ছামা বা জিকিরের সময় মাথা বা শরীর নাড়ানো কেমন?
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, শরিয়ত সম্মত যেকোন ভাল ছমির তালে গাসে মাথা কিংবা শরীরের কোন অংশ স্বাভাবিকভাবে নাড়ানেী। সাধারণত জযবার কারণে এরূপ হয়ে থাকে। অনেক মাশায়েখগণ তাঁদের ছামার তালে তালে মাথা কিংবা শরীরের কোন কোন অঙ্গ নাড়িয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে সর্বাবস্থায় সীমালঙ্গনকারীকে আল্লাহ তা'লা পছন্দ করেন না। এ বিষয়ে রাসূলে পাক (ﷺ) এর পবিত্র হাদিস শরীফের প্রতি লক্ষ্য করা প্রয়ােজন। যেমন এ বিষয়ে ছহীহ হাদিসে আছে,
حدثنا إسحاق ، أخبرنا خان ، حدثنا همام ، حدثنا قتادة ، حدثنا أنس بن مالك ، قال : كان للنبي صلى الله عليه وسلم كاد يقال له أنجشة ، وكان حسن الصوت ، فقال له النبي صلى الله عليه وسلم : ژويدك يا أنجشة ، لا تكسر القوارير قال قتادة : يغني ضفة النساء
- "হযরত আনাস (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, আল্লাহর নবী (ﷺ) এর একজন হাদী বা উটের রশি টানার লােক ছিল আর তার খুব সুন্দর কন্ঠ ছিল। একদা নবীজি (ﷺ) তাকে বললেন : বন্ধ করাে হে আনজাসহ। কেননা কাচ গুলাে ভেঙ্গে যাবে। কাতাদা (رحمة الله) বলেন : কাচ মানে বৃদ্ধা মহিলা।(ছহীহ বুখারী, হাদিস নং ৬২১১ ; ছহীহ মুসলীম ; দারেমী শরীফ, হাদিস নং ২৭০১ ; মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ১৩৬৪২ ; ইমাম বায়হাক্বী : সুনানে কুবরা, হাদিস নং ২১০৩২ ; মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদিস নং ২৮৬৮ ; ছহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং ৫৮০১ ; ইমাম নাসাঈ : আমালু ইয়াওমি ওয়া লাইলাতি, হাদিস নং ৫২৭ ; ইমাম ইবনে সুন্নী : আমালু ইয়াওমি ওয়া লাইলাতি, হাদিস নং ৫১৩ ; মেসকাত শরীফ, হাদিস নং ৪৮০৬ ; মেরকাত শরহে মেসকাত, ৯ ম খন্ড, ৪৯ পৃ .)।
এ হাদিসের ভাবার্থ হচ্ছে, একদা প্রিয় নবীজি (ﷺ) এর উটের রশি টানা। অবস্থায় আনজাসাহ নামক সাহাবী অত্যান্ত সুরেলা কন্ঠে ছামা বলতে শুরু করেন। ফলে ঐ ছামার তালে তালে বহনকারী উটগুলােসহ পর্যন্ত হেলে দুলে চলতে লাগল। ফলে উটের উপর অবস্থানরত বৃদ্ধা মহিলারা নিচে পরে যাওয়ার উপক্রম হলাে। তাই আল্লাহর নবী (ﷺ) তাঁকে বললেন ;
رويدك يا أنجشة ، لا تكسر القوارير "
অর্থাৎ, বন্ধ করাে হে আনজাসাহ! কেননা কাচ গুলাে ভেঙ্গে যাবে। এই হাদিস দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত হয়, ছামার তালে তালে ইশকের কারণে মাথা কিংবা শরীরের কোন কোন অঙ্গ স্বাভাবিক হেলা - দুলা করানাে রাসূলে পাক (ﷺ) এর জামানাও ছিল, তাই এতে কোন দূষের কিছু নেই। তবে
- إنه لا يحب المعتدين
- "সীমালঙ্গনকারীকে আল্লাহ পাক পছন্দ করেন না।"
এ সম্পর্কে নিচের হাদিস গুলাে লক্ষ্য করুন-
حدثنا عبد الصمد قال : حدثنا حماد ، عن ثابت ، عن أنس قال : كانت الحبشة زفثون بين يدي رسول الله صلى الله عليه وسلم ويرقصون ويقولون : محمد عبد الخ ، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ما يقولون ؟ قالوا : يقولون : محمد عبد صالح
- "হযরত আনাস (رضي الله عنه) বলেন, একদা হাবশীরা রাসূলে পাক (ﷺ) এর সামনে নাচতে নাচতে বলতে লাগল : মুহাম্মদ (ﷺ) একজন নেক বান্দাহ!
আল্লাহর রাসূল (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন : তারা কি বলছে ? লােকেরা বলল : মুহাম্মদ (ﷺ) একজন নেক বান্দাহ বলছেন।" (মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ১২৫৪০ ; ইমাম দ্বিয়াউদ্দিন মাকদেসী : আহাদিসুল মুখতারাহ, হাদিস নং ১৬৮০ ; ছহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং ৫৮৭০ ; হাদিসু সিরাজ, হাদিস নং ২১৫৩ ; হাদিসের মান ছহীহ)
এই হাদিস بر قصون থেকে বুঝা যায়, রাসূলে পাক (ﷺ) এর শান - মান বলার সময় শরীর সামান্য ر قص হেলা দুলা করা বৈধ। কেননা রাসূলে করীম (ﷺ) তাদেরকে এরুপ করতে নিষেধ করেননি। তবে কোন কোন হাদিসে بر قصون (ইয়ারকুছুন) এর অর্থ ياعبون (ইয়ালয়াবুন) বা খেলা অর্থে উল্লেখ রয়েছে। এখানে بر قصون (ইয়ারকুছুন) অথবা يلعبون (ইয়ালয়াবুন) যে অর্থেই হাদিসটি আমল করা হউক না কেন ইসলামী সংগীত বলার সময় মহব্বতের জোসে শরীর হেলা দুলা করা জায়েয প্রমাণিত হয়।
এ সম্পর্কে আরেকটি হাদিস লক্ষ্য করুন,
حدثنا عبد العزيز بن عبد الله ، قال : كنا إبراهيم بن سعد ، عن صالح بن گیان ، عن ابن شهاب ، قال : أخبرني غزوة بن الژبير ، أن عائشة ، قالت لقد رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم يوما على باب حجرتي والحبشة يلعبون في المستجير ، ورسول الله صلى الله عليه وسلم يسنثني بردائه ، أنظر إلى لعبهم
- "হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, একদা আমি আল্লাহর রাসূল (ﷺ) কে আমার ঘরের দরজায় দেখতে পেলাম। তখন হাবশার লােকেরা মসজিদে (বর্শা নিয়ে খেলা করছিলেন। আল্লাহর রাসূল (ﷺ) তার চাদর দিয়ে আমাকে আড়াল করে রাখছিলেন। আমি ঐ অবস্থায় ওদের খেলা অবলােকন করছিলাম। (ছহীহ বুখারী, হাদিস নং ৪৫৪ ; হাদিসু সিরাজ, হাদিস নং ২১৩৮ ; মুসনাদু আহমদ, হাদিস নং ২৬৩২৮ ; সুনানু নাসাঈ, হাদিস নং ১৫৯৫)
এই হাদিস থেকে বুঝা যায়, বিশেষ কোন বৈধ কাজে মহব্বতের জোসে। শরীর সামান্য হেলে দুলে ইসলামী সংগীত / ছামা বা আল্লাহর জিকির করা জায়েয। কেননা প্রিয় নবীজি (ﷺ) এরুপ করাতে বাধা দেননি। শরিয়ত সম্মত ইসলামী সংগীত মূলত জিরুল্লাহর অন্তর্ভূক্ত ও গােনাহ মাফের উছিলা। হাফিজুল হাদিস আল্লামা ইবনে কাছির (رحمة الله) তাফছির করতে গিয়ে উল্লেখ করেন ;
قال تعالى : { إلا الذين آمنوا وعملوا الصالحات وكروا الله كثيرا قيل : ماه : ذكروا الله كثيرا في كلامهم . وقيل : في شعرهم ، وكلاهما صحيح مگر لما سبق .
- "যারা শের বা গজল ও বিশুদ্ধ কালাম দ্বারা আল্লাহর জিকির করে তারা। নিন্দিত নয় এবং ইহার দ্বারা তাদের পূর্বের সকল গােনাহ মাফ হয়ে যাবে। দুইটি কথাই ছহীহ।" (তাফছিরে ইবনে কাছির, ৩ য় খন্ড, ৪৩৬ পৃঃ)।
অতএব, ইসলামী কালাম বা কাছিদা ও শের বা ইসলামী সংগীত পাঠের মাধ্যমেও আল্লাহর জিকির করা যায় এবং ইহার দ্বারা অতীতের সকল গােনাহ মাফ হয়। ছামা বা জিকিরের সাথে জযবার কারণে শরীর সামান্য ঝাকি মারার বিষয়ে নিচের হাদিসটি উল্লেখযােগ্য,
حدثنا أسود يعني ابن عامر ، أخبرنا إسرائيل ، عن أبي إسحاق ، عن هاني بن هانئ ، عن علي ، قال : أتيت النبي صلى الله عليه وسلم أنا وجع ، وزية ، قال : فقال ليد : أنت مولاي فجل ، قال : وقال لجعفر : أنت أشبهت خلقي وخلقي ، قال : فجل وراء زيد ، قال : وقال لي : أنت مني ، وأنا منك ، قال : فجل وراء جعفر
- "হযরত আলী (رضي الله عنه) বলেন, আমি, জাফর ও জায়েদ (رضي الله عنه) আল্লাহর নবী (ﷺ) এর কাছে আসলাম। আলী (رضي الله عنه) বলেন, প্রিয় নবীজি (ﷺ) জায়েদ (رضي الله عنه) কে বললেন : তুমি মাওলা বা বন্ধু! ফলে সে ঝাকি মেরে উঠল। জাফর (رضي الله عنه) কে প্রিয় নবীজি (ﷺ) বললেন : তুমি সৃষ্টি ও চরিত্রে আমার অনুরুপ। ফলে সে জায়েদ (رضي الله عنه) এর পিছনে ঝাকি মেরে উঠল। অত : পর প্রিয় নবীজি (ﷺ) আমাকে বললেন : তুমি আমার থেকে আমি তােমার থেকে। ফলে আমিও জাফরের পিছনে ঝাকি মেরে উঠলাম।
(মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ৮৫৭ ; মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ৯৩১ ; ইমাম বায়হাকী : আল আদাব, হাদিস নং ৬২৬ ; ইমাম বায়হাকী : সুনানুল কুবরা, হাদিস নং ১৫৭৭০, ২১০২৭ ; মুসনাদে বাজ্জার, হাদিস নং ৭৪৪ ; ইমাম দ্বিয়াউদ্দিন মাকদেছী : আহাদুিল মুখতারাহ, হাদিস নং ৭৭৮)
হাদিসটি এ صحيح ছহীহ কিংবা حسن হাছান স্তরের হাদিস। ইহার বর্ণনাকারী حني بن حاني'হানী ইবনে হানী'সহ আরেকজন রাবীও বর্ণনা করেছেন। যেমন নিচের সনদটি লক্ষ্য করুন,
حدثنا حتجاج ، حدثنا إسرائيل ، عن أبي إسحاق ، عن هاني بني هاني وهبيرة بن يريم ، عن علي ، ...
- "হাজ্জা হাদিস বর্ণনা করেছেন ইসরাইল থেকে তিনি আবী ইসহাক থেকে- তিনি হানী ইবনে হানি থেকে ও হুবাইরা ইবনে ইয়ারিম থেকে তিনি হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে ..।" (ইমাম বায়হাক্বী : সুনানুল কুবরা, হাদিস নং ১৫৭৭০, ২১০২৭)
সুতরাং হাদিসটি'হানী ইবনে হানী'ও হুবাইরা ইবনে ইয়ারিম এই দুইজন থেকে বর্ণিত রয়েছে। তবে এই হাদিসের সনদে حني بن حاني'হানী ইবনে হানী'নামক একজন রাবী রয়েছে, যার ব্যাপারে আলী ইবনে মাদিনী (رحمة الله) মজহুল বললেও একাধিক ইমাম তাকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযােগ্য বলেছেন। যেমন লক্ষ্য করুন,
وذكره ابن حبان في الثقات . وقال النسائي : ليس به بأس .
- "ইমাম নাসাঈ (رحمة الله) বলেছেন : তার ব্যাপারে অসুবিধা নেই। ইমাম ইবনে। হিব্বান (رحمة الله) তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন।(ইমাম যাহাবী : মিনুল এ'তেদাল, রাবী নং ৯১৯৯ ; ইমাম মিযী : তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৬৫৪৮ ; ইবনে কাছির : তাকমিল ফি জারহি ওয়া তাদিল, রাবী নং ৭৮৩)
"ইমাম ইজলী (رحمة الله) তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন। (ইমাম ইজলী : কিতাবুস ছিক্বাত, রাবী নং ১৮৮৩)
ইমাম নুরুদ্দিন হায়ছামী (رحمة الله) তাকে & বিশ্বস্ত বলেছেন। (ইমাম হায়ছামী : মাজমুয়াউয যাওয়াইদ, হাদিস নং ১২৮৬৯)
এই রাবীর বর্ণিত হাদিসকে ইমাম হাকেম (رحمة الله) ও ইমাম যাহাবী (رحمة الله) صحيح ছহীহ বলেছেন। (মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ৪৭৭৩ ও ৫৬৬২)
ইমাম তিরমিজি (رحمة الله) حني بن حاني (হানী ইবনু হানী) এর বর্ণিত হাদিসকে حسن হাছান বলেছেন। (তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ৩৭৭৯)
আরেক হাদিসে তার বর্ণিত হাদিসকে حسن صحيح হাছান ছহীহ বলেছেন। (তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ৩৭৯৮)
অতএব, হাদিসটি صحيح ছহীহ্ কিংবা حسن হাছান স্তরের হাদিস। যা দ্বারা প্রমাণিত হয়, মহব্বতের ফায়েযে শরীর ঝাকি দেয়া বা শরীফ সামান্য হেলা দুলা করা বৈধ। আর এ কারণেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করার সময় হাফেজ সাহেব বা তেলাওয়াত কারীর মাথা থেকে শুরু করে পিঠ ও সারা শরীর হেলে - দুলে অথচ তখন কারােই কোন আপত্তি থাকেনা। কারণ। এসময় হেলা - দুলা আনতে বরং এমনিতেই এসে যায়। এ কারণেই হয়ত আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এরশাদ করেছেন:
حدثنا أبو بكر بن عبد الله الشافعي ، ببغداد ، ثنا أبو إسماعيل محمد بن إسماعيل ، ثنا سعيد بن كثير ، وأضي بث الفرج ، وأخبرني عبد الله بن موسى ، ثنا محمد بن أيوب ، أنا أخمد بن عيسى ، وحدثنا محمد بن صالح ، ثنا مممممم بن إسماعيل ، ثنا أبو الطاهر ، قالوا : ثنا عبد الله بن وهب ، قال : وأخبرني عمرو بن الحارث ، أ دراجا أبا السمح حئه ، عن أبي الهيم ، عن أبي سعيد الخدري ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : أكثروا في الله حتى يقولوا مجنون
- "হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন : এত বেশী বেশী জিকির করাে যেন লােকরা তােমাদেরকে পাগল বলে।
(মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ১১৬৭৪ ; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ১৮৩৯ ; ইমাম ইবনে শাহিন : আত্তারহীব, হাদিস নং ১৫৬ ; ইমাম বায়হাকী : শুয়াইবুল ঈমান, ১ ম খন্ড, ৩৪১ পৃ : হাদিস নং ৫২৩ ; ইমাম তাবারানী : আদ দোয়া, হাদিস নং ১৮৫৯ ; ছহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস। নং ৮১৭ ; ইবনে সুন্নী : আমালু ইয়াওমি ওয়া লাইলাতি, হাদিস নং ৪ ; ইমাম বায়হাকী : দাওয়াতুল কবীর, হাদিস নং ২১)
সুতরাং আল্লাহর জিকির সরবে ও নিরবে দুই ভাবেই করা যায়। অবস্থাভেদে উচ্চস্বরে জিকির করা জায়েয। আল্লাহর জিকির দাঁড়িয়ে বসে ও শুয়েও করা যায়, যা পবিত্র কোরআন দ্বারা প্রমাণিত। ইসলামী সংগীত সুন্নাতে সাহাবা ও প্রিয় নবীজি (ﷺ) এর পছন্দের জিনিস। জিকির কিংবা ছামার সময় শরীর সামান্য নড়ে চরে উঠা একটা বিশেষ হাল, তবে ইচ্ছা করে মাত্রাধিক ঝাকি মারা উচিৎ নয়। মনে রাখা উচিৎ, সীমালংঘন কারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।
_________________
শরীয়তের দৃষ্টিতে ক্বালবী জিকির ও ছামার বৈধ্যতা
রচনা ও সংকলনেঃ মুফতি মাওলানা আলাউদ্দিন জেহাদী
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন