আমাদের এলাকার কিছু লােক বলে যে, পেটে মল থাকলে নামায হবে না এবং সে নামায পড়ে না। তাদের নামায পড়তে বললে উত্তর দেয়- আমরা গায়েবী নামায পড়ি, সে নিজেকে সুন্নীও দাবী করে। জানতে ইচ্ছুক- পেটে মল থাকলে নামায হবে কিনা এবং কেউ হাটা অবস্থায় গায়েবী নামায পড়তে পারে কি?


মুহাম্মদ হানিফুল ইসলাম

শীতলপুর গাউসিয়া মাদরাসা, সীতাকুণ্ড

প্রশ্ন : আমাদের এলাকার কিছু লােক বলে যে, পেটে মল থাকলে নামায হবে না এবং সে নামায পড়ে না। তাদের নামায পড়তে বললে উত্তর দেয়- আমরা গায়েবী নামায পড়ি, সে নিজেকে সুন্নীও দাবী করে। জানতে ইচ্ছুক- পেটে মল থাকলে নামায হবে কিনা এবং কেউ হাটা অবস্থায় গায়েবী নামায পড়তে পারে কি?

উত্তর : পায়খানা-প্রস্রাব নির্দিষ্ট স্থান হতে যতক্ষণ পর্যন্ত বের হবে না, তা পবিত্র - এটাই শরীয়তের ফায়সালা। তা পেট বা প্রস্রাব স্থলে থাকা অবস্থায় নামায, কোরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি পড়া জায়েষ। পেটে মল থাকলে নামায হবে না তা যদি হয়, তবে জীবনে কারাে উপর নামায পড়তে হবে না। কারণ কারাে পেট থেকে সব মল একেবারে বের হয়ে যায় না। কিছু না কিছু পাকযন্ত্রে থেকে যায়। সুতরাং পেটে মল থাকলে নামায হবে না, আমরা গায়েবী নামায পড়ি, এ জাতীয় কথা শরিয়ত তথা দ্বীন-ধর্ম নিয়ে প্রহশনের নামান্তর, এসব ভন্ডামী ছাড়া কিছুই নয়। সুতরাং, নামায, রােযা তথা শরীয়তের প্রকাশ্য বিরুদ্ধ হলে এমন সব ভন্ড, প্রতারক থেকে মুসলমানদেরকে বেঁচে থাকা জরুরী। পাগল, মজনুন, ও প্রকৃত মজজুব হলে ভিন্ন কথা,তাদের কথা ধর্তব্য নয়। শরীয়তের পাবন্দ, ফরজ, ওয়াজিব ইত্যাদি আদায় সম্পর্কে যত্নবান এমন আলেম ও পীরের অনুসরণ করার জন্য সকলের প্রতি অনুরােধ রইল। তবে পেশাব-পায়খানার প্রবল বেগ হওয়াকালীন সময়ে শরীয়তের মাসআলা হল- আগে হাজত সেরে নেবে, তারপর পাক-পবিত্র হয়ে অর্থাৎ অজু করে ধীরস্থির ও মনােযােগ সহকারে আল্লাহর সমীপে নামায আদায় করবে।

(যুগ জিজ্ঞাসা,পৃষ্ঠা - ১৪৩-১৪৪)।


উত্তর দিয়েছেন :-  মুফতি অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান (মা:জি:আ:)।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন