রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ডাকার আদব


মুস্তাফা ﷺ'র সম্মানে সামান্যতম ত্রুটি সকল নেক আমলকে নষ্ট করে দেয়ার কারণ হতে পারে। যেমন-



▶পারা ২৬ সুরা হুজরাত এবং ২ নং আয়াতে  আল্লাহ্ তাআলা ٰইরশাদ করেন:  কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হে ঈমানদারগণ। নিজেদের কণ্ঠস্বর কে উঁচু করো না ঐ অদৃশ্যের সংবাদদাতা (নবী) এর কণ্ঠস্বরের উপর এবং তাঁর সামনে চিৎকার করে কথা বলো না যেভাবে পরষ্পরের মধ্যে একে অপরের সামনে চিৎকার করো যেন কখনো তোমাদের কর্মসমূহ নিষ্ফল না হয়ে যায় আর তোমাদের খবরই থাকবে না।


🔺(পারা- ২৬, সূরা- হুজরাত, আয়াত- ২)



▶প্রসিদ্ধ মুফাসসির, হাকিমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন  এই আয়াতে করীমার ব্যাখায় বলেন: জানা গেল, হুযুর ﷺ'র এর সামান্যতম  বে-আদবীও কুফর। কেননা কুফরের কারণেই নেক আমল নষ্ট হয়। সেখানে তাঁর দরবারে উচ্চস্বরে আওয়াজ করাতে নেকী নষ্ট হয়ে যায়, সেখানে বে- আদবীরই বা আলোচনা কেন? আয়াত দ্বারা উদ্দেশ্য ̈ হচ্ছে, তাঁর সামনে চিৎকার করো না। না তাকে সাধারণ উপাধী দ্বারা ডাকো, যা দিয়ে একে অপরকে ডাকো চাচা, আব্বু, ভাই, বশর (মানুষ) বলো না, রাসূলুল্লাহ ﷺ, শফিউল মুযনিবীন বলো।


🔺(নুরূল ইরফান, ৮২৩ পৃষ্ঠা)



আপনারা দেখলেন তো! আল্লাহ্ তা'আলার পাক কালামও সায়্যিদুল আম্বিয়া ﷺ'র শান ও মহত্বের প্রশংসা করলো এবং আমাদের তাঁর দরবারে উপস্থিতির আদব শিখাচ্ছেন যে, দরবারে রিসালত ﷺ এ আওয়াজ উঁচু হয়ে যাওয়া এতই বড় অপরাধ যে, এর কারণে সকল নেকী নষ্ট হয়ে যায়।



▶হাকিমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন رضي الله عنه  বলেন: দুনিয়াবী বাদশাহদের দরবারের আদব মানুষের বানানো। কিন্তু হুযুর পুরনুর ﷺ'র দরজা শরীফের আদব স্বয়ং আল্লাহ্ তা'আলা তৈরী করেছেন এবং আল্লাহ্ তা'আলায় শিখাচ্ছেন। তা ছাড়া এই আদব শুধুই মানুষের মাঝেই নয় বরং জ্বীন, মানুষ, ফিরিশতা সবার জন্যই। ফিরিশতারাও অনুমতি নিয়েই পবিত্র দরবারে উপস্থিত হবেন। আর এই আদব সব সময়ের জন্যই প্রযোজ্য।


🔺(নুরুল ইরফান, ৮২৩ পৃষ্ঠা)



▶তেরে রূতবা মে জিস নে চুন ও চেরা কি, না সমঝা ওহ বদ বখত রূতবা খোদা কা।


🔺(যওকে নাত, ৩৮ পৃঃ)

____________

কিতাব : তাজীমে মুস্তাফা ﷺ

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন