সাইয়্যেদুনা ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه)

 

সাইয়্যেদুনা ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه)’এর দলত্যাগকারী লোকদেরকে (’রাজনৈতিক’ আদর্শের বিপরীতে) ইমামে আলী (كرم اللّٰه وجهه)’এর বংশের ‘ধার্মিক’ সমর্থকদের কাতার থেকে বাইরে রাখার বেলায় জা’ফরীর (গোপন) উদ্দেশ্য একদম পরিষ্কার। তিনি স্পষ্টতঃ এই বাস্তবতার ব্যাপারে বিব্রত যে, হযরত ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه)’কে শী’আহ গোষ্ঠী নিজেরাই বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁকে ও তাঁর পরিবার-সদস্যদেরকে পরিত্যাগ করেছিলো। এই ‘ধর্মীয়’ ও ‘রাজনৈতিক’ সমর্থকদের কথিত পার্থক্যের ধারণাটি আমরা প্রত্যাখ্যান করি এই বাস্তবতার আলোকে যে, খোদ ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه) একাধিক স্থানে কুফাবাসীদেরকে তাঁর শী’আহ (সাহায্যকারী) বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। এছাড়াও বহুবার কুফাবাসীদেরকে তাঁর পিতা (হযরত আলী-ক:) ও ভাই (ইমাম হাসান-রা:)’এর অনুসারী (যদিও অনির্ভরযোগ্য অনুসারী) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর আমরা যদি ধরেও নেই যে ‘ধর্মীয়’ দিক থেকে তাদের অনেকে, এমন কী বেশির ভাগও শী’আহ ছিলো না, তাহলে পরবর্তী প্রশ্ন দাঁড়ায়: প্রকৃত শী’আহবর্গ কোথায় ছিলো যখন তাদের ইমামের সবচেয়ে বেশি সাহায্যের প্রয়োজন দেখা দিয়েছিলো? তাঁরা কি ওই হাতে গোনা মানুষগুলো যাঁরা কুফা থেকে (কারবালায়) আবির্ভূত হয়েছিলেন? এটা সত্যি আশ্চর্যজনক যে, শিয়াদের দ্বারা কুফার দলত্যাগকারীদেরকে নিজেদের বলে গ্রহণ করাতে শত অনিচ্ছা ব্যক্ত হলেও তারা তওওয়াবূন (তওবাকারীদের) আন্দোলনের সাথে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত বা  চিহ্নিত করতে ভীষণ গর্বিত ও আগ্রহান্বিত হন। এই তওওয়াবূন আন্দোলনের গোড়াপত্তনের সময় যে সব ভাষণ দেয়া হয়েছিলো, তাতে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে ওরা ওই একই লোক যারা ইমাম হুসাইন (رضي اللّٰه عنه)’কে দাওয়াত করে এনেছিলো এবং পরে ছেড়ে পালিয়েছিলো [প্রাগুক্ত জা’ফরী, ‘Origins and Early Developments of Shi’ah Islam’, ২২৩ পৃষ্ঠা]। এক্ষেত্রে তাদের নামগুলোই নিজেদের অপরাধের ইঙ্গিতবহ। শী’আহদের দ্বারা এ অপরাধ থেকে নিজেদেরকে দায়মুক্ত করার অপপ্রয়াসটুকু হতাশাব্যঞ্জক ছাড়া আর কিছু নয়।

_______________

কারবালার অন্যান্য দুর্বৃত্তদের মুখোশ উন্মোচন

মূল: মাহাজ্জা-ডট-কম

অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন