কাদার মাধ্যমে কুমন্ত্রণার আশ্চর্য্য প্রতিকার
আমার আক্বা, আ’লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, মাওলানাশাহ ইমাম আহমদ রযা খান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) ফতোয়ায়ে রযবীয়া ১ম খন্ডের ৭৭১ পৃষ্ঠায় বলেন: সা‘লেহীন অর্থাৎ নেককার বান্দাদের মধ্য হতে একজন বলেন: আমার পবিত্রতা অর্জনের ব্যাপারে কুমন্ত্রণা ছিলো। রাস্তার কাদা যদি কাপড়ে লেগে যেতো তবে তা ধৌত করতাম। (অথচ যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে জানা যাবে নাততক্ষণ পর্যন্ত কাদা পাক হয়ে থাকে) একদিন ফজরের নামাযের জন্য যাচ্ছিলাম, রাস্তার কাদা লেগে গেল, আমি ধৌত করতে চাইলাম এবং স্মরনে এলো যে, ধৌত করতে গেলে জামাআত চলে যাবে, হঠাৎ আল্লাহ তায়ালাَ আমাকে হিদায়ত দান করলেন এবং আমার অন্তরে প্রদান করলেন যে, এই কাদায় ফিরে যাও এবং সম্পূর্ণ কাপড়ে কাদা লাগিয়ে নাও আর এই অবস্থায় নামাযে অংশগ্রহণ করো। আমি এমনই করলাম, অতএব কুমন্ত্রণা এলো না।(আল হাদীকাতুন নাদীয়া, ২য় খন্ড, ৬৯৯ পৃষ্ঠা)।
যতক্ষণ পর্যন্ত জানবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত কাদা পবিত্র
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা দেখলেন তো! এটা ইলমে
দ্বীনের বরকত, সেই বুযুর্গের মাসয়ালাটি জানা ছিল যে, রাস্তার কাদা ততক্ষণ পর্যন্ত অপবিত্র সাব্যস্ত করা যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ কাদা অপবিত্র হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে জানা যাবেনা, সুতরাং তিনি কুমন্ত্রণার ভালই প্রতিকার করলেন! দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত রিসালা “কাপড় পাক করার পদ্ধতি” তে রয়েছে: রাস্তার কাদা (হোক তা বৃষ্টি বা অন্য কোন কারণে) পবিত্র যতক্ষণ পর্যন্ত তা অপবিত্র হওয়াটা নিশ্চিত হবেনা, তবে যদি পা বা কাপড় লেগে যায় এবং ধৌত করা ব্যতীত নামায পড়ে নিলে হয়ে যাবে, কিন্তু ধুঁয়ে নেয়া উত্তম। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩৯৪ পৃষ্ঠা)।
_____________
কিতাব: ওয়াসওয়াসা এবং এর প্রতিকার
লেখক: আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন