ফিত্না সম্পর্কে রাসূলের (ﷺ) ভবিষ্যৎবাণীঃ
বর্তমানে ফিত্নার আড়ালে লুকিয়ে থাকা মানুষগুলো নিজেদের মুসলমান দাবী করে। সবজায়গায় তারা ইসলামের নাম ব্যবহার করে ধোঁকা দেয় অথচ দ্বীনের যাবতীয় বিশৃঙ্খলার মূলে রয়েছে তারা। আর রাসূল (ﷺ) এসব ফিত্নার ব্যাপারে ১৪০০ বছর পূর্বেই সতর্ক করে গিয়েছেন। এ বিষয়ে কিতাবুল ফিতানে সুবিস্তৃত আলোচনা আছে।
এখানে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলঃ
"ফিৎনা হত্যার চেয়েও অধিক মারাত্মক।"➠1
"নিশ্চয় কিয়ামতের পূর্বে ঘোর অন্ধকার রাত্রির টুকরোর ন্যায় এই ফিতনা আবির্ভূত হবে। যখনই কোন এক ফিতনা চলে যাবে, তখন আরেক ফিতনা আসবে।"➠2
"অবিরাম বৃষ্টির ন্যায় তোমাদের নিকট ফিতনা প্রবলভাবে বর্ষন হতে থাকবে।" ➠3
"লোকেরা জানবেনা যে কোনটা কি কারণে হচ্ছে। ➠4
"তাতে বহু মানুষ ধ্বংস হবে। ➠5
"সে (ফিৎনার) সময় লোক সকালে মুমিন থাকলে, বিকালে কাফের হয়ে যাবে। আর বিকালে মুমিন থাকলে, সকালে কাফের হয়ে যাবে। সে সময় একদল লোক পার্থিব স্বার্থসিদ্ধির জন্য স্বীয় দ্বীনকে বিক্রি করে দিবে।`` ➠6
"তাতে মানুষের ক্বলবের মৃত্যু হবে, যেমন তার দেহের মৃত্যু হয়।"➠7
"আর আমার উম্মতের মাঝে এমন একদল লোকের আবির্ভাব হবে, যাদের মধ্যে প্রবৃত্তিপূজা এমনভাবে প্রবেশ করবে, যেমন পাগল কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হয়। এ রোগ আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতিটি শিরা-উপশিরায় প্রবেশ করে।” ➠8
"শেষ যুগে কিছু লােক সৃষ্টি হবে। যারা দুনিয়াকে দ্বীন-ধর্মের বিনিময়ে অর্জন করবে । তাদের কথা হবে চিনি/মুধর চেয়েও সুমিষ্ট কিন্তু তাদের অন্তর হিংস্র বাঘের অনুরূপ।" ➠9
"কাজ হবে ফেরাউনের কাজের সাদৃশ্যপূর্ণ।" ➠10
"প্রবৃত্তি তার (ফিতনাযুক্ত ক্বলবের) মধ্যে যা গেঁথে দেয় তা ব্যতীত ভাল-মন্দ সে কিছুই চিনে না।" ➠11
"নিঃসন্দেহে পরিপূর্ণ পথভ্রষ্টা হচ্ছে,
"সৎ কাজকে অসৎ মনে করবে এবং অসৎ কাজকে সৎ মনে করবে।" ➠12
"তারা হালালকে হারাম মনে করবে এবং হারামকে হালাল মনে করবে।" ➠13
"ফিতনাকালীন হক্ব-বাতিল উভয়টা একটি আরেকটির সাথে মিশ্রিত হয়ে যাবে কিন্তু যারা হক্বকে যথাযথভাবে জানবে এবং বুঝবে কোনো ধরনের ফিতনা তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবেনা।" ➠14
"মানুষের মাঝে এমন এক সময় আসবে, যখন তারা মসজিদ সমুহে সমবেত হবে, অথচ তাদের মধ্যে একজনও মু'মিন থাকবে না।” ➠15
তথ্যসূত্রঃ ফিত্না সম্পর্কে রাসূলের (ﷺ) ভবিষ্যৎবাণী।
1.
(সূরা বাক্বারা ১৯১)
(সূরা বাক্বারা ২১৭)
2.
১.হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) সূত্রে।
[নুয়াইম বিন হাম্মাদঃ আল ফিতানঃ হাদিস ১২১]
২.হযরত হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) সূত্রে।
[নুয়াইম বিন হাম্মাদঃ আল-ফিতানঃ হাদিস ৪]
৩.হযরত মুজাহিদ (রঃ) সূত্রে।
[নুয়াইম বিন হাম্মাদঃ আল-ফিতানঃ হাদিস ১৩]
৪.হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) সূত্রে।
[নুয়াইম বিন হাম্মাদঃ আল-ফিতানঃ হাদিস ১২ ]
৫.হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) সূত্রে। [নুয়াইম বিন হাম্মাদঃ আল-ফিতানঃ হাদিস ১৪ ]
৬.হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) সূত্রে।
[আত-তাবরানী, খন্ড : ১১, পৃষ্ঠা : ৫৮]
3.
ইমাম নুয়াইম বিন হাম্মাদঃ আল-ফিতানঃ
১.আবু তামীম জায়শানী (রাঃ) সূত্রে।
[হাদিস ২৪]
২.কায়েস ইবনে আবু হোসেন (রাঃ) সূত্রে।
[হাদিস ২১]
হযরত উসামা ইবনে যায়েদ (রাঃ) সূত্রে।
[হাদিস ২৫]
4.হযরত হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) সূত্রে।
[ইমাম নুয়াইম বিন হাম্মাদঃ আল-ফিতানঃ হাদিস ৪]
5.হযরত হুযাইফা (রাঃ) সূত্রে।
[ইমাম নুয়াইম বিন হাম্মাদঃ আল-ফিতানঃ হাদিস ৫]
6.
ইমাম নুয়াইম বিন হাম্মাদঃ আল-ফিতানঃ
১.হযরত মুজাহিদ (রহঃ) সূত্রে।
[ হাদিস ১৩ ]
২.হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) সূত্রে।
[ হাদিস ১২ ]
৩.হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) সূত্রে।
[ হাদিস ১৪ ]
৪.হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) সূত্রে।
[ইমাম তাবরানীঃ আত-তাবরানী
খন্ড : ১১, পৃষ্ঠা : ৫৮]
7.
১.হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) সূত্রে।
[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদঃ ১১৩]
২.হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) সূত্রে (ভিন্ন মতনে)
[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদঃ ১১৭]
৩.হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) সূত্রে। (ভিন্ন মতনে)
[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদঃ ১২৮]
8.
হযরত মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান (রাঃ) সূত্রে।
১.খতিব তিবরিযি, মিশকাতুল মাসাবিহ, ১/৬১পূ, কিতাবুল ই'তিসাম বিস্-সুন্নাহ, হাদিস নং. ১৬২,
২.মুসনাদে আহমদ,আবু দাউদ, আস-সুনান, ৪/১৯৮পৃ. কিতাবুস-সুন্নাহ, হাদিস, ৪৫৯৭
9.
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে।
১. তিরমিযী : আস-সুনান, কিতাবুয যুহুদ, (৩৭) ৩৬ ৪/৬০৪, হাদিস : ২৪০৪, ২৪০৫
২. ইবনে আবু শায়বাহ : আল-মুসান্নাফ, ৭/২৩৫, হাদিস : ৩৫৬২৪ ৯
৩. বায়হাকী : অবুিল ঈমান, ৫/৩৬২, হাদিস : ৬৯৫৬৩
৪. তাবরানী : আল-মু'জামুল আওসাত, ৮/৩৭৯
৫. ইবনুল মুবারক : কিতাবুয যুহুদ, ১/১৭, হাদিস : ৫০
৬. দায়লমী : আল-ফেরদৌস বি মা’সুরিল খিতাব, ৫/৫১০, হাদিস : ৮৯১৯
৭. মুনযিরী আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, ১/৩২, হাদিস : ৪১
৮. ইবনে হান্নাদ : কিতাবুয যুহুদ, ২/৪৩৭, হাদিস : ৮৬০
10.
[ইবনে মাজাহ শরীফ]
11.
১.মুসলিম ১/২১৭ পৃঃ;
২.মিশকাত হা/৫৩৮০ ‘ফিতান’ অধ্যায়।
12.
হুজাইল ইবনে শুরাইবীল (রহঃ), হযরত হুজাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন।
[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদঃ ১৩৪]
13.
১.হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) সূত্রে।
[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদঃ ১২৮]
২.হযরত হোজাইফা (রাঃ) সূত্রে। (ভিন্ন মতনে)
[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদঃ ১৩০]
14.
হযরত হোজাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) সূত্রে।
[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদঃ ১৩২]
15.
হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) সূত্রে।
১. ইবনে আবু শায়বাহ : আল-মুসান্নাফ, ৬/১৬৩, হাদিস : ৩০৩৫৫, ৭/৫০৫, হাদিস : ৩৭৫৮৬।
২. হাকেম : আল-মুসতাদরক, ৪/৪৮৯, হাদিস : ৮৩৬৫
৩. দায়লামীঃ আল-ফেরদৌস বি মা’সুরিল খিতাব, ৫/৪৪১, হাদিস : ৮০৮৬
৪. আবুল মাহাসিনঃ মু'তাসিরুল মুখতাসার, ২/২৬৬
৫. ফিরয়াবীঃ সিফাতুল মুনাফিক ২/৩ হাদিস : ১০৮, ১১০।
_________________
কিতাবুল ফিতান ও অভিশপ্ত খারেজী সম্প্রদায়
সংকলকঃ মাসুম বিল্লাহ সানি
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন