রাসূল (ﷺ)'র নূর থেকে ফেরেস্তা সৃষ্টি

 

রাসূল (ﷺ)'র নূর থেকে ফেরেস্তা সৃষ্টি



(৩) ইমাম আবদুর রাযযাক  (رحمة الله) নিজের মুসান্নাফে' জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (رضي الله عنه) এর সুত্রে বর্ণনা করেন, হুযুর আকদাস (ﷺ) ইরশাদ করেন,


یا جابر ان الله تعالى قد حلق قبل الاشیاء نور نبیك من نوره (الی قوله) فلما اراد اللّٰه ان یخلق اخلق قسم ذالك النور اربعة اجزا- فخلق من الجزء الاول القلم ومن الثانی اللوح ومن الثالث العرش ثم قسم الرّابع اربعة اجزاء. فخلق من الاول العرش ومن الثانی الکرسی ومن الثالث باقی الملاٸکة


অর্থাৎ হে জাবের! নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সব সৃষ্টির পূর্বে স্বীয় নুর থেকে তােমার নবীর নূর সৃজন করেন। অতঃপর যখন মাখলুক সৃষ্টির ইচ্ছে করেন, তখন এ নূরকে চার অংশে বিভক্ত করেন। প্রথম অংশ থেকে কলম, দ্বিতীয় অংশ থেকে লাওহ, তৃতীয় অংশ থেকে আরশ। অতঃপর চতুর্থ অংশকে চার ভাগে বিভক্ত করেন। প্রথম ভাগ থেকে আরশবাহী ফেরেস্তা । দ্বিতীয় অংশ দ্বারা কুরসী, তৃতীয় অংশ দ্বারা অবশিষ্ট ফেরেস্তা সৃষ্টি করেন।



(৪) আল্লামা ফাসী মােতালেমুল মুসাররাত' গ্রন্থে- دلاٸل التقدم من نور ضیاٸك  বাক্যের ব্যাখ্যায় বলেন,


قد قال الاشعرى انه تعالى نور لیس کا لانوار والروح النبوية المقدسة لمعة من نوره والملاٸکة شرر تلك الانوار وقال صلّی اللّٰه تعالی علیه وسلم اول ما خلق اللّٰه نوری خلق کل شٸ


 


অর্থাৎ ইমাম আশয়ারী (رحمة الله) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা কিন্তু অন্যান্য কোন নূরের ন্যায় নয়। আর রাসূলে সৈয়দে আলম (ﷺ)-এর পবিত্র রুহ মােবারক তাঁর (আল্লাহ) নূরের একটি চমক (দীপ্তি)। আর ফেরেস্তা তার (রাসূলের) নূরের স্ফুলিঙ্গ। হুযুর (ﷺ) ইরশাদ ফরমান "সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করা হয়েছে এবং আমার নূর থেকেই সব কিছু সৃষ্টি হয়েছে।



(৫) আবু শেখ ইকরামা (رضي الله عنه)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন- خلقت الملاٸکته من نور العزة

(ফেরেস্তাদের সম্মানিত ও মহিমান্বিত নূর থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে)।

_____________

কিতাবঃ ফেরেস্তা সৃষ্টির ইতিবৃত্ত [আল হেদায়াতুল মােবারাকা ফী তাখলীকে মালায়েকা"র বাংলা রূপ]

মূলঃ ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী (রঃ)

অনুবাদঃ আবু সাঈদ ইউসুফ জিলানী

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন