কিছু গজল/ ইসলামী সংগীত

 

কিছু গজল/ ইসলামী সংগীত


১ নং গজল :-

জিকির কর জাকেরগণ - জিকির কর মু'মীনগণ

জিকিরেতে আল্লাহ রাজী - জিকিরেতে রাসূল রাজী রাজী নবীগণ,


জিকির কর জাকেরগণ - জিকির কর মু'মীনগণ। জিকিরে যে করবে হেলা- সে হবে শয়তানের চেলা (২ বার)


বুঝবি শেষে কত জ্বালা- দোজখে গমন (ঐ)



জিকিরে যার ইচ্ছা হয়না- তার দিলেতে তাল বাহানা (২ বার)


জিকির ছাড়া নামাজ হয়না - মসনবীর বর্ণন (ঐ)



২ নং গজল ::



আল্লাহ আল্লাহ শব্দ কেবল- নাম শুনি কানে


তারে ধরব কেমনে,


তারে পাইব কেমনে, ২ বার



যে হামেসা জিকির করে


থাক তুমি তারই কাছে


ফয়েজে রহমতে থাকে আনন্দ মনে। - ঐ



যে তােমার করুণ চাহে


দাও তুমি মাফ করে


সর্ব গােনাহ মাফ কইরা দাও- দয়ারও দানে। - ঐ



সগিরা কবিরা গােনাহ


সবই তােমার আছে জানা


মাফ কইরা দাও তুমি আমায়- গাফফার নামে। - ঐ



৩ নং গজল ::



আল্লাহ আল্লাহ নামের তরী


ছাড়লাম ভব সাগরে


মাওলার নামে ছাড়লাম তরী


যাব আমি ঐ পারে। ২ বার



বিশ্ব জাকের মঞ্জিলেতে


কানছেন খাজা দিন রাতে,


আল্লাহু আল্লাহ রব তুলিয়া


পাপি তাপি তরাইতে। - ঐ



জিকির কর দমে দমে


ঠিক রাখিও কাল ঘরে,


জিকির নামাজ না হইলে


মাওলার দরশন পাইবানা। - ঐ



রহমতের পিয়ালা হাতে


বসে আছেন বাবা আটরশিতে,


পাপি তাপি ভিড় জামাইছে


তাইত তাহার দরবারে। - ঐ



আসছ ভবে যাইতে হবে


ভেবে কেন দেখনা,


অধম জেহাদী কেন্দে বলে


খাজার কদম ছাইড়না। - ঐ



৪ নং গজল :--



আল্লাহু নাম যে জন জপে


যাইগা নিশির শেষে। ২ বার


রহমতেরই ঢল পড়ে


গুনা যায় তার ভেসে। ২ বার



রােজা রাখ নামাজ পড়


ছালিম কর দেলখানা,


কেয়ামতে মাওলার কাছে


চলবেনা রে বাহানা। - ঐ



জিকির কর দমে দমে


ঠিক রাখিও ক্বাল্ব ঘরে,


জিকির নামাজ না হইলে


মাওলার দরশন পাইবা না। - ঐ



আসছ ভবে যাইতে হবে


ভেবে কেন ভাবনা,


অধম জেহাদী ডেকে বলে


খাজার কদম ছাইড়না। - ঐ



৬ নং গজল :



আল্লাহ তােমার লিলা খেলা


কেই বুঝে কেউ বুঝেনা,


কাউকে রাখ গাছ তলাতে


কাউকে রাখ দশ তলায়। (২ বার)



ইউনুছ নবী মাছের পেটে


ছিলেন যখন দরিয়াতে,


৪১ দিন ছিলেন পেটে


হজম কেন হইলনা। ঐ



মূসা নবী কুহেরে


আল্লাহর সঙ্গে সওয়াল করে


পাহাড় জ্বইলা সুরমা হইল


মূসা কেন জ্বলল না। ঐ



ইব্রাহিম তােমার খলিল ছিল


নমরুদে আগুনে ফেলল


আগুন হইল ফুল বাগিছা


পশম কেন জ্বলল না। ঐ



আইউব তােমার নবী ছিল


সারা অঙ্গে কিরা পরল।


কিরায় করল জাররা জাররা


উহু কেন করল না। ঐ



ইউছুফ তােমার নবী ছিল


কুয়ার মধ্যে ফেলে দিল,


শত ছিল সাপ বিচ্ছ


তবুও ইউছুফ মরল না। ঐ



ফুরাত নদীর মাওলা


আজি কত জারি,


কোন কারণে ফোটা পানি


হােসেনকে না দিলি। ঐ



৭ নং গজল::



রাহমাতাল্লিল আলামিন


কানছেন নবী রাত্র দিন,


পাপী তাপী উম্মতের কারণ - রে



আমার উম্মত গুনাহগার


কি জানি হয়, শেষ বিচার,


মাফ করিও আল্লাহ উম্মতেরে। ঐ



ওরে আমার বিশ্ববাসী


আল্লাহ পাক হয় খুশি,


দয়াল নবী রাজী হইলেরে। - ঐ



দ্বীনের নবী মােস্তফায়


খাজারে প্রেম শিখায়,


সেই প্রেম খেলা বাবা খেলায়রে। - ঐ



কত কষ্ট করলেন নবী


সকলেই উম্মতের লাগি,


পেটেতে পাথর নবী বান্ধিল রে। - ঐ



খাজার প্রেমে মজিয়া


নবীকে লও চিনিয়া,


দয়ার গুণে পাবি দয়াল নবীরে। - ঐ



আকাশের ফেরেস্তোরা


নবীর নামে দুরুদ পরা,


কোন কালে ভুলেনারে। - ঐ



মানব হইয়া রইলাম ভুলে


কি হবেরে শেষ কালে,


উপায় নাহি দেখিরে। - ঐ



শােন বাবা দস্তগীর


পাক কদমে রাইখা শির,


আমায় চরন ছাড়া কইরনা - গো। - ঐ



৮ নং গজল :-



কে যাবি মদিনার পথে


দয়াল নবীর রওজায়,


চির সুখে শুয়ে আছেন


দ্বীনের নবী মােস্তফায়



আকুল প্রাণে অঝর নয়ণে


চাহিয়া উম্মতের পানে


ভাবিয়া সে শান্তু মনে


তৌহিদের বাণী শুনায়। - ঐ



এই জগত তরাইবেন বলে


ঘরে ঘরে নাম বিলাইলেন


সে নামে যার মন মইজাছে


পলকে সে উড়ে যায়। - ঐ



দেখাইতে তার নামের জ্যোতি


সদায় হাবলী উম্মতি,


উম্মতী উম্মতী বলে


চোখের জলে বুক ভাসায়। - - ঐ



যাইতে মক্কা মদিনায়


সদা মনে এই ভাবনা,


মায়া ঋণে হইয়া দেনা


দিন গেল আশায় আশায়। - ঐ



সেই নবীজির নায়েব খাজা


ওলীকুলে মহা রাজা


শাহ সূফী ফরিদপুরী


পরিচয় তার ধরাতে। - ঐ



৯ নং গজল :--



লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদ রাসূল


আখেরাতে পার হইবি তুই পুলছেরাতের পুল। ২ বার



৩০ হাজার বৎসর লাগবে


পুলছেরাত পার হইতে


সেই দিন তােমায় কে বাচাইবে


মুহাম্মদ রাসূল। - ঐ



মাথার উপর সূর্য থাকবে


মাটি গলে তামা হবে,


সেইদিন তােমায় কে বাচাইবে


মুহাম্মদ রাসূল। - ঐ



হাশরের ময়দানে সবে


নাফছী নাফছী বলে কাদবে,


সেই দিন তােমায় কে বাচাইতে


মুহাম্মদ রাসূল। - ঐ



আল্লাহ যেদিন কাজী হবে


নেকী - বদি ওজন দিবে


সেইদিন তােমায় কে বাচাইবে


মুহাম্মদ রাসূল। - ঐ



আরশের পায়া ধরে


কাদঁবেন রাসূল উম্মত বলে,


উম্মতী উম্মতী বলে


কান্দিবেন রাসূল। - ঐ



১০ নং গজল :-



সালাতু সালামি - গ আমার


দুরুধ সালাম - গ আমর


কইও নবী মােস্তফায়,


তােমরা যারা যাও - গ মদিনায়। (২ বার)



মদিনা শরীফের মাটি


চোখেতে মুখেতে মাখি


ঐ মাটিতে শুয়ে আছেন (২ বার)


জিন্দা নবী মােস্তফায়। ঐ



মদিনা শরীফের মাঝে


নূরের একটি খাম্বা আছে - গ


ঐ খাম্বাতে হেলান দিয়া (২ বার)


তসবীহ পড়তেন মােস্তফায়। ঐ



হাজ্বীদের হজ্বের টাইমে


রাস্তার ধারে বসে থাকিও


আমারও সালাম খানি (২ বার)


পৌছে দিও রওয়াজায়। ঐ

১১ নং গজল :-



আখেরী সালাম লন ওহে নানাজান,


তােমারি হােসেন যায় কারবালার ময়দান। (২ বার)



কারবালার ময়দানে গিয়া, দিব গলা কাটাইয়া


আর না আসিব ফিরে, সােনার মদিনায়। ঐ



এজিদ জুলুম করিল- মদিনায় রইতে না দিল,


চক্রান্ত পীড়য়া হােসেন কারবালাতে যায়। ঐ



কান্দেরে সাহার বানু- বুকে লইয়া দুধের শিশু


এক বিন্দু পানি দিয়া- শিশুর প্রাণ বাচাও। ঐ



দুধের শিশু কোলে লইয়া- ফোরাত নদীর কিনারে গিয়া


এক বিন্দু পানি দিয়া- শিশুর প্রাণ বাচায়। ঐ



১২ নং গজল:



অমন পাগলারে- ডুবল বেলা দেখনা চাহিয়া,


পরপারের ডাক পরিলে


পার হবি তুই কি নিয়া। ২ বার



সাধের জীবন হেলায় হেলায়


শেষ হইতে চলিল


সাধন ভজন গুরু ভক্তি কিছুই নাহি হইল,


রং তামাসায় দিন কাটাইলে


মায়ার জালে পরিয়া। - ঐ



নবীর কলমা নামাজ রােজা


পথের সম্ভল করিয়া,


সামনে চল অবুঝ মনরে


আল্লাহ আল্লাহ বলিয়া,


আল্লাহ ভিনে গতি দেখছি মন ভাবিয়া। - ঐ



পথের দিশা দাওগ মুর্শিদ


আমায় দয়া করিয়া


গােনাহগার জাকের আমি


পাপে গেলাম ডুবিয়া,


নিদান কালে দিওগ দেখা


আমার পাশে আসিয়া। ঐ



-১৩ নং গজল ::



জোয়ার শেষে ভাটা পড়ল


চিন্তা করলি নারে মন


যাইতে হবে গােরস্থানে


আসিলে তাহার সমন



মাটির পিঞ্জিরা খানি


মাটিতে মিশিবে জানি,


সেবা যত্ন করলি কারে


দিয়া এত তৈল সাবান। ঐ



মরণেরই আগেই মর


কামেল পীরের সঙ্গ ধর,


মরার আগে না মরিলে


পাইবি না সেই মহাজন। ঐ



১৪ নং গজল:--



খাজা মাওলানা- প্রাণ থাকিতে তােমায় ছাড়বনা


কি ছবি দেখাইলা বাবা- বলতে আমি পারিনা।


সইতেও আমি পারিনা- প্রাণ থাকিতে তােমায় ছাড়বনা। ২ বার



আল্লাহ পাক দয়া করে রহমত দান করিল,


নায়েবে নবী করিয়া- আটরশিতে পাঠাইল।


ওলীকুল সম্রাট তুমি- হয়না তােমার তুলনা। - ঐ



আল্লাহ ও রাসূলের সঙ্গে প্রেম করিয়া মিশিলা।


মুরিদের দরদে বাবা- সারা জীবন কান্দিলা জীবনকে ত্যাজিয়া বাবা করছ তুমি সাধনা। - ঐ



পাপি তাপি মুরিদ আমি- তােমার পানে চাহিয়া


দিনে দিনে গনার দিন গেল আমার ফুরাইয়া,


যাই ইচ্ছা তাই কর বাবা- নাহি কোন ভাবনা। - ঐ



১৫ নং গজল:-



শেরপুরের নাইয়া আটরশিতে আসিয়া


সারা বিশ্ব পাগল বানাইল রে,


রাসূলুল্লাহর তরিকায় খাজা বাবার নৌকায়


কে কে যাবি তােরা আয়রে আয়



মােজাদ্দেদীয়া তরিকায় খাজাবাবার নৌকায়


কে কে যাবি তােরা আয়রে আয়।



সেই নৌকার মাঝি


আমার দয়াল নবীজি


পাল তুইলাছে খাজা বাবায় - গ। -ঐ



সেই নৌকার পেছিঞ্জার


আমার বাবার মুরিদান


কে কে যাবি তােরা বাবার নৌকায় রে। - ঐ



সেই নৌকার পেছিঞ্জার


হইতে পারিলে রে


আখেরাতের টিকেট মিলবে রে। - ঐ



যার যার বল


সঙ্গে করে নিয়ে চল,


যাইতে হবে বাবার দরবারে। - - ঐ



বাবার বাড়ি যাইতে হলে


আদবেতে চলতে হবে,


বেয়াদবী করিলে মারা যাইবে রে। - ঐ



১৬ নং গজল::



কি আগুন জ্বালাইলিরে বাবা


জ্বলে ছাড়া নিবেনা,


আমারে ছাড়িয়া গেলে


প্রাণে আমি বাছব না।



কি করিলে শান্তি হবে


বলে কেন বল না,


চোখের জলে বুক বাসে


আমায় কর শান্তনা। -ঐ



চরণ দানে কর শাস্তি


জীবন গেলেও ছাড়বনা,


জরাইয়া ধরিব চরণ


জীবন গেলেও ছাড়বনা। - ঐ



১৭ নং গজল:-



আমায় ঘর ছাড়া করিলি - রে


দেশ ছাড়া করিলি - রে


একলা করিলি - রে, অচেনা পরদেশে



ও খাজারে! আমার সাথী নেই সঙ্গী নেই


যাব কার কাছেরে খাজা, যাব কার কাছে। ২ বার


বনে - জঙ্গলে ঘুরি, তােমার আশায় - রে অচেনা পরদেশে। - ঐ



'ও খাজারে! অকুল দরিয়ার মাঝে


কুল কিনারা নাইরে খাজা- কুল কিনার নাই,


অচীনা পরদেশে। - ঐ



'ও'খাজারে! আগুনে পুরাইয়া মােরে বাতাশে জুড়াও


সাগরে ডুবাইয়া মােরে ধরণী হাসাও - রে


অচীনা পরদেশে। - ঐ



'ও'আগে যদি যানতাম তােমার প্রেমের এত জ্বালা।


লইতাম আগুনের মালা, প্রেমের বদল রে।


অচেনা পরদেশে। - ঐ



১৮ নং গজল:-



নাও ভিড়াইয়া যাওরে খাজা- নাও ভিড়াইয়া যাও (২ বার),


অধম কাঙ্গাল কান্দে বসে আমায় লইয়া যাও। ঐ



দাড়ি - মাল্লা সবই আছে- তাড়াতাড়ি বাও


তােমার নৌকা উজান চলে বাদাও উড়াও


এই ঘাটেতে নাও ভিড়াইয়া আমায় লইয়া যাও। ঐ



নৌকার মাঝে আছ তুমি আমায় দেখা দাও,


কোন দোষেতে দাওনা দেখা- আমায় কইয়া যাও,


অধম কাঙ্গাল কান্দে বসে আমায় লইয়া যাও। ঐ



১৯ নং গজল :-



বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে- খাজা বাবার দরবারে


যাইয়া দেখ নায়েবে নবীর খেলা রে। ঐ



ওরে আমার বিশ্ব বাসী- আল্লাহ পাক হয় খুশি,


দয়াল নবী রাজি হইলেরে। ঐ



খাজার প্রেমে মজিয়া- নবীকে নাও চিনিয়া,


দয়ার গুণে পাইবি দয়াল নবীরে। ঐ



খাজার প্রেমে মজিয়া- আল্লাহ আল্লাহ বলিয়া,


ঢেও তুলিয়া জিকির কালবে কর রে। ঐ



মিনারায় আযান দিলে- সবে মিলে নামাজ পড়ে,


কোটি কোটি জাকের নিয়া- বাবায় দোয়া করছে রে। ঐ



আল্লাহ- নবীর হুকুমে, তােমায় দেখি নয়নে


অধম জেহাদী যেন থাকি তােমার চরণে। ঐ


::::::::-সমাপ্ত ::::::-

_________________

শরীয়তের দৃষ্টিতে ক্বালবী জিকির ও ছামার বৈধ্যতা

রচনা ও সংকলনেঃ মুফতি মাওলানা আলাউদ্দিন জেহাদী

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন