যদি কুমন্ত্রণা কোন অবস্থাতেই না যায় তবে...

 

যদি কুমন্ত্রণা কোন অবস্থাতেই না যায় তবে...


 যদি ওযিফা ও আমল এর মাধ্যমে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া না যায়, তবে ভয়ের কোন কারন নেই। দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা হতে প্রকাশিত মিনহাজুল আবেদীনে হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত সায়্যিদুনা ইমাম আবু হামেদ মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাযালী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) যা কিছু বর্ণনা করেছেন, তার সারমর্ম হলো: যদি আপনি এরূপ অনুভব করেন যে, আল্লাহ তায়ালার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করার পরও শয়তান পিছু ছাড়ছে না এবং প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টা করছে, তবে এর উদ্দেশ্য এটায় যে, আল্লাহ তায়ালা আপনার সাধনা, সক্ষমতা ও ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন, অথার্ৎ আল্লাহ তায়ালা পরীক্ষা নিচ্ছেন যে, আপনি শয়তানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং যুদ্ধ করছেন নাকি তার থেকে হেরে যাচ্ছেন। দেখুন না! তিনি আমাদের উপর কাফেরদেরকেও তো বিজয়ী করে রেখেছেন, অথচ তিনি এবিষয়ে পরিপূর্ণভাবে সক্ষম যে, আমাদের জিহাদ করা ছাড়াও তার (শয়তান) ক্ষতি ও ফিতনাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিতে পারেন, কিন্তু তিনি এরূপ করেন না বরং


বান্দাদেরকে তার সাথে জিহাদের আদেশ দিয়ে থাকেন, যেনো পরীক্ষা করেন যে, কার অন্তরে জিহাদের প্রেরণা এবং শাহাদাতের স্পৃহা রয়েছে এবং কে পরিপূর্ণ একনিষ্টতা ও ধৈর্য্যের সহিত এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। হযরত সায়্যিদুনা ইমাম মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাজ্জালী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আরো বলেন: আর এভাবেই শয়তানের প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও আমাদেরকে দক্ষতা ও পরিপূর্ণ চেষ্টার আদেশ দিয়েছেন। অতঃপর আমাদের ওলামায়ে কিরামগণ (রহমাতুল্লাহি আলাইহিম) বলেন যে, শয়তানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং একে ধরাশায়ী করতে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন।



(১) তুমি তার চক্রান্ত ও চালাকী সমূহ জেনে নাও, যখন এসম্পর্কে জেনে নেবে, তখন সে তোমার ক্ষতি করতে পারবে না। যেমন; যখন চোর জানতে পারলো যে, ঘরের মালিক আমার সম্পর্কে জেনে গেছে, তখন সে পালিয়ে যায়।



(২) তুমি শয়তানের পথভ্রষ্টকারী এবং গুনাহে ভরা দাওয়াকে গ্রহণ করোনা, তোমার অন্তর কখনোই যেনো তার দাওয়াতে প্রভাবিত না হয়, তাছাড়া তুমি তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রতি মনোযোগও দিওনা, কেননা ইবলিশ এক ঘেউ ঘেউ করা কুকুরের মতো, যদি তুমি তার উত্ত্যক্ত করে তবে আরো বেশি চিৎকার করবে আর যদি তার কুমন্ত্রণার প্রতি মনোযোগ না দাও, তবে সেও চুপ হয়ে যাবে।



(৩) অধিকহারে আল্লাহর যিকির করো। (মিনহাজুল আবেদীন (আরবী), ৪৬ পৃষ্ঠা)



যিকিরের কারণে শয়তানের কষ্টকর অবস্থা বর্ণিত আছে: শয়তানের জন্য আল্লাহ তায়ালার যিকির এতই কষ্টকর, যেমনটি মানুষের বাহুতে পচন।


 (মিনহাজুল আবেদীন, ৪৬ পৃষ্ঠা)


পচন রোগটি এমন এক রোগ যা মানুষের মংসে প্রভাবিত হয় এবং শরীর থেকে মাংস ঝড়ে পরতে থাকে।



ইমতেহাঁ কে কাহা কা’বিল হো মে পেয়ারে আল্লাহ!


বে সবর বখশ দেয় মাওলা তেরা কিয়া জাতা হে।


(ওয়াসায়িলে বখশীশ, ৭২ পৃষ্ঠা)

_____________

কিতাব: ওয়াসওয়াসা এবং এর প্রতিকার

লেখক: আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন