কুমন্ত্রণার ৮টি প্রতিকার
১. আল্লাহ তায়ালার দিকে প্রত্যাবর্তন করুন। (অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার নিকট শয়তান থেকে মুক্তির জন্য সাহায্য প্রার্থনা করুন এবং আল্লাহর যিকির শুরু করুন)।
২. اَعُوْذُ بِاللّٰهِ مَنَ الْشَّيْطَانِ الْرَّجِيْم পাঠ করা।
৩. لاحول ولا قوة الا بالله العلي العظيم পাঠ করা।
৪. সূরা নাস তিলাওয়াত করুন।
৫. ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلْمُؤْمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُوا۟ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَاۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ ٱلْمَصِيرُ পাঠ করা।
৬. هُوَ ٱلْأَوَّلُ وَٱلْءَاخِرُ وَٱلظَّٰهِرُ وَٱلْبَاطِنُۖ وَهُوَ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌ (২৭ পারা, সূরা হাদীদ, আয়াত ৩) পড়ুন, এর ফলে দ্রুত কুমন্ত্রণা দূর হয়ে যায়।
৭. أَلَمْ تَرَ أَنَّ ٱللَّهَ خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ بِٱلْحَقِّۚ إِن يَشَأْ يُذْهِبْكُمْ وَيَأْتِ بِخَلْقٍ جَدِيدٍ - وَمَا ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ بِعَزِيزٍ
(পারা: ১৩, সূরা: ইব্রাহীম, আয়াত: ১৯-২০) অধিকহারে পাঠ করাতে এর অর্থাৎ কুমন্ত্রণার মূলৎপাঠন করে দেয়। (ফতোয়ায়ে রযবীয়া, ১ম খন্ড, ৭৭০ পৃষ্ঠা)।
৮. প্রসিদ্ধ মুফাসসির, হাকীমুল উম্মত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন: “সূফীয়ায়ে কিরামগণ (রহমাতুল্লাহি আলাইহিম) বলেন: যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় একুশ বার لا حول শরীফ” পাঠ করে পানিতে দম করে পান করে নিন, তবে أن شاء الله عز وجل শয়তাননী কুমন্ত্রণা থেকে অনেকাংশে নিরাপদ থাকবে।” (মিরাতুল মানাজিহ, ১ম খন্ড, ৮৭ পৃষ্ঠা)।
মুহিত দিল পে হুয়া হায় নফসে আম্মারা,
দেমাগ পর মরে ইবলিস ছা গিয়া ইয়া রব!
রেহাই মুঝকো মিলে কাশ! নফস ও শয়তাঁ সে,
তেরে হাবীব কা দেয় তা হো ওয়াসেতা ইয়া রব!
_____________
কিতাব: ওয়াসওয়াসা এবং এর প্রতিকার
লেখক: আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন