তাজিম ও মুহাব্বতের সাথে দরুদ পাঠ করে ঐ ফেরেস্তা

 

তাজিম ও মুহাব্বতের সাথে দরুদ পাঠ করে ঐ ফেরেস্তা


(১৪) ইবনে বাশকুয়াল  (رحمة الله) হযরত আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনাকারী, হুযুর পুরনূর (ﷺ) ইরশাদ ফরমান,

من صلى على تعظيما الحقى خلق الله عزوجل من ذالك القوم


ملکاله جناح بالمشرق وآخر بالمغرب يقول عزو جل له صل على عبدی کما صلی علی نبي فهو يصلي عليه الى يوم القيامة


অর্থাৎ, যে আমার উপর আমার হকের তাজিম ও সম্মানের উদ্দেশ্যে দরুদ পেশ করে, আল্লাহ তায়ালা ঐ দরুদ থেকে একজন ফেরেস্তা সৃষ্টি করেন, যার একটি ডানা পূর্ব দিকে, আর একটি ডানা পশ্চিম দিকে বিস্তৃত। আল্লাহ তায়ালা তাকে বলেন, দরুদ প্রেরণ করাে আমার বান্দার উপর, যেভাবে সে আমার নবীর উপর দুরুদ প্রেরণ করেছে। ঐ ফেরেস্তা কিয়ামত পর্যন্ত তার


উপর দুরুদ প্রেরণ করতে থাকবেন।



▪ এ রেওয়ায়েত ইবনে সাবা এবং ফাকেহানীও বর্ণনা করেন।


▪ আমার সম্মানিত পিতা খাতেমুল মােহাক্কেকীন কুদ্দিসা সিররুহু স্বীয় বিখ্যাত ‘আল কালামুল আওদাহ্ ফী তাফসীরে আলাম নাশরাহ' গ্রন্থে সৈয়দুনা হযরত ইমাম সাখাবী  (رحمة الله) থেকে বর্ণনা পূর্বক উল্লেখ করেন, হজুর সৈয়দে আলম (ﷺ) ইরশাদ ফরমান-



"আল্লাহর একজন ফেরেস্তা রয়েছেন যার একটি বাহু পূর্বপ্রান্তে, আরেকটি বাহু পশ্চিম প্রান্তে। যখন কোন ব্যক্তি আমার প্রতি ভালােবাসা ও মুহাব্বতের সাথে দরুদ পাঠ করে ঐ ফেরেস্তা পানিতে ডুব দিয়ে স্বীয় ডানা ঝাড়া দেয়। আল্লাহ তায়ালা তার ডানা থেকে ঝরে পরা প্রত্যেক পানির বিন্দু ও ফোঁটা থেকে একেকজন ফেরেস্তা সৃষ্টি করেন, যারা কিয়ামত পর্যন্ত দরুদ প্রেরণকারীদের উপর ইস্তেগফার এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন। 



ঐ গ্রন্থের শেষ পর্যন্ত আরাে সূক্ষ্ম বর্ণনা রয়েছে।



▪ ইমাম কাস্তালানী  (رحمة الله)'র "আল মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়া" কিতাবে রয়েছে,


قدروی آن ثم ملائكة يسبحون فيخلق الله بكل تسبيحة ملكا


অর্থাৎ, কথিত আছে যে, ওখানে কতেক ফেরেস্তা রয়েছে, যারা আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করেন, আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক তাসবীহ থেকে একেকজন ফেরেস্তা সৃষ্টি করেন।

_____________

কিতাবঃ ফেরেস্তা সৃষ্টির ইতিবৃত্ত [আল হেদায়াতুল মােবারাকা ফী তাখলীকে মালায়েকা"র বাংলা রূপ]

মূলঃ ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী (রঃ)

অনুবাদঃ আবু সাঈদ ইউসুফ জিলানী

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন