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ওই ব্যক্তিকে গােটা জীবন সওয়াব প্রদান করা হবে।


দুই রাকআত নফল নামায

শা'বান মাসের প্রথম জুমআর মাগরিবের নামাযের পর, ইশা নামাযের পূর্বে দুই রাকআত নামায আদায় করবে। প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর একবার আয়াতুল কুরসি, দশবার সূরা ইখলাস,একবার সূরা ফালাক্ব ও একবার সূরা  নাস পাঠ করবে, ইনশাল্লাহ তা'আলা এ নামায ঈমানের উন্নতি সাধনের জন্য খুবই উত্তম পন্থা।


ওযিফা:

 শা'বান মাসের চৌদ্দ তারিখ আসর নামাযের পর সূর্যাস্তের সময় ওযু সহকারে চল্লিশবার নিন্মােক্ত কালেমা পাঠ 

لَا حَوۡلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّابِا للّٰهِ الۡعَلِيِّ الۡعَظِيۡمِ -

করবে- "উচ্চারণ- লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লা-হিল আ'লিয়িল আ'যীম"

এ দোআ পাঠ কারীকে আল্লাহ তা'আলা চল্লিশ বছরের গােনাহ ক্ষমা করে দেবেন।


চৌদ্দ-ই শাবানের নফল নামায

মাহে শাবানের চৌদ্দ তারিখ মাগরিবের নামাযের পর দুই রাকআত নামায আদায় করবে। প্রত্যেক, রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত একবার করে এবং সূরা ইখলাস তিনবার করে পাঠ করবে। ইনশাল্লাহ এ নামায গােনাহ ক্ষমাহের জন্য খুবই উত্তম আমল।

চৌদ্দ-ই শা'বান ইশা নামাযের পূর্বে দুই রাকআতের নিয়্যতে আট রাকআত নামায আদায় করবে। প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর পাঁচবার করে সুরা ইখলাস পাঠ করবে। এ নামায পাপমােচনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ফলদায়ক আমল।


শবে বরাত

মাহে শা'বান যদিওবা পুরােমাস বরকত ও সৌভাগ্যে ভরপুর তথাপিও বিশেষত: এ মাসের পনের তারিখের রাত পুরােমাসের অন্যান্য রাতের চেয়ে অতি উত্তম। এ জন্য সারা বছরের শ্রেষ্ঠতম রাতগুলাের মধ্যে এটিকে গণ্য করা হয়। এ রাতকে শবে বরাত এবং 'লায়লাতুল মুবারাকা' ও বলা হয়। 

হাদীস শরীফে রয়েছে- হুজুর কারীম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামা ইরশাদ ফরমান "শা'বানের পনের তারিখ রাত আল্লাহ তা'আলা প্রথম আসমানে জাল ওয়া আফরুজ ফরমান, যেটাকে দুনিয়ার আসমানও বলা হয়। সেখান থেকে দুনিয়াবাসীর উপর বিশেষ রাহমতের অবতারণা হয়। মহান আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিরিশতারা তাঁর সম্মুখে বান্দাদের সারা বছরের আমলনামা পেশ করেন। এর ওপর ভিত্তি করে আল্লাহ তা'আলা দুনিয়াবাসীকে উদ্দেশ্য করে ফরমান-"তােমাদের মধ্যে গুনাহের ক্ষমা প্রার্থনাকারী কেউ আছ কি? আমি তার গােনাহ ক্ষমা করে দেব। তােমাদের কেউ রিযিক অন্বেষণকারী আছ কি? আমি তাকে রিযিক প্রদান করব। তােমাদের মধ্যে কেউ বিপদগ্রস্ত আছ কি? আমি তার বিপদ দূরীভূত করে দেব। ওই সমস্ত মানুষের নিকট রহমতের এ আহ্বান ফজর হওয়া পর্যন্ত আসতে থাকে।" (সহীহ ইবনে মাজাহ শরীফ।)

হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে হুজুর কারীম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান "শা'বান মুয়ায্যামের চৌদ্দ তারিখ দিনগতরাতে হযরত জিব্রাঈল আলায়হিস সালাম আমার নিকট আগমন করেছেন এবং আমাকে বলেছেন, হে আল্লাহর পরম বন্ধু! স্বীয় মাথা মােবারক উঠিয়ে আসমানের দিকে তাকান, হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম সে দিকে দৃষ্টিপাত করে ফরমান-এটা কোন রাত? হযরত জিব্রাঈল আলায়হিস সালাম সুস্পষ্টভাবে বলেন- এটা এমন এক রাত, এ রাতে আল্লাহ তা'আলা রহমতের তিনশত দ্বার উম্মুক্ত করে দেবে এবং প্রত্যেক ঈমানদারদের ক্ষমা করে দেন। তবে মুশরিক, গণক, যাদুকর, যেনাকারী, মদ্যপায়ীদেরকে এ রাতেও ক্ষমা করা হয়না, যতক্ষণ তারা এ ধরনের কাজ থেকে তাওবা না করে। অতঃপর হুজুর কারীম সাল্লাল্লাহু তাআলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বেহেশতের দরজাগুলাে উম্মুক্ত অবস্থায় দেখতে পান। সেখানকার প্রথম দরজায় যে ফিরিশতা রয়েছে সেটা আহবান করতে রইলেন যে, এ রাতে তাওবাকারীদের জন্য শুভসংবাদ রয়েছে। দ্বিতীয় দরজায় ফিরিশতা আহবান করছেন এ রাতে সিজদাকারীদের জন্য শুভসংবাদ রয়েছে। তৃতীয় দরজায় ফিরিশতা আহবান করছেন। এ রাতে দোআ প্রার্থীদের জন্য শুভসংবাদ। চতুর্থ দরজায় ফিরিশতা আহবান করছেন। এ রাতে যিকিরকারীদের জন্য শুভসংবাদ, পঞ্চম দরজায় ফিরিশতা আহবান করছেন-এ রাতে আল্লাহ তাআলার ভয়ে ক্রন্দনকারীদের জন্য শুভসংবাদ। ষষ্ট দরজায় আহবান করছেন- এ রাতে ঈমানদারদের জন্য শুভসংবাদ। সপ্তম দরজায় আহবান করছেন- কোন প্রার্থনাকারী রয়েছ? তবে তাদের প্রার্থনা পূর্ণ করা হবে। অতঃপর অষ্টম আসমানের ফিরিশতা আহবান করছেন গােনাহ ক্ষমা চাওয়ার কেউ রয়েছ কি? তবে তার গােনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। হুজুর করীম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ফরমান-আমি হযরত জিব্রাঈল আলায়হিস সালামকে জিজ্ঞেস করলাম বেহেশতের এ দরজাসমূহ কতক্ষণ পর্যন্ত খােলা থাকবে? হযরত জিব্রাঈল আলায়হিস সালাম বলেন- রাত আরম্ভ হওয়া থেকে ফজর পর্যন্ত খােলা থাকবে। অতঃপর হযরত জিব্রাঈল আলায়হিস সালাম বলেন বনী কলবের ছাগলের লােমের সমপরিমাণ আপনার উম্মতকে জাহান্নামের অগ্নি থেকে পরিত্রাণ দেয়া হবে। (গুনিয়াতু্তালিবীন।)

হযরত শায়খ আবু নছর রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা থেকে সনদসহকারে হাদীস বর্ণনা করেন-"হুজুর কারীম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান- হে আয়েশা! এটা কোন রাত তুমি জান? তিনি বলেন- আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এ সম্পর্কে খুবই উত্তমরূপে জ্ঞাত। হুজুর কারীম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ফরমান- এটা শা'বানের অর্ধেকের রাত, অর্থাৎ চৌদ্দ তারিখ দিনগত রাত, এ রাতে দুনিয়ার সব বান্দার আমল উর্ধ্বজগতে উঠিয়ে মহান আল্লাহ পাকের পবিত্র দরবারে পেশ করা হয়। আল্লাহ তা'আলা এ রাতে বনী কলবের বকরীর লােম পরিমাণ বান্দাহদের দোযখ থেকে আযাদ করে দেন। তুমি কি আমাকে এ রাতের ইবাদতের জন্য আযাদী দেবে? আমি বললাম -অবশ্যই, অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) নামায আদায় করেছেন যে, কিয়ামে দীর্ঘক্ষণ করেননি। সূরা ফাতিহার পর ছােট একটি সূরা পাঠ করে প্রথম রাকআত সম্পন্ন করেছেন। দ্বিতীয় রাকআতও এভাবে সংক্ষিপ্ত পরিসরে সমাপ্ত করেছেন। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) সিজদায় রত হয়ে একই সিজদায় ফজর পর্যন্ত রয়ে গেলেন। এ অবস্থা দেখে আমার মাঝে সন্দেহের উদ্রেক ঘটল যে, আল্লাহ তা'আলা হযরত রাসূলে পাকের রুহ মােবারক কজ করে ফেলেছেন। আমি দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর এবার তাঁর (সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) নিকটবর্তী হলাম এবং পা মােবারকের নিচ অংশ স্পর্শ করলাম। তখন তিনি(সাল্লাল্লাহু তাআলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) নড়াচড়া করলেন। আমি স্বয়ং শুনেছি তিনি (সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) সিজদাবস্থায় নিন্মােক্ত দোআ পাঠ করলেন-

اَعُوۡذُ بِعَفۡوِكَ مِنۡ عُقُوۡبَتِکَ وَاَعُوۡذُ بِرَحۡمَتِكَ  مِنۡ. نِعۡمَتِكَ وَاَعُوۡذُ بِرِضَاكَ مِنۡ سَخۡطِكَ وَاَعُوۡذُبِک

مِنۡکَ جَلَّ ثَنَائُكَ لَا اُحۡصِیۡ ثَنَاءُ عَلَيۡكَ اَنۡتَ كَمَا

اَثۡنَيۡتَ عَلٰى نَفۡسِکَ

উচ্চারণ: আউ'যু বিআ'ফবিকা মিন অ'কুবাতিকা ওয়া আউ'যু বিরাহমাতিকা মিন নি'মাতিকা ওয়া আউযু বিরিদ্বকা মিন সাখতিকা ওয়া আউযুবিকা মিনকা জাল্লা ছানাউকা লা উহছী ছানাউ আ'লায়কা আনতা কামা আছনায়তা আ'লা নাফছিকা" অর্থ: হে আল্লাহ। আমি আপনার শাস্তি থেকে আপনার ক্ষমার মাধ্যমে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং আপনার রহমত ও নিআ'মতের মাধ্যমে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যেমে শাস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনার মাহাত্মের মাধ্যমে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি আপনার সত্তা, প্রশংসা খুবই মহিমান্বিত। আপনার এত অধিক প্রশংসার দিক রয়েছে, যার পরিসংখ্যান আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আপনি আপনার প্রশংসা যেমনি করেছেন সেটাই যথার্থ, তা কারাে পক্ষে সম্ভবপর নয়। সকালে আমি তাঁর (সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) নিকট আরজ করলাম- সিজদায় এ ধরনের বাক্য বলতে আমি আপনাকে আর শুনিনি। হুজুর কারীম সাল্লাল্লাহু তাআলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ফরমালেন- তুমি কি এটা মুখস্ত করে ফেলেছ? আমি বললাম জি, হা! তিনি (সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) বললেন- নিজেও এটা মুখস্ত রাখবে এবং অন্যদেরকেও শেখাবে। কেননা হযরত জিব্রাঈল আলায়হিস সালাম সিজদার মধ্যে আমাকে এ কালেমা গুলাে পাঠ করার পরামর্শ দিয়েছেন।


শবে বরাতের নফল

এ রাতের ফযিলত ও বরকতের দিকে লক্ষ্য রেখে সারারাত কুরআন মজীদ তেলােওয়াত, যিকির-আযকার ও ধ্যানমগ্নে নিয়ােজিত থাকা আবশ্যক। এ রাতে কোন মসজিদে অবস্থান করে নফল ইবাদতে মশগুল থাকা অত্যন্ত ফযিলতের কাজ।

হযরত আলী মুরতাদা রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত, হুজুর কারীম সাল্লাপ্লাহ তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান- "যখন শা'বান মাসের ১৫ তারিখ আসবে, তখন জাগ্রত অবস্থায় নফল নামায আদায়ের মাধ্যমে রাত কাটিয়ে দাও এবং দিনে রােযা রাখ। এ জন্য যে, মহান আল্লাহ পাক সূর্যাস্ত হওয়ার সাথে সাথে দুনিয়ার আসমানে তাশরিফ আনেন এবং এ বলে আহবান করেন- তােমাদের মধ্যে কেউ ক্ষমাপ্রার্থী রয়েছে? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব, তােমাদের মধ্যে রিযিক অন্বেষণকারী কেউ রয়েছে? আমি তাকে রিযিক প্রদান করব। তােমাদের মধ্যে বিপদগ্রস্ত কেউ রয়েছ? আমি তাকে বিপদমুক্ত করে দেব। এ ভাবে আহবান করতে করতে সূর্যোদয় হয়ে যায়"। (সহীহ ইবনে মাজাহ শরীফ)


ছালাতুল খায়র

শবে বরাতে যে নামায (পূর্ববর্তীদের বর্ণনানুযায়ী) প্রচলিত হয়ে আসছে এর মধ্যে একশত রাকআত নামায রয়েছে। সুরা ফাতিহার পর মােট এক হাজার বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে। অর্থাৎ প্রত্যেক রাকআতে দশবার করে সূরা ইখলাস পাঠ করবে। এ নামাযের নাম 'ছালাতুল খায়র'। এটা আদায়ের মাধ্যমে অত্যধিক বরকত আদায় করা যায়। পূর্ববর্তী বুযুগানে কেরাম রাহমাতুল্লাহি তা'আলা আলায়হিম এ নামায জামআত সহকারে আদায় করতেন। এ নামাযের অত্যন্ত ফযিলত ও অত্যধিক পুণ্য রয়েছে। হযরত হাছান বছরী রাহমাতুল্লাহি তা'আলা আলায়হি ফরমান-"আমার কাছ থেকে সরওয়ারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ক্রিশজন সাহাবা বর্ণনা করেছেন যে, এ রাতে যে ব্যক্তি এ নামায আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির দিকে সত্তরবার দৃষ্টি প্রদান করেন এবং প্রত্যেকবার দেখার সময় সত্তরটি অভাব মােচন করে দেন। এর মধ্যে নিন্মতম অভাব যেটা সেটা হলাে গােনাহের ক্ষমা" (গুনয়াতুত্তালিবীন)

এটা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে,নফল নামসজ জামা'আত সহকারে আদায় করা বৈধ। তবে এতে শর্ত হলো পূর্বে এজন্য ঘোষণা হবেনা। উপস্তিত অধিকাংশ মুসল্লিদের মতামতের ভিত্তিতেই তা করা হবে। সাধারন মানুষের মাঝে ইবাদতের প্রতি উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টির নিমিত্তে বর্তমান যুগে এটা খুবই প্রয়োজন। এ বিষয়ে গাযীয়ে দ্বীনো মিল্লাত আল্লামা শেরে বাংলা রাহমাতুল্লাহি তা'আলা আলাইহি 'দিওয়ানে আযীয' নামক গ্রন্থে দলীলসহ বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। (অনুবাদক)।


দশ রাকআত নফল নামাজ

এক রেওয়ায়েতে রয়েছে, হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ফরমান-" আমার সৌভাগ্যবান উম্মতের মধ্যে যেই দশ রাকআত নফল নামায এ নিয়মে আদায় করবে,প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর এগার বার করে সুরা ইখলাস পাঠের মাধ্যমে, তাহলে তার গােনাহ ক্ষমা করা হবে এবং তার হায়াতে অসংখ্য বরকত নসীব হবে।"


দুই রাকআত নফল নামায

পনের-ই শাবান দুই রাকআত নফল নামায আদায় করবে। প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর আয়াতুলকুরসি একবার , সূরা ইখলাছ পনেরবার করে পাঠ করবে। সালাম ফিরানাের পর একশতবার দরূদ শরীফ পাঠ করে রিযিকের উন্নতির জন্য দোআ করবে, ইনশাল্লাহ এ নামাযের মাধ্যমে রিযিকের উন্নতি সাধন হবে।


আট রাকা'আত নফল নামাজ

মাহে শা'বানের পনের তারিখ রাত দুই রাকআতের নিয়্যতে আট রাকআত নফল নামায আদায় করবে। প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সুরা ক্বদর একবার ও সূরা ইখলাস পঁচিশবার করে পাঠ করবে। গােনাহ ক্ষমাহের জন্য এ নামায খুবই উত্তম, ইনশাআল্লাহ এ নামায আদায়কারীদের আল্লাহ পাক ক্ষমা করে দিবেন।


ক্ববরের আযাব থেকে পরিত্রাণ লাভের নফল নামায

শা'বান মাসের ১৫ তারিখ রাত চার রাকআত নিয়্যতে আট রাকআত নামায আদায় করবে। প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর দশবার করে সূরা ইখলাস পাঠ করবে। আল্লাহ তা'আলা এ নামায আদায়কারীদের জন্য অসংখ্য ফিরিশতা নিয়ােজিত করে দেন। যাঁরা তাদের আযাবে ক্ববর থেকে পরিত্রাণ দিয়ে বেহেশতে প্রবেশের শুভসংবাদ প্রদান করেন।


তাওবার জন্য নফল 

১৫ শা'বান রাত আট রাকআত নামায চার রাকআতের নিয়াতে আদায় করবে। প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহার পর আয়াতুলকুরসি দশবার, দ্বিতীয় রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইনশিরাহ দশবার, তৃতীয় রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ক্বদর দশবার এবং চতুর্থ রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাস দশবার করে পাঠ করবে। বাকী রাকআতও এভাবে আদায় করবে। মােট আট রাকআত এভাবে আদায় করার পর সালাম ফিরিয়ে সত্তরবার ইস্তিগফার এবং সত্তরবার দরূদ শরীফ পাঠ করে স্বীয় গােনাহ থেকে তাওবা করবে। ইনশাল্লাহ এ নামায আদায়কারীর সগীরা-কবীরা সমস্ত গােনাহ মহান আল্লাহ পাক ক্ষমা করে দেবেন।


চৌদ্দ রাকআত নফল নামায

শা'বান মাসের ১৫ তারিখ রাত দুই রাকআত নিয়্যতে চৌদ্দ রাকআত নামায আদায় করবে। প্রত্যেক রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা কাফিরুন একবার, সূরা ইখলাছ একবার, সূরা ফালাক্ব একবার ও সূরা নাছ একবার পাঠ করবে।সালাম ফিরানাের পর আয়াতুল কুরসি একবার, সূরা তাওবা আখেরী আয়াত "লাকাদ জাআকুম রাসূলুম" থেকে "আযীয়ুন" পর্যন্ত একবার পাঠ করবে। ইহকালীন ও ধর্মীয় লক্ষ্য অর্জনে এনামায খুবই মঙ্গল জনক।


ওয়াযিফা সমূহ

১৫ শা'বান তারিখ রাত সুরা বাকারার আখেরী রুকু "আমানার রাসুলু" থেকে "কাফিরীন" পর্যন্ত একুশবার পাঠ করবে। নিরাপত্তা, শান্তি, জান ও মালের হিফাজতের জন্য এটা খুবই উত্তম আমল।

এছাড়াও ওই রাতে 'সূরা ইয়াছিন তিনবার পাঠ করলে রিযিকের উন্নতি, হায়াত বৃদ্ধি, দুনিয়াবী বিপদ থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ এ রাতে 'সূরা দুখান পাঠ করা উত্তম আমল। এর দ্বারা ইহকালীন ও পরকালীন জীবনে সত্তরটি করে সম্মানের দরজা বৃদ্ধি পাবে।


১৫ শাবানের নফল নামায

শা'বান মাসের ১৫ তারিখ (শবে বরাতের পর দিন) যােহর নামাযের পর দুই নিয়্যতে চার রাকআত নামায আদায় করবে। প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহার পর 'সূরা যিলযাল একবার, সূরা ইখলাস দশবার, দ্বিতীয় রাকআতে সুরা ফাতিহার পর 'সূরা তাকাছুর' একবার, সূরা ইখলাস দশবার পাঠ করবে। তৃতীয় রাকআতের পর সূরা কাফিরুন' তিনবার, সূরা ইখলাস দশবার, চতুর্থ রাকআতে সূরা ফাতিহার পর 'আয়াতুলকুরসি' তিনবার, সূরা ইখলাস পঁচিশবার পাঠ করবে। এ নামাযের অসংখ্য ফযিলত রয়েছে, মহান আল্লাহ পাক এ নামায আদায়কারীর উপর কিয়ামতের দিন বিশেষ রহমতের দৃষ্টি দেবেন এবং এ নামাযের বরকতে দ্বীন ও দুনিয়া উভয় মঙ্গল অর্জিত হবে।


ওয়াযিফা

মাহে শা'বানে দৈনিক নামাযের পর নিশ্মােক্ত দোআটি গােনাহ ক্ষমার জন্য খুবই উত্তম।

اَسۡتَغۡفِرُ اللّٰهَ الۡعَظِيۡمَ اَلَّذِىۡ لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الۡحَيُّ الۡقَيّۡوۡمُ اِلَيۡهِ تَوۡبَةَ عَبۡدٍ ظَالِمٍ لَا يَمۡلِکُ نَفۡسَهٗ ضَرًّا وَلَا نَفۡعًا وَّلَا مَوۡتًا وَّلَا حَيَاةً وَّلَا نَشُوۡرًا

উচ্চারণ- আছতাগফিরদল্লাহাল, আযীমাল্লাযী লাইলাহা ইল্লা হুয়াল, হায়যুল কৃইয়ুমু ইলায়হী তাওবাতা আবদিন যালিমীন লা ইয়ামলিক নাফ ছাহ দাররাও ওয়াল নাফআঁও ওয়ালা মাওতাও ওয়ালা হায়াতাঁও ওয়ালা নুশুরান" 

রাসূল আকরাম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান- "মাহে শাবানে যে কেউ তিন হাজার বার দরূদ শরীফ পাঠ করে আমার উপর বখশিস করলে, হাশরের দিন তাকে শাফায়াত করা আমার উপর অত্যাবশ্যক হয়ে পড়বে।


নফল রােযা

মাহে শা'বানের পনের তারিখের রোযার অত্যন্ত ফযিলত রয়েছে। কেউ এ রােখা রাখলে , আল্লাহ তা'আলা ওই ব্যক্তির পঞ্চাশ বছরের গােনাহ ক্ষমা করে দেবেন। এদিন মাগরিবের নামাযের পর দুই রাকআত নিয়্যতে ছয় রাকআত নামায আদায় করবে। তৎমধ্যে দুই রাকআত মঙ্গল জনক হায়াত বৃদ্ধির জন্য , দুই রাকআত বিপদ দূরীভূত হওয়ার নিয়্যতে এবং দুই রাকআতে মাখলুকের প্রতি মুখাপেক্ষী না হওয়ার নিয়্যতে আদায় করবে। প্রত্যেক দুই রাকআতের পর সূরা ইয়াসিন একবার, সূরা ইখলাস একুশবার পাঠ করবে। সর্বশেষ নিছফে শাবান তথা শা'বান মাসের অর্ধেকাংশ

দুআটি পাঠ করবে-

উচ্চারণ: আল্লাহম্মা ইয়া যালমান্নি ওয়ালাইয়ুমান্নু আ'লায়হি ইয়াযালজালালি ওয়াল ইকরামি ইয়াযাততুলি ওয়াল ইনআ'মি লাইলাহা ইল্লা আনতা-যাহরুল্লাহীনা ওয়াজারুল মুছতাজিয়ীনা ওয়া আমানাল, খাইফীনা আল্লাহুম্মা ইনকুনতা কাতাবতানী ইনদাকা ফী উম্মিল কিতাবি শাফীয়্যান আওমাহরুমান আও মাতরূদান আও মুকাত্তারান আ'লায়্যা ফীররিযকি ফামহু আল্লাহুম্মা বিফাদলিকা শাকাওয়াতী ওয়াহিরমানী ওয়া তারদী ওয়াক্বতিতারা রিযকী ওয়াআছবিতনী ই'নদাকা ফী উম্মিল কিতাবি ছাঈ'দাম, মারযুক্বান মুয়াফাক্বান লিলখায়রাতি ফাইন্নাকা কুলতা ওয়াক্বাওলুকাল হাক্বকু ফী কিতাবিকাল মুনাযযালি আ'লা লিছানি নাবিয়্যিকালমুরছালি ইয়ামহুল্লাহু মা ইয়াশাউ ওয়াইয়ুছবিতু ওয়ই'নদাহ উম্মুল কিতাবি ইলাহী বিততাজাললিয়্যিল আ'যামি ফী লায়লাতিন নিছফি মিন শাহরি শা'বানাল মুকাররামিল্লাতি ইয়ুফরাকু ফীহা কুল্পু আমরিন হাকিমিও ওয়া ইয়ুররাম আন তাকশিফা আন্না মিনাল বালাই ওয়াল বালওয়াই মা না'লামু ওয়ামা লা না'লামু ওয়াআনতা বিহি আ'লামু ইন্নাকা আনতাল, আআ'যযুল আকরামু। ওয়াছাল্লাল্লাহু তাআলা আলা ছায়্যিদিনা মুহাম্মদি ও ওয়া আ'লা আলিহি ওয়াআছ হাবিহি ওয়াছাল্লামা ওয়ালহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আ'লামিন।

অর্থ হে আল্লাহ! আপনিই সকলের উপর ইহসানকারী। আপনার উপর ইহসান করা কারাে পক্ষে সম্ভবপর নয়। হে মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী, হে সকল শক্তির অধিকারী ও দানের পুরস্কার প্রদানকারী, আপনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। ধ্বংস প্রাপ্তদের আপনিই রক্ষাকারী, আশ্রয়হীনদের আপনি আশ্রয়দাতা, ভীত সন্ত্রস্তদের নিরাপত্তা দানকারী, হে আল্লাহ! যদিওবা আপনি আপনার মূল কিতাবে (কুরআন মাজীদ) আমার নাম দুর্ভাগা, বঞ্চিত, পরিত্যাজ্য ও রিযিকের স্বল্পতার তালিকায় লিপিবদ্ধ করেছেন, তবে স্বীয় মর্যাদা ও দয়ার গুণে আমার দুর্ভাগ্যতা, লাঞ্চনা,অগ্রাজ্যতা ও রিযিকের স্বল্পতা দূরীভূত করতে, আপনার নিকটস্থ উম্মুল কিতাবে আমার নাম সৌতাগ্যবান, রিযিকপ্রাপ্ত এবং সৎকর্মশীলদের তালিকায় লিপিবদ্ধ করে দিন, কেননা নিশ্চয় আপনি যা বলেন সবই সত্য বলেন। যা আপনার প্রেরীত পুরুষ হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামা'র উপর অবতীর্ণ কিতাবে তাঁর (সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) ভাষায় সেটা প্রকাশ পায় যে, আল্লাহ পাক যেটা চান মুছিয়ে দেন, আর যেটা চান সাব্যস্ত করেন এবং তাঁরই নিকট উম্মুল কিতাব রয়েছে। হে আল্লাহ মাহে শা'বানুল মুকাররামের অর্ধাংশের রাতে (শবে বরাতে) আপনার নূরের বিচ্যুরণ ঘটে, যে রাতে হেকমতময় সকল বস্তুর বন্টন হয় এবং বাস্তবায়ন ঘটে। আর জ্ঞাত অজ্ঞাত সবধরণের বিপদ দূরীভূত করুন,আপনিই সব বিষয়ে অধিক জ্ঞাত, আপনিই সকল মর্যাদার অধিকারী ও শ্রেষ্ঠ দানকারী, মহান আল্লাহ পাকের করুনা ও শান্তি আমাদের সর্দার হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর উপর বর্ষিত হউক। সাথে সাথে তাঁর পরিবারবর্গ ও ছাহাবায়ে কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুম এর উপরও বর্ষিত হউক, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার জন্য যিনি সমগ্র জগতের পালনকর্তা। (মাসিক তরজুমান,শাবান ১৪৩২হি:,জুলাই - ২০১১ইং, পৃষ্ঠা - ৯ থেকে ১৩)।



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন