সকল আম্বিয়ায়ে কিরামদেরকে সম্মান করা ওয়াজিব এবং সকলেই সম্মানের উপযুক্ত


কোরআনে করীমে আল্লাহ্ তা'আলা বিভিন্ন জায়গার আম্বিয়ায়ে কিরামদের عليه السلام সম্মান করার আদেশ দিয়েছেন এবং এই আদেশ পালন কারীদের উপহার ও মর্যাদা দ্বারা ধন্য করা ওয়াদাও করেছেন।যেমন-



▶পারা ৬, সূরা মায়েদা,আয়াত  নং ১২তে ইরশাদ করেন:


▪কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আমার রাসূলগণের উপর ঈমান আনো, তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করো এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ প্রদান করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের পাপ মোচন করবো এবং তোমাদেরকে অবশ্যই বেহেশত সমূহে নিয়ে যাবো। যেগুলোর পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত।


🔺(পারা- ৬, সরা- মায়েদা, আয়ত- ১২)



বিশেষ করে হুযুর ﷺ'র উপর ঈমান আনায়নের পর তাঁর সম্মান প্রদর্শন কারীদের কল্যাণ ও সফলতার সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে। যেমন-



▶পারা ৯ সুরা আয়াত এর ۡ ১৫৭ ٰ নং আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে:


ۤ ▪কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: সুতরাং ঐসব লোক যারা তাঁর উপর ঈমান এনেছে তাঁকে সম্মান করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং ঐ নূরের অনুসরণ করেছে। যা তাঁর সাথে অবতীর্ণ হয়েছে তারাই সফলকাম হয়েছে।


🔺(পারা-৯, সুরা- আথরাফ আয়াত- ১৫৭)



মনে রাখবেন! এই কল্যান তখনি অর্জিত হবে যখন আমরা সর্বাবস্থায় সকল আম্বিয়া বিশেষ করে সায়্যিদুল আম্বিয়া মুহাম্মদ মুস্তাফা ﷺ'র সম্মান ও মযার্দাকে নিজের ঈমানের অংশ মনে করবে এবং তাঁর সামান্য ̈ থেকে সামান্যতম মানহানী থেকে বাঁচার চেষ্টা করবে। আল্লাহ্ তাআলা নবীর আদব শিখাতে গিয়ে যেখানে বারগাহে রিসালাতে আওয়াজ উঁচু করতে নিষেধ করেছেন,সেখানে তাঁকে সাধারণ ভাবে ডাকতেও নিষেধ করেছেন। যেমন-



▶পারা ১৮, সূরা নুর, ৬৩নং আয়াতে ইরশাদ করেন,


কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: রাসূলের আহবানকে  তোমাদের পরষ্পরের মধ্যে ̈ তেমনই  স্থির  করোনা যেমন- তোমরা একে অপরকে ডেকে থাকো। (পারা- ১৮, সুরা- নর, আয়াত- ৬৩) সদরুল আফাযিল হযরত আল্লামা মাওলানা সয়ি ̈দ মুফ তি মুহাম্মদ নঈম উদ্দীন মুরাদাবা رضي الله عنه (এই আয়াতের একটি অর্থ মুফাসসিররা এটাও বর্ণনা করেন, (যখন কেউ) রাসলুল্লাহ্ ﷺ' কে ডাকে তখন আদব ও সম্মানের সাথে তাঁকে সম্মানীত উপাধী সহকারে মৃদু আওয়াজে নম্র ভাষায় ইয়া নবীয়াল্লাহ! ইয়া ! ইয়া হাবীবাল্লাহ্! বলুন।


🔺(তাফসীয়ে খাযায়িনুল্ ইয়ফান, পারা- ১৮, সুরা- নুর, আয়াত- ৬৩)



▶▪ইমামুল মুফাসসিরিন, হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস رضي الله عنه বলেন: প্রথম প্রথম হুযুর ﷺ কে ইয়া মুহাম্মদ! ইয়া আবাল কাসেম! বলা হতো, যখন আল্লাহ্ তাআলা তাঁর নবীর সম্মানে এরূপ শব্দের নিষেধ করলেন, তখন সাহাবায়ে কিরামগণ رضي الله عنه ইয়া নবীয়াল্লাহ! ইয়া রাসূলাল্লাহ! বলতেন।


🔺(দালাইলুন নবুয়াত লি আবুনুয়াঈম, ১ম অধ্যায়, ১ম পরিচ্ছদ, ১৯ পৃষ্ঠা)



প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! একটুভেবে দেখুন! হুযুর পাক, সাহিবে লাওলাক ﷺ এর সম্মানের বিষয়টি কতই গুরূত্বপূর্ণ যে, আল্লাহ্ তাআলার কাছে এই বিষয়টি অপছন্দনীয় যে, কেউ তাঁর হাবীব ﷺ কে নাম ধরে ডাকবে।


▶ওলামারা  ̄স্পষ্ট করে বলেন: হুযুর ﷺ কে নাম ধরে ডাকা হারাম। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া(৩০/১৫৭)



মনে রাখবেন! হুযুর ﷺ এর সম্মান করা শুধুমাত্র হায়াতে যাহেরীতেই সীমাবদ্ধ নয় বরং দুনিয়ায় থাকাবস্থায় আগত সকল মুসলমানের উপর তাঁর শান ও মহত্বকে  ̄স্বীকার করা আবশ্যক।



▶▪হযরত আল্লামা ইসমাইল হক্কী رضي الله عنه বলেন: হুযুর ﷺ এর যাহেরী হায়াত এবং যাহেরী ওফাতের পরও সর্বাবস্থায় হুযুর ﷺ এর মযার্দা ও সম্মান করা উম্মতের উপর আবশ্যক এবং প্রয়োজন। কেননা অন্তরে যতই হুযুর ﷺ'র প্রতি সম্মান বাড়বে ততই নুরে ঈমানে বৃদ্ধি পেতে থাকবে।


🔺(তাফসীরে রুহুল বয়ান, ৭ম খন্ড, ২১৬ পৃষ্ঠা)



▶খাক হোকর ইশ্ক মে আথরাম ছে সোনা মিলা,


জান কি ইকসির হে উলফত রাসূলুল্লাহ কি।


🔺(হাদায়িকে বখশিশ, ১৫৩ পৃষ্ঠা)

____________

কিতাব : তাজীমে মুস্তাফা ﷺ

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন