প্রশ্নকারী
মুহাম্মদ জিয়া উদ্দীন সিদ্দীকী
হাটহাজারী, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন: যদি কোন ব্যক্তি কোন ধরনের বিপদে পতিত হয় সে যদি উক্ত বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট বলে, "আল্লাহ তুমি যদি আমাকে এ বিপদ থেকে বাঁচাও তাহলে আমি অমুক ওলীর দরবারে একটি ছাগল দেব" অর্থাৎ সে মান্নত করল। আমি শুনেছি, মান্নত করা বস্তু নাকি মসজিদ ও মাযারে দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
উত্তর : আউলিয়া কেরামের দরবারে মানুষ যে গরু, ছাগল, মহিষ, উট ইত্যাদি দেওয়ার যে মান্নত করে তা শরীয়ত সম্মত। কেননা এটা মান্নতে শর'ঈ নয়, বরং মান্নতে লুগাভী অর্থাৎ আভিধানিক অর্থে মান্নত। যাকে শরীয়তের পরিভাষায় নযরানা বলা হয়।
যেমন মুরীদ-পীরকে, ছাত্র উস্তাদকে উপলক্ষ করে বলল, হুজুর এটা আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য মান্নত। এখানে মান্নত মানে নযরানা, যা সম্পূর্ণ বৈধ। ফুকাহা-ই কেরাম ওই মান্নতকে হারাম বলেছেন যা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো শানে মান্নতে শর'ঈ স্বরূপ
হয়ে থাকে, যা নযরানা অর্থে নয়, আর মান্নতে শর'ঈ হল ইবাদত যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারাে জন্য নির্ধারণ করা কুফরী। মান্নতে লুগাভী যা নযরানা অর্থে ব্যবহৃত। তার দৃষ্টান্ত নবীজীর বাণীর মধ্যে অনেক পাওয়া যায়।
মান্নত করা জিনিস মাযারে ও মসজিদে দেওয়া যাবেনা বলা সঠিক নয়। বরং এটা কোরআন হাদীস সম্মত। যেমন হযরত মারইয়াম আলায়হাস সালাম এর আম্মাজান নিজের গর্ভের বাচ্চাকে বাইতুল মুকাদ্দাসের জন্য মান্নত করে ছিলেন।
হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে একজন ব্যক্তি মান্নত করেছিল আমি বাইতুল মুকাদ্দাসের বাতির জন্য তৈল পাঠাবাে, জবাবে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করলেন, ওই মান্নত পূর্ণ কর। উল্লিখিত বর্ণনা দ্বারা বুঝা গেল, মান্নতকৃত বস্তু মসজিদ ও মাযারে দেওয়া যাবে। (যুগ জিজ্ঞাসা,পৃষ্ঠা - ১০৫)।
উত্তর দিয়েছেন :- মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান (মা:জি:আ:)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন