জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি ব্যবহার করা জায়েয?

এন. এম. যাকেরুল ইসলাম জুয়েল

তৈয়্যবিয়া মাদরাসা, চন্দ্রঘােনা, রাঙ্গুনীয়া, চট্টগ্রাম

প্রশ্ন : যদি কারাে বেশি সন্তান ভূমিষ্ট হয়েছে এবং সন্তানদের সুশিক্ষার ব্যবস্থা করতে ও ভরণ-পােষণ চালাতে অক্ষম হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় যদি আরাে অধিক সন্তান ভূমিষ্ট না হওয়ার জন্য ঔষধ ব্যবহার বা লাইগেশন করা সম্বন্ধে কোরআন-হাদীসের আলােকে আলােচনা করলে উপকৃত হব।

উত্তরঃ সন্তানের ভরণ-পােষণ ও সুশিক্ষা দিতে না পারা ইত্যাদির ভয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা নাজায়েয। রিযক্বের মালিক রাযযাক্ব অর্থাৎ মহান রিযকদাতা আল্লাহ্। অবশ্য কম সময়ের ব্যবধানে এবং প্রচুর সন্তান প্রসব হওয়ার কারণে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তখন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা জায়েয। তবে এ ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যেন ঔষধ ব্যবহারের ফলে গর্ভের সন্তান যেন নষ্ট না হয়। ঔষধ ব্যবহারের মাধ্যমে গর্ভের সন্তান ইচ্ছাকৃত নষ্ট করা অনেক বড় গুনাহ্।

উল্লেখ্য যে, গর্ভধারণের ১২০ দিন তথা চারমাস পূর্ণ হবার পর গর্ভের সন্তানের মধ্যে আল্লাহর হুকুমে রূহ প্রদান করা হয়। তখন ঔষধ সেবনের মাধ্যমে গর্ভ নষ্ট করা জান নষ্ট করারই নামান্তর। তা কখনাে শরীয়তে অনুমােদিত নয়। তবে মা জাতি এবং কোলের দুগ্ধপােষ্য সন্তানের শারীরিক ক্ষতি হতে বাঁচার জন্য বিশেষ প্রয়ােজনে গর্ভধারণের ১২০ দিনের পূর্বেই ঔষধ সেবনের মাধ্যমে গর্ভ নষ্ট করা ফক্বীহগণ বৈধ বলে ফতােয়া প্রদান করেছেন।(মা লা বুদ্দা মিনহু, কৃতঃ কাজী সানা উল্লাহ পানিপথী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইত্যাদি ।)(যুগ জিজ্ঞাসা,পৃষ্ঠা - ২৯৫)।

উত্তর দিয়েছেন :-  মুফতি অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান (মা:জি:আ:)


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন