অভিশপ্ত শয়তান অনেক বেশি ধোকাবাজ ও চালাক

 

অভিশপ্ত শয়তান অনেক বেশি ধোকাবাজ ও চালাক, প্রত্যেককে তার মানসিকতা অনুযায়ী কুমন্ত্রণার শিকারে পরিনত করে, যেমনটি প্রসিদ্ধ মুফাসসীর, হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন: মনে রাখবেন যে, শয়তান আলিমদের মনে জ্ঞানগর্ব কুমন্ত্রণা এবং সূফীদেরকে প্রেমময় কুমন্ত্রণা, সাধারণের মনে কুরুচিপূর্ণ কুমন্ত্রণা প্রদান করে। (অর্থাৎ) “যেমন শিকার তেমন ফাঁদ!” অনেক সময় (গুনাহকে এমন ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করে যে,) মানুষ এই গুনাহকে ইবাদত মনে করে নেয়! (মিরাত, ১ম খন্ড, ৮৭ পৃষ্ঠা)



 মাঝে মাঝে শয়তান নিজেকে “খোদা” পরিচয় দিয়েও সামনে আসে এবং পথভ্রষ্ট করার অপচেষ্টা করে, যেমনটি আমাদের পীর ও মুর্শিদ, শাহানশাহে বাগদাদ হুযুরে গউসে আযম সায়্যিদুনা শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এর নিকট এসেছিলো।



সুন লো শয়তাঁ নে হার তরফ হার সু,


খুব ফেয়লা কে জাল রাখা হে।



صَلُّوْا عَلَيْ الْحَبِيْب صَلَّي الله عَلَيْ مُحَمَّد (ﷺ)




আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে কুমন্ত্রণা 



আমাদের প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা (ﷺ)ইরশাদ করেন: তোমাদের মধ্যে কারো নিকট যখন শয়তান আসে তখন তাকে বলে যে, অমুক জিনিস কে সৃষ্টি করেছে? অমুকটি কে করেছে? এমনকি বলে যে, তোমাদের প্রতিপালককে কে সৃষ্টি করেছে? যখন এই পযার্য়ের প্রশ্ন করে, তখন “ أَعُوْذُ بِالله  ” পাঠ করে নাও এবং তাকে এড়িয়ে চলো। (বুখারী, ২য় খন্ড, ৩৯৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩২৭৬)।



সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায় না



 প্রসিদ্ধ মুফাসসীর, হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন  এই হাদীসে পাকের আলোকে বলেন: অর্থাৎ এই প্রশ্নটির উত্তর চিন্তা করার চেষ্টাও করবে না, নয়তো শয়তান প্রশ্নের পর প্রশ্ন করতে থাকবে। أَعُوْذُ بِالله পাঠ করে একে তাড়িয়ে দাও। বরং বলেন: قَالَ فَٱخْرُجْ مِنْهَا فَإِنَّكَ رَجِيمٌ অর্থাৎ তুমি জান্নাত থেকে বের হয়ে যাও। (পারা: ১৪, সূরা: হাজার, আয়াত: ৩৪)


 মনে রাখবেন! “ أَعُوْذُ بِالله ” পাঠ করা শয়তান তাড়ানোর মহৌষধ। (মিরাত, ১ম খন্ড, ৮২ পৃষ্ঠা)



নফস ও শয়তাঁ কি শরারত দূর হো


 ইয়ে করম ইয়া মুস্তফা ফরমায়ে।


 (ওয়সায়িলে বখশীশ, ৮৭ পৃষ্ঠা)




কুমন্ত্রণার কোরআনী প্রতিকার



প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানতে পারলাম যে, যখনই কুমন্ত্রণা


আসবে “ أَعُوْذُ بِالله” পাঠ করে তাকে তাড়ানো উচিত কুমন্ত্রণা আসা অবস্থায় কোরআনে পাকেও আল্লাহ তায়ালার আশ্রয়


প্রার্থনা করার আদেশ দেয়া হয়েছে, যেমনটি ৯ম পারার সূরা


আ’রাফের ২০০ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,


وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ ٱلشَّيْطَٰنِ نَزْغٌ فَٱسْتَعِذْ بِٱللَّهِۚ إِنَّهُۥ سَمِيعٌ عَلِيمٌ


কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ:এবং হে শ্রোতা! যদি শয়তান


তোমাকে কোন খোঁচা দেয়, তবে আল্লাহর আশ্রয় চাও। নিঃসন্দেহে তিনি শ্রোতা, জ্ঞাতা।



মুঝকো দেয় দেয় পানাহ শয়তাঁ সে,


ইস সে ঈমাঁ মেরা বাঁচা ইয়া রব!

_____________

কিতাব: ওয়াসওয়াসা এবং এর প্রতিকার

লেখক: আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন