কেউ খাওয়ালো, তবে অনুসন্ধান করবেন না

 

কেউ খাওয়ালো, তবে অনুসন্ধান করবেন না



 অনেক সময় খাবারের দাওয়াতেও মানুষ কুমন্ত্রণার শিকার হয়ে যায় যে, জানি না এর খাবার হালাল উপার্জনের নাকি হারামের? এই ব্যাপারে হাদীসে পাকে আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হাবীব, হুযুর পুরনূর (ﷺ) َইরশাদ করেন: তোমাদের মধ্যে যখন কেউ তার মুসলমান ভাইয়ের নিকট যায় এবং সে তাকে তার খাবার থেকে খাওয়ায় তবে খেয়ে নাও এবং এ ব্যাপারে প্রশ্ন করোনা আর যদি সে তার পানীয় হতে পান করাতে চায় তবে পান করে নাও এবং এ ব্যাপারে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করো না।


 (শুয়াবুল ঈমান, ৫খন্ড, ৬৭ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৫৮০১)


খাবারের ব্যাপারে অনুসন্ধানে গুনাহের দরজা খোলে যেতে পারে। সুবহানাল্লাহ!! কতইনা সহজ। আহ! যদি আমাদের ধর্মীয় জ্ঞান থাকতো যে, ইলমে দ্বীনও “কুমন্ত্রণা” মূলৎপাটনের অন্যতম মাধ্যম।


আফসোস! আমরা দ্বীন সম্পর্কে ফলেও প্রায় শয়তানের কুমন্ত্রণার শিকার হয়ে যাই। আমার আক্বা, আ’লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত, মাওলানা শাহ ইমাম আহমদ রযা খাঁন (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) ফতোয়ায়ে রযবীয়া ৪র্থ খন্ডের ৫২৮ হতে ৫২৯ পৃষ্ঠায় বলেন: হুজ্জাতুল ইসলাম, হাকীমুল উম্মত, কাশফুল গুম্মাহ ইমাম আবু হামেদ মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাযালী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) ইহইয়াউল উলুম শরীফে বলেন: আমি বলছি (যাকে দাওয়াত দেয়া হয়েছে) তার জন্য জায়িয নেই যে, সে ঐ ব্যক্তি (দাওয়াত প্রদানকারী) থেকে প্রশ্ন করার বরং যদি সে খোদাভীরুতা অবলম্বন করতে চায়, তবে নম্রতার সহিত বর্জন করুন এবং যদি (দাওয়াতে) যেতেই হয় তবে কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করেই খেয়ে নিন, কেননা জিজ্ঞাসা করাতে কষ্ট দেয়া, লজ্জা ও ভয় সৃষ্টি করাই এবং তা নিঃসন্দেহে হারাম।


ইমাম গাযালী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আরো বলেন:- আর কতবড় মূর্খ ধার্মিক, যে অনুসন্ধান করার মাধ্যমে মনে ভয় সৃষ্টি করে দেয় এবং খুবই কঠোর ও কষ্টদায়ক বাক্য ব্যবহার করে থাকে, আসলে শয়তান তাদের দৃষ্টিতে একে উত্তম বানিয়ে দেয়, যেনো সে হালাল ভক্ষনকারী হিসেবে প্রসিদ্ধি পায় এবং যদি এর কারণ শুধু দ্বীনই হয়, তবুও মুসলমানের অন্তরে কষ্ট দেয়ার ভয় এরূপ জিনিসকে পেটে প্রবেশ করার ভয় থেকে বেশী, যার সম্পর্কে সে জানে না, কেননা যে বিষয়ে সে জানেনা ঐ বিষয়ের জবাবদিহিতা হবেনা। যদি সেখানে এরূপ কোন নিদর্শন না থাকে, যার ফলে বিরত থাকাটা আবশ্যক হয়ে পড়ে। তবে জেনে নাও! বিরত থাকা, জিজ্ঞাসার বিপরীত, অনুসন্ধান নয় আর যদি খাওয়া জরুরী হয় তবে খেয়ে নাও এবং ভালো ধারণা করাই হলো পরহেযগারী।


(ইহয়াউল উলুম, ২য় খন্ড, ১৫০ পৃষ্ঠা)



দিল পে শয়তান নে আক্বা হে জমায়া কবযা,


হোঁ গুনাহোঁ মে গিরিফতার রাসুলে আরাবী।


আহ! বড়তা হি চলা জাতা হে মরিযে ইচইয়াঁ ।


দো শিফা সৈয়্যদে আবরার রাসুলে আরাবী।


َ

_____________

কিতাব: ওয়াসওয়াসা এবং এর প্রতিকার

লেখক: আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন