কাদিয়ানীদেরকে কেন কাফির বলা হয়?

 ৩

মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান

স্নাতক সম্মান (ইংলিশ),চট্টগ্রাম সিটি কলেজ


প্রশ্ন : কাদিয়ানীদেরকে কেন কাফির বলা হয়? এরা তাে নামায, রােযা, হজ্ব, যাকাত সবইতাে পালন করে থাকে। প্রচলিত আছে, কাফিরকেও নাকি কাফির বলা যাবেনা। বিশুদ্ধ উত্তর জানিয়ে ঈমান-আমল রক্ষা করতে বাধিত করবেন।

উত্তর : কাদিয়ানীদের প্রতিষ্ঠাতা তথা মির্যা গােলাম আহমদ কাদিয়ানী আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামকে শেষনবী হিসেবে মানতে অস্বীকার করেছে। যা পবিত্র কোরআন ও অসংখ্য হাদীসে রসূল দ্বারা প্রমাণিত। যেমন পবিত্র কোরআনে এসেছে- : (আরবীর অনুবাদ,কিতাবে আরবী উল্লেখ আছে)অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তােমাদের পুরুষদের কারাে পিতা নয় বরং তিনি আল্লাহরই রসূল ও সর্বশেষনবী...। সূরা আহযাব, আয়াত-৪০)।

তাছাড়া নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম শেষনবী হওয়ার উপর সকল সাহাবা এবং পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল আলিমগণ একমত পােষণ করেছেন। তাই এরূপ একটি স্পষ্ট ও ইসলামের অন্যতম আক্বীদাকে অস্বীকার করার কারণে কাদিয়ানীদেরকে দ্বীনের অন্যান্য হুকুম

-আহকাম, যথা নামায, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি পালন করার পরও কাফির বলা হয়। কাফিরকে অবশ্যই কাফির বলা যাবে যদি স্পষ্ট কুফরি প্রমাণিত হয়।

 যেমন পবিত্র কোরআনের সূরা কাফিরুনে আল্লাহ প্রিয়নবীকে সম্বােধন করে বলেন (আরবীর অনুবাদ,কিতাবে আরবী উল্লেখ আছে) (হে হাবীব। আপনি বলুন হে কাফিরগণ) এর দ্বারা প্রমাণিত হয়, কাফিরকে অবশ্যই কাফির বলতে হবে। আর প্রকৃত ঈমানদারকে অবশ্য মুমিন বা ঈমানদার বলে সম্বােধন করতে হবে। এটাই কোরআন- সুন্নাহর ফায়সালা। (শরহে আক্বাইদে নাসাফী, নিবরাস, খিয়ালী ও শরহে মাওয়াক্বিফ ইত্যাদি।)।( যুগ জিজ্ঞাসা,পৃষ্ঠা - ৫৫)।


উত্তর দিয়েছেন :-  মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান (মা:জি:আ:)

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন