গোসলের সময় কুমন্ত্রণা

 

গোসলের সময় কুমন্ত্রণা


গোসলের সময় শয়তান সন্দেহ সৃষ্টি করে, যেমন; কখনো কুমন্ত্রণা আসে যে, সম্ভবত পিঠ শুকনো রয়ে গেছে, সম্ভবত মাথার চুল ভালোভাবে ভিজেনি, অমুক অঙ্গটি শুকনা রয়ে গেছে ইত্যাদি। অথচ এরূপ নয়, যদি ঐ অংশ ভালোভাবে ঘষে ধুয়ে নেয়া হয়, তবে সন্দেহে পড়ার কোন প্রয়োজন নেই।

গোসলে কুমন্ত্রণা আসার একটি কারণ । মনে রাখবেন! গোসল খানায় প্রস্রাব করার কারণে কুমন্ত্রণা সৃষ্টি হয়, সুতরাং এ থেকে বিরত থাকা উচিৎ, যেমন: নবীয়ে করীম, রউফুর রহীম (ﷺ) করেন: “কেউ যেনো কখনোই গোসল খানায় প্রস্রাব না করে, অতঃপর এতে গোসল বা অযু করলে, সাধারনত অধিকাংশ কুমন্ত্রণা তা থেকে সৃষ্টি হয়।


(সুনানে আবু দাউদ, ১ম খন্ড, ৪৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ২৭)



হাদীসে পাকের ব্যাখ্যা দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা হতে প্রকাশিত ২৯৭ পৃষ্ঠা সম্বলিত “ইসলামী বোনদের নামায (হানাফী)” এর ১৯৪ পৃষ্ঠায় রয়েছে। প্রসিদ্ধ মুফাসসির,হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এই হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় বলেন: যদি গোসলখানার মেঝে শক্ত হয় এবং এতে


পানি বের হওয়ার পাইপ থাকে, তবে সেখানে প্রস্রাব করাতে কোন ক্ষতি নেই। তবে উত্তম হল না করা, কিন্তু যদি মেঝে কাঁচা হয় আর পানি বের হওয়ার রাস্তাও না থাকে, তবে প্রস্রাব করা খুবই মন্দ কাজ, কেননা এতে মেঝে নাপাক হয়ে যাবে আর গোসল বা অযুতে নাপাক পানি শরীরে পড়বে। এখানে দ্বিতীয় অবস্থাই উদ্দেশ্য। এজন্য জোরপূর্বক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ এর থেকে কুমন্ত্রণা এবং সন্দেহের রোগ সৃষ্টি হয়, যেমনটি পরীক্ষিত যে, অথবা অপবিত্র ছিটা পড়ার কুমন্ত্রণা থাকে।  (মিরআত, ১ম খন্ড, ২৬৬ পৃষ্ঠা)।

_____________

কিতাব: ওয়াসওয়াসা এবং এর প্রতিকার

লেখক: আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন