ইয়াছমিন আখতার পলি, রেজিয়া পারভীন
ও জামিলা আখতার সামু
কুতুবজুম অফ-সাের হাইস্কুল, মহেশখালী, কক্সবাজার
প্রশ্ন : আমরা সুন্নী আক্বীদাপন্থী পীরের নিকট বায়'আত গ্রহণ করেছি। আমরা জানি, পীর সাহেবের নিয়মিত সবক পালন করা তরিকতপন্থীদের জন্য ফরজ। আমাদের প্রশ্ন, সাধারণত বালেগা মহিলার হায়েজ, নেফাস ও ইস্তিহাজা অবস্থা হয়। তখন কি অপবিত্র অবস্থায় সবক আদায় করতে পারব? অনুগ্রহ করে জানাবেন। মাদরাসা, স্কুল ও কলেজ ইত্যাদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরবী ও ইসলামিক ইতিহাস ইত্যাদি বই পড়তে হয়। সাধারণতঃ মহিলাদের হায়েজ, নিফাস ও ইস্তিহাজা অবস্থায় ঐ ধরনের ইসলামী কিতাব তথা বই-পত্র স্পর্শ করতে পারব কিনা?
উত্তর : হায়েজ-নিফাস অবস্থায় কারআন মজীদ দেখে দেখে বা মুখস্ত পড়া এবং পবিত্র কোরআন বা কোরআনের কোন আয়াত লিখিত কাগজ স্পর্শ করা হারাম বা গুনাহ। কোরআন মজীদ ব্যতীত অন্যান্য যিকর-আযকার, কলেমা শরীফ, দরূদ শরীফ ইত্যাদি পড়া জায়েয। অজু বা কুলি করে পড়া উত্তম। এমনি পড়লেও কোন ক্ষতি নেই। হায়েজ-নেফাস সম্পন্না মহিলা কোরআন শরীফ শিক্ষা দেওয়ার সময় প্রতিটি শব্দ নিঃশ্বাস ভেঙ্গে পড়াবে। আর বানান করে পড়ালে কোন অসুবিধা নেই । তবে কোরআন শরীফ স্পর্শ করতে পারবে না।
হায়েজ বা নিফাসসম্পন্না মহিলা নামাযের সময় অজু করে এতটুকু সময় পর্যন্ত আল্লাহর যিক্র-আযকার, দু'আ-দরূদ ও অন্যান্য ওয়াজীফায় নিয়ােজিত থাকে যতটুকু সময় নামায পড়তে সময় লাগে। যেন অভ্যাসটা বজায় থাকে। তাই কোরআন শরীফের আয়াত বা সূরা ব্যতীত তরিকতের অন্যান্য যিকর-আয্কার, দু'আ-দরূদ হায়েজ-নেফাস ও অপবিত্র অবস্থায় মনে মনে পড়তে কোন অসুবিধা নেই ।
আর যে সব ধর্মীয় বই-পুস্তকে কোরআনের উদ্ধৃতি রয়েছে শুধু ওইটুকু স্থান হায়েজ অবস্থায় স্পর্শ করবে না। বাকি স্থান স্পর্শ করতে কোন অসুবিধা নেই । (দুররে মুখতার ও ফতােয়ায়ে হিন্দিয়া ইত্যাদি) (যুগ জিজ্ঞাসা,পৃষ্ঠা - ২৯৬-২৯৭)।
উত্তর দিয়েছেন :- মুফতি অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান (মা:জি:আ:)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন