জশনে ঈদে মীলাদুন্নবী উদযাপনকারীদের দুনিয়াবী বরকতের পাশাপাশী জান্নাতের সুসংবাদ


জশনে ঈদে মীলাদুন্নবী উদযাপনকারীদের দুনিয়াবী বরকতের পাশাপাশী জান্নাতের সুসংবাদও রয়েছে,

▶▪শায়খ আব্দল হক মুহাদ্দীস দেহলভী رضي الله عنه বর্ণনা করেছেন: নবী করিম ﷺ এর সুভাগমনের রাতে আনন্দ উদযাপন কারীদের প্রতিদান এই যে, আল্লাহ্ তাআলা তাঁর দয়া আর মেহেরবাণীতে তাদেরকে ‘জান্নাতুন নাঈম" দান করবেন , মুসলমানগন সর্বদা মীলাদে মুস্তাফা ﷺ উদযাপন করে আসছেন। বিলাদতে মুস্তাফায় আনন্দিত হয়ে মানুষকে দাওয়াত দিচ্ছেন। খাবারের আয়োজন করছেন, বেশী পরিমানে দান খয়রাত করে আসছেন, খুবই আনন্দ প্রকাশ করছেন এবং মন খুলে খরচ করেন। তাছাড়া হুযুর ﷺ এর সৌভাগ্যময় বিলাদতের আলোচনার ব্যবস্থা করেন এবং নিজেদের ঘর-বাড়ী সজ্জিত করে থাকেন, আর এই সম্মানিত ভাল কাজের বরকতে তাদের উপর আল্লাহ্ তাআলার রহমত বর্ষিত হয়।


🔺(মা সাবাতা বিস্সুন্নাহ, ৭৪ পৃষ্ঠা। বসন্তের প্রভাত, ১৩ পৃষ্ঠা)



প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা দেখলেন তো! প্রিয় আক্বা, মাদানী মুস্তাফা ﷺ'র মীলাদ উদযাপনকারীদের উপর আল্লাহ্ তাআলা কিরূপ খুশি হন এবং তাদের কিরূপ উপহার ও নেয়ামত দান করেন। তাই জশনে মীলাদের খুশিতে মসজিদ সমূহ ঘর, দোকান এবং বাহন সমূহ তাছাড়া নিজের মহল্লায়ও সুবজ পতাকা লাগান। লাইটিং করুন বা কমপক্ষে ১২টি লাইট অবশ্যই লাগান। রবিউল আউয়ালের ১২ তারিখে রাতে সাওয়াবের নিয়তে ইজতিমায়ে যিকির ও নাতে অংশগ্রহণ করুন এবং সুবাহে সাদিকের সময় সবুজ পতাকা হাতে দরূদ সালাম পড়তে পড়তে অশ্রু সজল নয়নে বসন্তের প্রভাতের শুভাগমন জানান। ১২ রবিউল আউয়ালের দিন সম্ভব হলে রোযা ও রাখুন।


▶▪আমাদের প্রিয় আক্বা ﷺ থেকে প্রতি সোমবার রোযা রেখে নিজের বিলাদত উদযাপন করতেন। যেমন- হযরত সায়্যিদুল কাতাদাহ  رضي الله عنه থেকে বর্ণিত ; বারগাহে রিসালাত ﷺ এ সোমবারের রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, ইরশাদ করেন: “এই দিন আমার জন্ম হয়েছে এবং এই দিনই আমার প্রতি ওহী নাযিল হয়েছে।


🔺(সহীহ মুসলিম ৫৯১ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১১৬২)



 মনে রাখবেন! নবী করীম ﷺ এর বিলাদতে খুশী উদযাপন করার আদেশ কুরআনে করীম থেকেই প্রমাণীত। যেমন-



▶পারা ১১, সুরা ইউনুস এর ৫৮ নং আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে;


▪কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আপনি বলুন আল্লাহরই অনুগ্রহ ও তাঁর দয়া, এবং সেটারই উপর তাদের আনন্দ প্রকাশ করা উচিৎ। তা তাদের সমস্ত ধন-সম্পদ অপেক্ষা শ্রেয়। 🔺(পারা- ১১, সরা- ইউনুস, আয়াত- ৫৮)


▶▪প্রখ্যাত মুফাস্সীর হাকিমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন  رضي الله عنه এই আয়াতে মোবারাকা সর্ম্পকে বলেন: হে মাহবুব! লোকদের এই সুসংবাদ দিয়ে তাদের এই আদেশ দিন যে, আল্লাহ্ তাআলার অনুগ্রহ এবং তাঁর দয়া অর্জন করে খুশী উদযাপন করো। সাধারণ খুশী তো সবসময় উদযাপন করো। আর বিশেষ বিশেষ খুশী বিশেষ তারিখে উদযাপন করো যেই তারিখ নেয়ামত প্রাপ্ত হয়েছে অর্থাৎ রমযানে বিশেষ করে শবে কদর এবং রবিউল আউয়াল বিশেষ করে ১২ তম তারিখ কেননা রমযানে আল্লাহ্ তাআলার অনুগ্রহে কুরআন অবতীর্ন হয়েছে আর রবিউল আউয়ালে রহমাতুল্লিল আলামীন অর্থাৎ মুহাম্মদ মুস্তাফা ﷺ শুভাগমণ করেন। এই অনুগ্রহ দয়া বা খুশি উদযাপন তোমাদের দুনিয়ায় জমানো ধন-সম্পদ টাকা, জায়গা জমি, পশু ক্ষেত খামার বরং সন্তান সন্ততি সবকিছুর চাইতেও উত্তম কেননা এই খুশির উপকারীতা ব্যক্তিগত নয় বরং জাতীয়, সাময়িক নয় বরং দীর্ঘস্থায়ী। শুধুমাত্র দুনিয়ার নয় বরং দ্বীন ও দুনিয়া দুইটিতেই। শারীরিক নয় বরং অন্তরের এবং রূহানী নষ্ট হয় না বরং এতে সাওয়াব রয়েছে।


🔺(তাফসীরে রুহুল বয়ান, ১১/৩৬৯)



▶ধুম মাচাতে রাহে, আউর মানাতে রাহে, ঈদে মীলাদ হাম, তাজেদারে হারাম।


ঈদে মীলাদ মে, গাড়ে ইয়াদ মে, সবুজ পেয়ারা আলাম, তাজেদারে হারাম।


🔺(ওয়াসায়িলে বখশিশ)

____________

কিতাব : তাজীমে মুস্তাফা ﷺ

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন