পবিত্র আহলে বাইতের ফযীলতপবিত্র আহলে বাইতের ফযীলত


পবিত্র আহলে বাইতের ফযীলত


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা!

🌀 পবিত্র আহলে বাইতের শানে আল্লাহ্ তাআলা পারা ২২, সূরা আহযাবের ৩৩নং আয়াতে ইরশাদ করেন:


" আল্লাহ্ তাে এটাই চান, হে নবীর পরিবারবর্গ যে, তােমাদের থেকে প্রত্যেক অপবিত্রতা দূরীভূত করে দেবেন এবং তােমাদেরকে পবিত্র করার মত পবিত্র করবেন।


🌀 অধিকাংশ মুফাসরিনে কিরামের মতে এই আয়াতে মােবারকা হযরত সায়্যিদুনা আলীউল মুরতাদ্বা, হযরত সায়্যিদাতুনা ফাতেমা যাহরা (আঃ) , হযরত সায়্যিদুনা ইমাম হাসান (আঃ) এবং হযরত সায়্যিদুনা ইমাম হােসাইন (আঃ) দের শানে নাযিল হয়েছে। ইমাম আহমদ (রহঃ) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন; এই আয়াত পাঞ্জাতন পাকের শানে নাযিল হয়। পাঞ্জাতন দ্বারা উদ্দেশ্য হুযুর নবী করীম (ﷺ)  এবং হযরত আলী, হযরত ফাতেমা, হযরত ইমাম হাসান ও হযরত ইমা হােসাইন (আঃ) ।


[ইমাম নঈমুদ্দীন মুরাদাবাদী (রহঃ) - সাওয়ানেহে কারবালা, ৭৯,৮০]


🌀 অন্য এক বর্ণনায় এও রয়েছে যে, হুযুর (ﷺ) এদের সাথে নিজের অন্য শাহজাদা আর নিকটাত্মীয় এবং পবিত্র বিবিদেরও অন্তর্ভুক্ত করেন।


(আস সাওয়ায়েকে মুহরিকা আল বাবুল হাদী আশার, ফসলুল আউয়াল, ১৪৪ পৃষ্ঠা)


🌀 আয়াতে মােবারকার তাফসীরে ইমাম তাবারানী (রহঃ) বলেন: অর্থাৎ হে আলে রাসূল (ﷺ)! আল্লাহ্ তাআলা চায় যে, আপনাদের নিকট থেকে মন্দ কথা, খারাপ বিষয় সমূহ দূরে রাখবেন এবং আপনাদের গুনাহের ময়লা আবর্জনা থেকে পুতঃ পবিত্র করে দেবেন।

(তারাবানী, পারা- ২২, আহযাব, আয়াত- ৩৩, ১০ম খন্ড, ২৯৬ পৃষ্ঠা)


🌀 সদরুল আফাযীল ইমাম সায়্যিদ মুফতি মুহাম্মদ নাঈম উদ্দিন মুরাদাবাদী (রহঃ) বলেন:


এই আয়াত আহলে বাইতে কিরামদের ফযীলতের উৎস এবং জানা গেল যে, সকল মন্দ চরিত্র এবং অবস্থা থেকে এদের বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। অনেক হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে যে, আহলে বাইত জাহান্নামের জন্য হারাম (অর্থাৎ আহলে বাইতরা জান্নাতি) এবং এটাই সেই পবিত্রকরণের উপকারীতা এবং এটিই পরিণাম। আর যা তাঁদের পবিত্র অবস্থার যােগ্য নয় তা থেকে আল্লাহ্ তাআলা তাঁদের বাঁচিয়ে রাখতেন।


(ইমাম নঈমুদ্দীন মুরাদাবাদী (রহঃ) - সাওয়ানেহে কারবালা, ৮২ পৃষ্ঠা)


🌀 হযরত সায়্যিদুনা আবু হােরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত; একদা তাজেদারে রিসালাম, শাহানশাহে নবুয়ত, নবীয়ে রহমত (ﷺ) এর সাথে ইশার নামায আদায় করছিলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন সিজদায় গেলেন তখন ইমাম হাসান ও ইমাম হােসাইন (আঃ) হুযুর পুরনূর (ﷺ) এর পিঠ মােবারকে আরােহন করলেন। তিনি (ﷺ) সিজদা থেকে মাথা উঠালেন তখন তাদেরকে নম্রভাবে ধরে জমিনে বসিয়ে দিলেন। অতঃপর যখন তিনি (ﷺ) দ্বিতীয়বার সিজদায় গেলেন তখন ইমাম হাসান ও ইমাম হােসাইন (আঃ) দ্বিতীয়বার এমনই করল, এমনকি তিনি (ﷺ) নামায পরিপূর্ণ করলেন এবং তাঁরা উভয়কে আপন রান মােবারকে বসালেন।


(মুসনদে আহমদ, আবু হােরাইরা, ৩/৫৯৩, হাদীস- ১০৬৬৪, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৫/৫১৬)


🌀 এভাবে শৈশবকালে একবার খুতবা চলাকালীন উভয় শাহ্জাদা মসজিদে আগমন করলেন, তখন নবী করীম, রউফুর রহীম (ﷺ) খুতবা বন্ধ রেখে তাঁদের নিকট গেলেন এবং তাদেরকে উঠিয়ে নিজের সামনে বসালেন।

(তিরমিযী, ৫ম খন্ড, ৪২৯ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩৭৯৯)।

______________

হাসনাইনে কারীমাঈনের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য

(দাওয়াতে ইসলামীর সাপ্তাহিক সুন্নাতে ভরা ইজতিমার সুন্নাতে ভরা বয়ান থেকে সংকলিত)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন