মাযার নির্মাণ বিষয়ে আপত্তি : হাদিস শরিফ হতে দলিল

 

মাযার নির্মাণ বিষয়ে আপত্তি :  হাদিস শরিফ হতে দলিল:


১. সিহাহ সিত্তার অন্যতম সংকলক ইমাম আবু দাউদ বর্ণনা করেন:

عَنِ الْمُطَّلِبِ قَالَ لَمَّا مَاتَ عُثْمَانُ بْنُ مَظْعُونٍ أُخْرِجَ بِجَنَازَتِهِ فَدُفِنَ أَمَرَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً أَنْ يَأْتِيَهُ بِحَجَرٍ فَلَمْ يَسْتَطِعْ حَمْلَهُ فَقَامَ إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَحَسَرَ عَنْ ذِرَاعَيْهِ قَالَ كَثِيرٌ قَالَ الْمُطَّلِبُ قَالَ الَّذِى يُخْبِرُنِى ذَلِكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ كَأَنِّى أَنْظُرُ إِلَى بَيَاضِ ذِرَاعَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ حَسَرَ عَنْهُمَا ثُمَّ حَمَلَهَا فَوَضَعَهَا عِنْدَ رَأْسِهِ وَقَالَ أَتَعَلَّمُ بِهَا قَبْرَ أَخِى وَأَدْفِنُ إِلَيْهِ مَنْ مَاتَ مِنْ أَهْلِى



-“হযরত মুত্তালিব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: হযরত উসমান ইবনু মায‘উন ইনতিকাল করলে তাঁর লাশ আনা হলো, তারপর তা দাফন করা হলো। নবী করিম (ﷺ) এক ব্যক্তিকে তাঁর কাছে একটি পাথর নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দিলেন। কিন্তু লোকটি তা বহন করতে অক্ষম হলো। রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) নিজে পাথরটির কাছে গেলেন এবং নিজের জামার আস্তিন গুটালেন। বর্ণনাকারী কাছির বলেন, মুত্তালিব বললেন, আমাকে যে ব্যক্তি এ ঘটনা অবহিত করেছেন তিনি বললেন, আমি যেন এখনও রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)’র বাহুদ্বয়ের শুভ্রতা দেখতে পাচ্ছি যখন তিনি তাঁর জামার আস্তিন গুটিয়েছিলেন। অতঃপর তিনি পাথরটি দু’হাতে তুলে এনে (উসমান ইবনু মায‘উনের) শিয়রে রাখলেন। অতঃপর বললেন: ‘এর দ্বারা আমি আমার ভাইয়ের কবর সনাক্ত করতে পারবো এবং আমার পরিবারের কেউ ইনতিকাল করলে তাঁর পাশে দাফন করবো’।” ১২


১২ - ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান, কিতাবুল জানায়িয, হাদিস নং- ৩২০৮, আলবানি হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছে



২. ইমাম বুখারি তাঁর ‘আস-সহিহ’ গ্রন্থে বর্ণনা করেন:



وَقَالَ خَارِجَةُ بْنُ زَيْدٍ رَأَيْتُنِي وَنَحْنُ شُبَّانٌ فِي زَمَنِ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَإِنَّ أَشَدَّنَا وَثْبَةً الَّذِي يَثِبُ قَبْرَ عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ حَتَّى يُجَاوِزَهُ



-“হযরত খারিজা বিন যায়দ বলেন, ‘আমার মনে আছে, হযরত উসমান (رضي الله عنه)র খিলাফতকালে যখন আমরা তরুন ছিলাম, তখন উসমান ইবনু মায‘উনের কবরকে লাফিয়ে অতিক্রমকারীকেই আমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ লম্ফবিদ মনে করা হতো।” ১৩


১৩ - ইমাম বুখারি, আস-সহিহ, কিতাবুল জানায়িয, বাবুল জারিদ ‘আলাল ক্ববর, ১/৪৫৭



ইমাম আবু দাউদের রিওয়ায়াত থেকে বোঝা গেল, হযরত উসমান ইবনু মায‘উনের কবরের মাথার দিকে পাথর ছিল, যা স্বয়ং নবীজি রেখেছেন এবং ইমাম বুখারির রিওয়ায়াত থেকে বোঝা যায়, তাঁর কবরের উপরিভাগ ঐ পাথর দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল। উভয় বর্ণনা এভাবে একসাথে মিলানো যায় যে, সুনানু আবী দাউদে কবরের মাথার দিকে যেই পাথর স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে- এর অর্থ হচ্ছে, ‘কবরের উপরই মাথার দিক থেকে এটা স্থাপন করা হয়েছে। কিংবা ভাবার্থ এটাও হতে পারে যে, সম্পূর্ণ কবরটা উক্ত পাথরের ছিল, কিন্তু এ হাদিসে শুধু শিয়রের কথা উল্লেখ হয়েছে।’



এ দু’হাদিস থেকে এটা প্রমাণিত হলো যে, কোন বিশেষ কবরের চিহ্ন বহাল রাখার জন্য কবরকে কিছু উঁচু করে দেয়া বা পাথর ইত্যাদি দ্বারা পাকা করে দেয়া জায়িয আছে, যেন বুঝতে পারা যায় যে, এটা কোন বুযুর্গের কবর বা মাযার। তবে ফক্বিহগণ বলেছেন, কবরের নিম্নভাগ কাঁচা হওয়া চাই।



৩. ইমাম ইবনু মাজাহ্ বর্ণনা করেন:



عن أنس بن مالك أن رسول الله صلى الله عليه و سلم أعلم قبر عثمان بن مظعون بصخرة



-“হযরত আনাস বিন মালিক (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) উসমান বিন মায‘উনের কবরকে পাথর দ্বারা চিহ্নিত করেছেন।” ১৪


১৪ - ইবনু মাজাহ্, আস-সুনান, কিতাবুল জানায়িয, বাবু মা জা-আ ফিল্ ‘আলামাতি ফিল্ ক্বাবর, হাদিস নং- ১৫৬১, হাদিসটি হাসান-সহিহ



৪. ইবনু আবী শাইবাহ’র আল-মুসান্নাফ কিতাবে এসেছে:



حدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ قَالَ رَأَيْتُ قَبْرَ عُثْمَانَ بْنَ مَظْعُونٍ مُرْتَفِعًا



-“হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন আবী বাকর বলেন, আমি উসমান বিন মায‘উনের কবরকে উঁচু দেখলাম।” ১৫


১৫- মুসান্নাফু ইবনি আবী শাইবাহ্, কিতাবুল জানাইয, হাদিস নং- ১১৭৮৬



উপর্যুক্ত হাদিসগুলো থেকে প্রমাণিত হলো যে, বিশেষ ব্যক্তিগণের কবর বা মাযার শরিফকে চিহ্নিত করার জন্য পাথর ব্যবহার করা ও কবর উঁচু করা জায়িয। বস্তুত বুযুর্গ ব্যক্তিগণের কবর শরিফে গম্বুজ নির্মাণ বা মাযার বানানো তথা কবরকে উঁচু করা হয়, তাঁদের সম্মান ও আলাদা মাহাত্ম্যকে চিহ্নিত করার জন্যই।



৫. ইমাম নুরুদ্দিন আল-হাইছামি বর্ণনা করেন:



عن ابن عمر أن النبي صلى الله عليه و سلم قال في مسجد الخيف قبر سبعون نبيا رواه البزار ورجاله ثقات



-“হযরত ইবনু উমর (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) ফরমান, ‘মসজিদ আল-খায়ফের ভিতরে ৭০ জন নবী আলাইহিমুস্ সালাম’র মাযার-রওযা বিদ্যমান।’ (ইমাম আল-হায়ছামি বলেন) হাদিসটি আল-বাযযার বর্ণনা করেন এবং এর সকল বর্ণনাকারী ছিকাত-নির্ভরযোগ্য।”১৬


১৬ - ইমাম আল-হাইছামি, মাজমা‘উয্ যাওয়াইদ, কিতাবুল হাজ্জ, বাবু ফী মাসজিদিল্ খায়ফ,  হাদিস নং- ৫৭৬৯



রাসুল পাক (ﷺ) নবীগণের মাযার মসজিদে থাকার পরও না মসজিদ ভেঙ্গেছেন, আর না মাযার গুড়িয়ে দিতে বলেছেন; যেমনটি আজকাল কিছু জঙ্গি-লামাযহাবি-ওয়াহহাবিরা করে থাকে ও বলে থাকে কিছু হাদিসের অপব্যাখ্যা দ্বারা।



৬. হুযুর পাক (ﷺ)-কে আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (رضي الله عنه)'র কুটিরে দাফন করা হয়। যদি বুযর্গগণের কবরের উপর ইমারত নির্মাণ বা ইমারতের ভিতর কবর বা মাযার নির্মাণ নাজায়িয হতো, তাহলে সাহাবায়ে কিরাম প্রথমে ওটা ভেঙ্গে ফেলতেন, অতঃপর দাফন করতেন। কিন্তু তা করলেন না। আবার আল্লামা ইমাম সায়্যিদ সামহুদি বর্ণনা করেন:



عن عمرو بن دينار وعبيد الله بن أبي زيد قالا لم يكن على عهد النبي صلى الله عليه وسلم على بيت النبي صلى الله عليه وسلم حائط فكان أوّل من بنى عليه جدارا عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال عبيد الله بن أبي زيد كان جداره قصيرا ثم بناه عبد الله بن الزبير اه



-“হযরত আমর বিন দিনার ও উবায়দুল্লাহ্ বিন আবী যায়দ- উভয়ে বলেন: ‘নবী পাক (ﷺ)-এর সময়ে তাঁর বাড়ীর দেয়াল বা প্রাচীর ছিল না। অতঃপর হযরত উমর বিন খাত্তাব (رضي الله عنه) সর্বপ্রথম এর দেওয়াল তৈরী করে দিয়েছিলেন।’ উবায়দুল্লাহ্ বিন আবী যায়দ বলেন: ‘তাঁর দেওয়াল ছিল কাঁচা ইটের বা স্বল্পমেয়াদী (অথবা ছোট)। অতঃপর (ওয়ালিদ ইবনু আব্দুল মালিকের যুগে) সায়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনি যুবাইর (সকল সাহাবায়ে কিরামের জীবিত থাকা অবস্থায়) ঐ ইমারতটাকে খুবই মজবুত করেছেন (এবং এতে পাথর স্থাপন করেছেন)’।”১৭


১৭ - সায়্যিদ সামহুদি, খুলাসাতুল ওয়াফা বিআখবারি দারিল মুসত্বফা: ১/১৩৮, পরিচ্ছেদ: ১০



৭. ইমাম বুখারি বর্ণনা করেন:



حَدَّثَنَا فَرْوَةُ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ لَمَّا سَقَطَ عَلَيْهِمْ الْحَائِطُ فِي زَمَانِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ أَخَذُوا فِي بِنَائِهِ فَبَدَتْ لَهُمْ قَدَمٌ فَفَزِعُوا وَظَنُّوا أَنَّهَا قَدَمُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا وَجَدُوا أَحَدًا يَعْلَمُ ذَلِكَ حَتَّى قَالَ لَهُمْ عُرْوَةُ لَا وَاللَّهِ مَا هِيَ قَدَمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا هِيَ إِلَّا قَدَمُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ



-“হযরত উরওয়াহ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত যে, ওয়ালিদ ইবনু আব্দুল মালিকের যুগে রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)’র রাওযা পাকের একটি দেওয়াল ধসে পড়ে গিয়েছিল। যখন সাহাবায়ে কিরাম দেওয়ালটি মেরামত করার কাজে নিয়োজিত হলেন, তখন একটি ‘পা’ দৃষ্টিগোচর হলো। এতে তাঁরা ঘাবড়ে গেলেন এবং মনে করলেন যে, এটা হুযুর আলাইহিস সালামের পবিত্র কদম মুবারক। শেষ পর্যন্ত হযরত উরওয়া বললেন, আল্লাহর কসম! এটা হুযুর আলাইহিস সালামের কদম মুবারক নয়, এটা হযরত উমরের কদম।” ১৮


১৮ - ইমাম বুখারি, আস-সহিহ, কিতাবুল জানায়িয, হাদিস নং- ১৩২৬



‘জযবুল কুলূব ইলা দিয়ারিল মাহবূব’ গ্রন্থে শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভি বর্ণনা করেছেন যে, ৫৫০ হিজরিতে জামালুদ্দিন ইষ্ফাহানি তথাকার উলামায়ে কিরামের উপস্থিতিতে দেয়ালের চারিদিকে চন্দন কাঠের জালী তৈরী করে দিয়েছিলেন এবং ৫৫৭ হিজরিতে কয়েকজন ঈসায়ি ধার্মিকের ছদ্মবেশে মদিনা শরিফে এসেছিলেন এবং সুড়ঙ্গ খনন করে রাসুল পাকের দেহ মুবারক বের করে নিতে চেয়েছিলেন। হুযুর আলাইহিস্ সালাম তৎকালীন বাদশাহকে তিনবার স্বপ্ন দেখালেন। অতঃপর বাদশাহ্ তাদেরকে কতল করার নির্দেশ দিলেন এবং রওযা পাকের চারিদিকে পানির স্তর পর্যন্ত ভিত্তি খনন করে সীসা ঢেলে একে ভরাট করে দিয়েছিলেন। আবার ৬৭৮ হিজরিতে সুলতান কালাউন সালেহি সবুজ গম্বুজটা- যা এখনও মওজুদ আছে- তৈরী করিয়েছিলেন।



উপর্যুক্ত ভাষ্য থেকে এটা বুঝা গেল যে, পবিত্র রওযা মুবারক সাহাবায়ে কিরাম তৈরী করিয়েছিলেন। যদি কেউ বলে, এটা তো হুযুর আলাইহিস সালামের বিশেষত্ব। এর উত্তরে বলা যাবে, এ রওযা শরিফে হযরত সিদ্দিক ও হযরত উমর (رضي الله عنه)কেও দাফন করা হয়েছে এবং হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকেও দাফন করা হবে। সুতরাং এটা হুযুর আলাইহিস সালামের একক বৈশিষ্ট্য বলা যায় না।



৮. ইমাম বুখারি আরও বর্ণনা করেন:



بَابُ مَا يُكْرَهُ مِنْ اتِّخَاذِ الْمَسَاجِدِ عَلَى الْقُبُورِ وَلَمَّا مَاتَ الْحَسَنُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ ضَرَبَتْ امْرَأَتُهُ الْقُبَّةَ عَلَى قَبْرِهِ سَنَةً ثُمَّ رُفِعَتْ فَسَمِعُوا صَائِحًا يَقُولُ أَلَا هَلْ وَجَدُوا مَا فَقَدُوا فَأَجَابَهُ الْآخَرُ بَلْ يَئِسُوا فَانْقَلَبُوا



-“যখন হযরত ইমাম হাসান ইবনু হাসান ইবনু আলী (رضي الله عنه) ইনতিকাল করেছিলেন, তখন তাঁর স্ত্রী তাঁর কবরের উপর এক বছর পর্যন্ত গম্বুজ বিশিষ্ট ঘর তৈরী করে রেখেছেলেন। পরে তিনি তা উঠিয়ে নেন। তখন লোকেরা (অদৃশ্য) আওয়াজ দাতাকে বলতে শুনলেন, ওহে! তাঁরা কি হারানো বস্তু ফিরে পেয়েছে? অপর একজন জবাব দিল- না, বরং নিরাশ হয়ে ফিরে গিয়েছে।”১৯


১৯ - ইমাম বুখারি, আস-সহিহ, কিতাবুল জানায়িয, ১/৪৪৬



ইমাম বুখারি ‘কবরের উপর মসজিদ বানানো অপছন্দনীয়’ শীর্ষক পরিচ্ছেদে ঘটনাটি বর্ণনা করলেও মূলত এখানে কবরের উপর গম্বুজ নির্মাণ করাকে অপছন্দ করার কথা প্রকাশ হয় নি। বরং মৃত ব্যক্তির জন্য রোনা-জারি করা বা তার জন্য এমন শোক প্রকাশ করাকে অপছন্দের কথা প্রকাশ পেয়েছে। এজন্য খতিব তিবরিযি তাঁর ‘মিশকাত’ গ্রন্থে আলোচ্য ঘটনাটি ‘মায়্যিতের উপর রোনা-জারি’ শীর্ষক অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন।



আর এ ঘটনাটিও সাহাবায়ে কিরামের যুগে সবার বর্তমানে হয়েছিল। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করেন নি। অধিকন্তু তাঁর স্ত্রী ওখানে একবছর পর্যন্ত অবস্থান করেছিলেন, অতঃপর ঘরে ফিরে আসেন। এ হাদিস থেকে বুযুর্গানে কিরামের মাযারসমূহের কাছে খাদিমের অবস্থান করাটাও প্রমাণিত হলো।

________________

কিতাবঃ মাযারে ইমারত ও গম্বুজ নির্মাণের ফায়সালা

গ্রন্থনা ও সংকলন: মুফতি মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন আন-নাজিরী

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন