মসজিদে কুমন্ত্রণা
কুমন্ত্রনা দানকারী শয়তান মসজিদের ভেতরেও অনেক বেশি প্ররোচনা দিয়ে থাকে, সেখানে উপস্থিত অনেক মুসলমানদেরকে দুনিয়াবী কথাবাতার্য় লিপ্ত করিয়ে দেয়, কাউকে ঝগড়ায় লিপ্ত করিয়ে দেয়, কখনো কখনো বৃদ্ধদেরকে রাগান্বিত করে শোরগোল লাগিয়ে দেয় َকাউকে কুদৃষ্টি, অসৎ চরিত্র, গীবত ও চুগলখোরী ইত্যাদি গুনাহের কাজে ফাসিঁয়ে দেয়, যাকে গুনাহে ফাঁসাতে পারে না, তাকে কম নেকীর প্রতি ধাবিত করে দেয় এবং তা তো হয়তো প্রত্যেকেরই অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেমন; দরস ও বয়ান চলছে কিন্তু মসজিদে উপস্থিত হওয়ার পরও কিছু লোক এতে অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হয়ে দূরে বসে উদাসীনতার সহিত এদিক ওদিক তাকিয়ে থাকে। যে লোকেরা মসজিদে উপস্থিত হওয়ার পরও আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন থাকে এবং জ্ঞানের আসর ইত্যাদি থেকে বিমূখ থাকে, তারা ফতোয়ায়ে রযবীয়া শরীফে বর্ণিত এই হাদীসে পাক মনোযোগ সহকারে পড়েন: হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে বর্ণিত যে, মক্কী মাদানী মুস্তফা (ﷺ) করেন: যখন তোমাদের মধ্যে কেউ মসজিদে অবস্থান করে, শয়তান এসে তার শরীরের উপর হাত বুলিয়ে দেয়, যেমনিভাবে তোমাদের মধ্যে কেউ নিজের ঘোড়াকে পোষ মানানোর (অর্থাৎ অনুগত ও বাধ্য করার) জন্য তার উপর হাত বুলিয়ে থাকে। অতঃপর যদি ঐ ব্যক্তি ফেঁসে যায়, (অর্থাৎ তার কুমন্ত্রণায় পরে যায়) তখন তাকে বেঁধে নেয় বা লাগাম লাগিয়ে দেয়। হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা বলেন যে, (এই) হাদীসের সত্যতা তোমরা নিজের চোখে দেখছো, যে বাঁধা রয়েছে, তাকে তোমরা দেখবে যে, এমনভাবে নত হয়ে আছে, আল্লাহর যিকির করছে না এবং যে লাগাম দিয়েছে, সে মুখ খোলে আল্লাহ তায়ালার যিকির করতে পারে না।
(মুসনাদে ইমাম আহমদ, হাদীস নং-৮৩৭, ফতোয়ায়ে রযবীয়া, ১ম খন্ড, ৭৭১ হতে ৭৭২ পৃষ্ঠা)
গান্ধে গান্ধে ওয়াসাভিস আ‘তে হে
মেরে দিল সে উনহে নিকাল আক্বা।
(ওয়াসায়িলে বখশীশ, ২০৯ পৃষ্ঠা)
صَلُّوْا عَلَيْ الْحَبِيْب صَلَّي الله عَلَيْ مُحَمَّد
_____________
কিতাব: ওয়াসওয়াসা এবং এর প্রতিকার
লেখক: আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন