জ্বিনদেরকে আসমানে যাওয়ার থেকে বাধা প্রদান করা হয় এবং তখন তারা একে অপরকে বলতে লাগলো: নিঃসন্দেহে আমাদের নিজেদের রাস্তায় কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। আর ফিরিশতারা অত্যন্ত খুশি ও ভক্তি সহকারে তাসবীহ পাঠে ব্যস্ত হয়ে গেল, বাতাস আন্দোলিত হতে-হতে সামনে বাড়তে লাগলো এবং মেঘমালা প্রকাশ করে দেয়া হলো। বাগানে গাছের ঢাল সমূহ ঝুঁকতে থাকে এবং জগতের সকল পার্শ্ব থেকে “আহলান সাহলান মারহাবা এর আওয়াজ আসতে থাকে।মোটকথা,
▶ হুযুর পুরনূর ﷺ'র শুভাগমন পুরোপুরি রহমত এবং বরকতের উৎস,সুতরাং আসহাবে ফিলের ধ্বংসের ঘটনা, ইরানের যে অগ্নিকুন্ড ১০০০ বছর ধরে জ্বলছিল তা মূহুর্তেই নিভে যাওয়া,"কিসরার" প্রসাদে ভূমিকম্প এবং এর ১৪টি গম্বুজ ধ্বংস হওয়া।
"হামাদান"ও “কুম"এর মাঝে ছয় মাইল লম্বা ও ছয় মাইল প্রস্থ “সাবা" নদী সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়া। হুযুর ﷺ এর আম্মাজানের শরীর মোবারক থেকে এমন এক নূর বের হওয়া, যার কারনে “বসরার প্রাসাদ আলোকিত হয়ে যায়।
🔺(আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া ওয়া শরহে যুরকানি বিলাদাতিহী, ১/১৬৭,২২১,২২৭,২২৮)
এই সকল ঘটনাই তারই আগমনের অংশ বিশেষ। যা হুযুর ﷺ এর আগমনের পূর্বেই “সূসংবাদ দানকারী” হয়েই সমগ্র জগৎকে সুসংবাদ দিতে লাগলো যে;
মোবারক হো ওহ্ শাহ পরদে সে বাহার আনে ওয়ালাহে,
আদাঈ কো যামানা জিস কে দর পর আনে ওয়ালা হে
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! মনে রাখবেন! জশনে ঈদে মীলাদুন্নবী ﷺ উদযাপন করা কল্যানময় একান্ত কাজ। এটি উদযাপন কারীদের আল্লাহ্ তাআলার পক্ষ থেকে অসংখ্য ̈ দ্বীনি ও দুনিয়াবী দয়া ও অনুগ্রহ অর্জিত হয়। যেমন-
▶তাফসিরে রূহুল বয়ানে বর্ণিত রয়েছে যে, মাহফিলে মীলাদ শরীফের বরকত সারা বছর ধরে বিরাজমান থাকে। 🔺(রূহুল বায়ান, ৯/৫৭)
▶▪এরূপ হযরত সায়্যিদুল ইমাম কাসতালানী رضي الله عنه বলেন: সৌভাগ্য মন্ডিত জম্মের দিন গুলোতে মাহফিলে মীলাদ উদযাপনের বিশেষ ভাবে পরীক্ষিত বিষয় হচ্ছে যে, সেই বছর নিরাপত্তাই- নিরাপত্তা বিরাজ করে, আল্লাহ্ তাআলা সেই ব্যক্তির উপর রহমত বর্ষণ করুন যে বিলাদতের মাসের রাত সমূহে ঈদ উদযাপন করে। 🔺(মাওয়াহেবুলিদ দুনিয়া, ১ম খন্ড, ১৪৮ পৃষ্ঠা)।
____________
কিতাব : তাজীমে মুস্তাফা ﷺ
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন