আজানের হুকুমে ইমামদের মতপার্থক্য


আজানের হুকুমে ইমামদের মতপার্থক্য


اختلاف المشائخ فى الاذان

بعضهم قالوا : إنه واجب – رُوى عن محمد رحمة الله عليه ان اهل بلدة من بلادالاسلام إذا تركوا الاذان والا قامة فانهم يجب القتال معهم-وانما يقاتل على ترك الواجب دون السنة .



وعامة مشائخنا قالوا : انهما سنتان مؤكدتان, روى أبويوسف رحمة الله عليه عن ابى حنيفة رحمة الله عليه انه قال فى قوم صلوا الظهر او العصر فى المصربجماعة من غير أذان واقامةٍ انهم اخطأوا السنة وخالفوا واثموا .



وقال السمرقندى ولكن كلامن القولين متقاربان لان السنة المؤكدة والواجب سواء – الاذان هوالاذان المعروف فيما بين الناس من غير زيادةٍ ولانقصان – وهذا قول عامة مشائخ الاحناف .



وقال عامة العلماء : يكبراربع مرات فى ابتداء الاذان, ويختم الاذان بقوله ’’لا اله الا الله‘‘ ولاترجيع فى الاذان, خلافا للشافعى رحمة الله عليه .



والاقامة مثنى كالاذان- وفى الاقامة بعدقوله ’’حىّ على الفلاح‘‘ ’’قدقامت الصلوة‘‘ مرتين خلافا لمالك رحمة الله عليه .



وبالتثويب فى اذان الفجربان يقال فيه ’’الصلوة خير من النوم‘‘ مرتين بعدقوله حىّ على الفلاح, خلافا للشافعى رحمة الله عليه فى قوله الجديد.



কতিপয় ইমাম বলেন: “নিশ্চয় ইহা ওয়াজিব”। এরা দলীল হিসাবে ইমাম মুহাম্মদের রেওয়ায়ত পেশ করেন- মুসলিম হুকুমতের অধীনস্থ কোন শহরবাসীরা আজান ও ইকামত উভয় বর্জন করলে তাদের সাথে যুদ্ধ করা ওয়াজিব হবে। যুদ্ধ করার হুকুম ওয়াজিব বর্জনে হয় সুন্নাত বর্জনে নয়। আমাদের হানাফী মাজহাবের অধিকাংশ ইমাম বলেন, নিশ্চয় আজান ও ইকামত উভয় সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। ইমাম আবু ইউসুফ (رحمة الله) ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) হতে বর্ণনা করেন, তিনি এমন সম্প্রদায় সম্পর্কে বলেন যারা শহরে জোহর বা আছরের নামাজ জামাত সহকারে আজান ও ইকামত ব্যতীত আদায় করেছেন অবশ্যই তারা সুন্নাতের বিপরীত কাজ করেছেন এবং তারা সুন্নাত বর্জন করার পাপে পাপী হিসাবে গণ্য হবে। ইমাম সমরকান্দি বলেন, উভয় পক্ষের কথা পরস্পর কাছাকাছি। কেননা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ও ওয়াজিব এক বরাবর। আজান হল যা সর্ব সাধারণের মাঝে প্রসিদ্ধ কোন ধরনের হ্রাস বৃদ্ধি ব্যতীত; ইহা অধিকাংশ হানাফী ইমামদের মতামত। অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, আজানের প্রথমে চারবার তাকবীর বলবে এবং লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে আজান শেষ করবে। আজানে কোন ধরণের তারজী নেই। ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله) এর বিপরীত। অর্থাৎ তাঁর মতে তাবজী আছে।



ইকামত আজানের ন্যায় দু’বার বলবে এবং ইকামতে হাইয়্যা আলাল ফালাহ এর পরে কাদকামতিস সালাত দুবার বলবে। ইমাম মালেক (رحمة الله) এর বিপরীত। তিনি ইহা দু’বার বলার পক্ষে নয় বরং একবার বলার পক্ষে। ফজরের আজানে তাসবির (হাইয়্যা আলাল ফালাহ) বলার পর আস্সালাতু খাইরুম্ মিনান নাওম দু’বার বলবে। ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله) তাঁর নতুন মতানুসারে এর বিপরীত। অর্থাৎ তিনি ইহা বলার পক্ষপাতি নয়।

___________________

কিতাবঃ তরিকুস সালাত আ’লা ছাবিলিল ইজাজ বিল্-মাযহাবিল হানাফী

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)

অনুবাদক: মাওলানা ছালেহ আহমদ

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন