নামাযে অযু ভঙ্গ হওয়ার কুমন্ত্রণা
নামাযে শয়তান কখনো কুমন্ত্রণা দেয় যে, অযু ভঙ্গ হয়ে গেছে, কখনো প্রস্রাবের ফোঁটা বের হওয়ার, কখনোবা বায়ু বের হওয়ার সন্দেহ অন্তরে দিয়ে থাকে। সুতরাং এ প্রসঙ্গে আমার আক্বায়ে নেয়ামত, আ’লা হযরত, মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত, আশিকে মাহে নবুওয়ত, পরওয়ানায়ে শময়ে রিসালত, মাওলানা শাহ ইমাম আহমদ রযা খাঁন (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) কতিপয় হাদীসে মুবারাকা উদ্ধৃত করার পর বলেন: এই হাদীসে মুবারাক থেকে এটাই অর্জিত হয়েছে যে, শয়তান নামাযে ধোঁকা দেয়ার জন্য কখনো মানুষের লজ্জাস্থানে থুথু নিক্ষেপ করে, যেনো তার ধারণা হয় যে, প্রস্রাবের ফেঁাটা বের হয়েছে, কখনো পেছনে ফুঁক দেয় বা লোম টেনে দেয়, যেনো বায়ু বের হওয়ার ধারণা হয়। এর (এরূপ কুমন্ত্রণা আসাতে) হুকুম হচ্ছে যে, নামায ভঙ্গ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আদ্রতা বা আওয়াজ বা গন্ধ পাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সুস্পষ্ট অপবিত্রতা (অর্থাৎ অযু ভঙ্গ হওয়ার উপর) দৃঢ় বিশ্বাস না হয়। (ফতোয়ায়ে রযবীয়া, ১ম খন্ড, ৭৭৪ পৃষ্ঠা)।
শয়তানকে বলে দাও: “তুই মিথ্যুক”
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যতক্ষণ পর্যন্ত অযু ভঙ্গ হওয়ার উপর দৃঢ় বিশ্বাস হবেনা যে, যার উপর শপথ করা যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত অযু ভঙ্গ হবেনা, শয়তান যখন বলবে: তোমার অযু ভঙ্গ হয়ে গেছে, তখন মনে মনে উত্তর দিন যে, কলুষিত শয়তান তুই মিথ্যুক এবং আপন নামাযে মনোযোগী থাকুন, যেমন; হযরত সায়্যিদুনা আবু সাইদ খুদরী (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) থেকে বর্ণিত যে, প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা ইরশাদ করেন: যখন তোমাদের কারো নিকট শয়তান এসে কুমন্ত্রণা দেয় যে, তোমার অযু ভঙ্গ হয়ে গেছে, তখন দ্রুত তাকে মনে মনে উত্তর দাও যে, তুই মিথ্যুক। যতক্ষণ পর্যন্ত নিজের কানে শুনেনি বা নাকে গন্ধ পায়নি।
(আল ইহসান বিতারতিবে সহীহ ইবনে হিব্বান, ৪র্থ খন্ড, ১৫৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-২৬৫৬)।
_____________
কিতাব: ওয়াসওয়াসা এবং এর প্রতিকার
লেখক: আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন