কুফা নগরীর ওপর ইবনে যিয়াদ কড়া নজরদারি বসিয়েছিলো


কুফা নগরীর ওপর ইবনে যিয়াদ কড়া নজরদারি বসিয়েছিলো। যখন ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه)’এর আগমনের বার্তা তার কাছে পৌঁছোয়, সে পারস্যের - دیلمیان - দে’লামিয়্যা’ন যোদ্ধাদের সাথে লড়বার জন্যে অগ্রসরমান ৪০০০ সেনার একটি শক্তিশালী দলকে ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه)’এর মোকাবিলায় প্রেরণ করে। এই সৈন্যদেরকে উমর ইবনে সা’আদের নেতৃত্বের অধীনে দেয়া হয়। এই বাহিনীর দ্বারা কুফা ত্যাগ কুফাবাসী লোকেরা যে নিজেদের চোখে প্রত্যক্ষ করেছিলো, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহই নেই। ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه)’এর প্রতি আনুগত্যের শপথ, যা তারা হযরত মুসলিম বিন আক্বীল (رضي اللّٰه عنه)’এর হাতে নিয়েছিলো, তার সম্মান রক্ষা করার শেষ সুযোগ হতে পারতো এটাই। এটাই ছিলো প্রিয়নবী (صلى اللّٰه عليه وسلم)’এর দৌহিত্রের পাশে দাঁড়ানোর চূড়ান্ত সুযোগ। কেননা তাদেরই আমন্ত্রণ ও সাহায়্যের আশ্বাসে তিনি নিরাপদ  মক্কা মোয়াযযমা ত্যাগ করে ইরাক্বের নিরাপত্তাহীন যুদ্ধক্ষেত্রে আসার উৎসাহ পেয়েছিলেন। কিন্তু কুফাবাসীর মধ্যে আরেকবার বিশ্বস্ততা, সৎসাহস ও অঙ্গীকারবদ্ধতায় ঘাটতি দৃশ্যমান হয়। স্রেফ মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ কারবালায় ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه)’এর সাথে যোগ দেন।


অতঃপর ১০ই মুহর্রমের সূর্য যখন অস্তমিত হয়, ততোক্ষণে কুফাবাসী বে-ঈমান শী’আহ’দের প্রায়শ্চিত্ত করার সময় শেষ হয়ে গিয়েছিলো; কেননা কারবালার বালুকাময় ভূমি ততোক্ষণে সাইয়্যেদুনা ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه) ও তাঁর একাত্তর জন অনুসারীর রক্তে রঞ্জিত হয়েছিলো।

_______________

কারবালার অন্যান্য দুর্বৃত্তদের মুখোশ উন্মোচন

মূল: মাহাজ্জা-ডট-কম

অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন